বই এর নাম
সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ও আমাদের সমাজ
সুচিপত্র
১. লেখকের কথা
২.সংস্কৃতির সাথে পরিচিতি লাভ
৩.আমাদের সংস্কৃতির বর্তমান হালচাল
৪.সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ভুমিকা
৫.সাংস্কৃতিক আগ্রাসন মোকাবেলায় করনীয়
৬.তথ্য সূত্র
লেখকের কথা
সংস্কৃতি হচ্ছে একটি জাতির ধারক ও বাহক | কোনো দেশের উন্নতি ও অগ্রগতির পেছনে যে জিনিসটি সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে তা হচ্ছে সে দেশের সংস্কৃতি | সংস্কৃতি চর্চার মাধমে মানুষের অন্তর্নিহিত শক্তি ও প্রতিভার বিকাশ ঘটে | সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের স্বাধীন সত্তার প্রতীক | কিন্থু সাংস্কৃতিক উদাসীনতা ,অবহেলা ,অবঘ্না একটি জাতিকে গোলামির বন্দনে আবদ্ব করে রাখে | বর্তমানে আমাদের দেশে এক শ্রেনীর মানুষ আছে , যারা নিজেদেরকে প্রগতিশীল দাবি করে ,যারা নিজেদের সংস্কৃতি ভুলে গিয়ে অন্য সংস্কৃতি লালনে ব্যস্ত | তবে আর জন্য দায়ী আমাদের আমাদের দেশের ততাকতিত কিছু বুধিজিবি ও কিছু মিডিয়া বক্তিত্ব | যার ফলে আমাদের একশ্রেনীর তরুণ প্রজন্ম ভুল পথে এগুচ্ছে | একটি দেশের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে সে দেশের তরুণ সমাজ | কাজেই তরুণ সমাজ কে রক্ষা আমাদের সবার দায়িত্ব ও কর্তব্য , এখানে অবহেলা করলে আমাদের চলবেনা |
সাবেক রাষ্ট্রপ্রতি আব্দুর রহমান বিশ্বাস একটি কথা বলেছিলেন তা হলো " আমাদের সংস্কৃতিতে আমাদের জনগনের আবহমান লালিত আদর্শ ,বিশ্বাস ,ইতিহাস ,ঐতিহ্য ,জীবনাচার ও জীবন পদ্বতি বিধৃত হবে এটাই স্বাভাবিক "|
সতরাং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষণের মাধ্যমে একটি দেশ তার স্বাধীনতা এবং স্বাতন্ত্র রক্ষা করতে পারে | আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির উপর আঘাত সাম্রাজ্য বাদীদের পক্ষ থেকে অত্যন্ত পরিকল্পিত একটি উদ্যোগ | ইংরেজ আমলে এদেশের ভাষা ও সংস্কৃতির উপর বিরাট আঘাত আসে এবং পরবর্তীকালে পাকিস্তান আমলে | যা বড় বড় সাহিত্যিক নজরুল ও রবীন্দ্রনাথ সহ সংখ্যা ঘরিস্ট বাঙালির সমাজ ,ধর্ম ,সংস্কৃতি ,আচার-ব্যবহার এগুলোকে ঝেটিয়ে বিদায় করেন |
আর এইসব আঘাতের পাল্টা জবাব আমাদের তরুণ সমাজ সবার আগে দিয়েছিল |
তরুনরা হচ্ছে আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি | কিন্থু বর্তমানে আমাদের তরুণ দের অবস্থা দেখে আর্তনাদ করে উঠেছেন বিশিস্ট শিল্পী ও কলামিস্ট ওবায়দুল হক সরকার , " আমাদের শিক্ষাঙ্গন আজ রনাঙ্গনে পরিনত হয়েছে ,মাস্তান -চাঁদা বাজদের দোহরাথে ,উন্নয়ন -উত্পাদন ব্যাহত হচ্ছে , মঙ্গল প্রদীপ মার্কা সংস্কৃতির ধাক্কায় আমরা প্রতি পদে শুধু পিছিয়ে পড়ছি "|
সংস্কৃতির সাথে পরিচিতি লাভ
সংস্কৃতি শব্দ আমাদের কাছে অতি পরিচিত একটি শব্দ | দৈনন্দিন জীবনে সংস্কৃতির ব্যবহার ব্যাপক |বাংলা সংস্কৃতি শব্দের উত্পত্তি সংস্কার থেকে | সংস্কার হলো বিশুদ্ধ করণ | সংস্কৃতি এবং সভ্যতা একে অপরের সাথে গভীর ভাবে জড়িত |সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের মন দৈহিক ও নৈতিক উত্কর্ষ -সাধন | অর্থাথ মানুষের সুরুচির মার্জিত প্রকাশ হলো সংস্কৃতি |
এখন আমরা কয়েক জন বিখ্যাত সমাজবিজ্ঞানীর মতে সংস্কৃতি কি তা জানার চেষ্টা করব `|
সমাজ বিজ্ঞানী টেলরের মতে " সংস্কৃতি সমাজের সদস্য হিসেবে মানুষের অর্জিত জ্ঞান ,বিশ্বাস ,শিল্পকলা ,নৈতিকতা ,আইন প্রথা এবং অনন্য ক্ষমতা এবং অভ্যাসের জটিল রূপ "|
সমাজবিজ্ঞানী ম্যাকাইভার এর মতে , " সংস্কৃতি হচ্ছে আমাদের যা কিছু আছে তা "| তার এ সংজ্ঞাটি সংকিপ্ত হলেও - সংস্কৃতি যে একটি পূর্ণাঙ্গ জীবন পদ্বতি সে দিকে তা ইঙ্গিত প্রদান করে |
ইউনেস্কো কর্তৃক সংস্কৃতির একটি সজ্ঞা হলো ; "ব্যাপকতর অর্থে সংস্কৃতি হচ্ছে একটি জাতির আত্তিক ,বস্তুগত ,বুদ্ভিগত এবং আবেগ গত চিন্তা এবং কর্ম ধারার প্রকাশ | শিল্প ও সাহিত্য ই সংস্কৃতির একমাত্র অন্তর ভুক্ত বিষয় নয় |মানুষের জীবন ধারা ও সংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত | মানুষের অধিকার ,মূল্যবোধ ,ঐতিহ্য এবং বিশ্বাস ও সংস্কৃতির অঙ্গ "|
কাজেই আমরা বলতে পারি যে সংস্কৃতি হচ্ছে মানুষের জীবনের মৌলিক বিশ্বাস -আদর্শ ,চিন্থা ধারার সাথে সম্পর্কিত একটি বিষয় | সংস্কৃতি হচ্ছে একটি জাতির বিবেক | সুতরাং একটি জাতির গতি -পথ নির্ভর করে তার সংস্কৃতির উপর |
আমাদের সংস্কৃতির বর্তমান হালচাল
আমাদের এই সোনার বাংলা আজ জিম্মি হয়ে পড়েছে কিছু সাবকের হাতে ,
ওরা উথ পেতে বসে আছে কিভাবে ঘায়েল করবে আমাদের ,
তাই তো তারা আমাদের হাতে না মেরে ,মারতেছে তারা কোসলে ,
আমাদের মত সহজ সরল জাতির হাতে ,
তুলে দিয়েছে সংস্কৃতি তাদের ,
আর আমরা বোকার মত মুক্ত সংস্কৃতি চর্চার নাম করে চলে-বলে ,
অপসংস্কৃতিকে নিজস্ব সংস্কৃতির সাথে মিশে ফেলেছি সিদ্ব হস্তে |
একটি প্রবাধ আছে কোনো জাতিকে যদি ধংস করতে চাও ,
সবার আগে তার সংস্কৃতি ধংস করে দাও ,
আজকাল আমরা অবলোকন করি যে ,আমরা আমাদের
মেধাবিদের অবগ্বা ,অবহেলা ,ত্যাজ্ব করে ,
অন্যের দারপ্রান্তে দারস্থ হতে ,
আমার ঘরে খবর ,আমি এবং আমার ঘরের লোকজন ছাড়া ,
আর কারো বেশি জানার কথা না ,বাহিরের লোক
যা জানবে তা লোক মুখে ছড়িয়া -ছাড়া ,
কথা ছাড়া আর কিছু না |
আর বাইরের লোক যদি আমার বা আমাদের বিষয় ,
এসে নাক গলায় তা হলে আমাদের বুজতে হবে ,
আমাদের কোথাও দুর্বলতা আছে ,আর এ দুর্বলতা ,
তাকে নাক গলাতে সাহায্য করবে ,
বাইরের লোক ,আমাদের প্রতিবেশী ,আত্বীয় ,
ঘরের লোক পরে সবার আগে প্রতিবেশী ,আত্বীয় ,
সুখে দুখে পাশে থাকবে এটাই স্বাবাভিক ,
তাই বলে অনাধিকার চর্চা করবে এটা শুভ নয় |
পৃথিবীর সব উন্নত জাতির দিকে তাকালে দেখা যায় ,
তারা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি কতটা উদার ,শ্রদ্ধাশীল ,
আজ যারা মুক্ত সংস্কৃতির স্লোগান আমাদের শোনায় ,
আমার অনুরোধ আপনাদের তরে ,আপনারা
একবার দেখুন সেই সব উনত জাতিকে ,তা হলে বুঝবেন
আপনারা কতটা প্রগতিশীল |
অনেক সময় আমরা বিশ্বায়নের দোহাই দেই ,
বিশ্বায়ন এর ফলে নিজস্ব সংস্কৃতি অপদস্থ হচ্ছে ,
আমি এটার ঘুর বিরোধিতা করব এই কারণে যে ,
আমরা কামকা বিশ্বায়নের দুস দিবো কেন ,আমরা
আমাদের দুর্বলতা স্বীকার করি না কেন ,কেন আমরা
আমাদের সংস্কৃতি বিশ্বায়নের এ যুগে সঠিক ভাবে তুলে দরতে পারছিনা ,
তাহলে আমরা দরে নিব ,আমরা আমাদের সংস্কৃতি সঠিক ভাবে লালন-পালন করতে পারছিনা ,
এটা বলব এই কারণে আজকাল যখন টেলিভিসন এ কোনো নাটক বা সিনেমা দেখি ,তখন প্রায় সময়
দেখবেন কোনো কারণ ছাড়া হঠাথ গান চলে আসে ,আর সেই গান একবারে অবিকল ,অনুরূপ করে
দেওয়া হচেছ সেই সব নাটক সিনেমায় ,তাও আবার ভিন সংস্কৃতির |
আর এই সব গান শুনে আমরা দর্শক স্রোতা মন মুগ্ধ হচ্ছি এই বলে যে ,আহা গানটা তো শুনতে তো বেশ ভালো লাগছে ,আর ভালো লাগবেনা কেন আমরা এই সব গান শুনে অভ্যস্থ হয়ে গেছি,এটা আমাদের দর্শক-শ্রোতার কোনো দোষ নয় ,আমি দোষ দিব যারা আমাদেরকে এই সব গান পরিবেসন করেন |
যার ফলে আমরা যারা পরিবেসন করছি এই সব গান ,আমাদের আরো উত্সাহ বেড়ে যায় এই কারণে যে যখন স্রোত এই সব গান শুনে বেশি করে ,কিন্থু আমরা একবার চিন্থা করিনা আমরা কি করছি ,আমরা শুধু টাকার কথা চিন্থা করলে হবেনা ,এটা দেশ ,দেশের জনগণ এর সাথে বিশ্বাসঘাতকথা করার শামিল ,দেশের জনগনকে টকানো হচ্ছে |
এবার একটা গল্পের কথা মনে পড়ল ,গল্পটা এরকম ,কোনো এক রেস্টুরেন্ট মালিক তার রেস্টুরেন্টে পচা তেল দ্বারা খাবার রান্না করেন | একদিন মালিকের একমাত্র কন্যার বিবাহ হবে ,সেই দিন বিচারা মালিক সিদান্থ করলো সারা বছর লোকজনদের পঁচা তেল দ্বারা রান্না করা খাবার দেই , অন্তত পক্কে আমার মেয়ের বিবাহের দিন রেস্টুরেন্টে ভালো তেল দ্বারা রান্না করা খাবার পরিবেসন করবেন বলে ঘোসনা দেন বিচারা মালিক | যতারীতি বিয়ের দিন আসল এবং রেস্টুরেন্টে ভালো তেল দ্বারা রান্না করা হলো খাবার |ওই দিন রেস্টুরেন্টে যত কাস্টমার খাবার খেল সবার পেট ব্যাথা করলো যতারীতি ডায়রিয়া ,সব কাস্টমার পরে এসে নালিশ করলো রেস্টুরেন্ট মালিক কে যে ভাই ,গতকাল আপনার রেস্টুরেন্টে খাবার খেছিলাম আমরা ,আমাদের সবার পেটে ব্যাথা করছে | বিচারা মালিক হতবাক হয়ে গেলো ,মনে মনে বলতে লাগলো সব দিন পঁচা তেলের রান্না করা খাবার দেই অথ্চ কারো পেট ব্যাথা করলনা ,আজ ভালো তেল দ্বারা রান্না করা খাবার দিলাম সবার পেট ব্যাথা করতেছে কি ব্যাপার | বিচারা মালিক অনেক চিন্থা করে পরদিন থেকে আবার সে তার পুরনো তেল দ্বারা রান্না করা খাবার পরিবেসন করলো এবং সবাই খেলো | আজ আর কেউ নালিস বা অভিযোগ করলনা যে যার মতো খেয়ে চলে গেলো এবং সবাই কে খুব আনন্দিত মনে হলো কারো পেট ও ব্যাথা করলনা |
মানুষ অভ্যাসের দাস |মানুষের জীবনে অভ্যাস ওতপ্রোত ভাবে জড়িত | অভ্যাস একদিনে দুদিনে প্রতিষ্টা লাভ করেনি I অভ্যাস হলো কোনো কিছু করার পুন:পুন পত্যাবর্তন I অর্থাৎ কোনো একটা জিনিস ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক ,নিয়মে হোক বা অনিয়মে হোক,কোনো তৃপ্তি লাভ বা আত্বতুষ্টি লাভ ,সজ্যের হোক বা অসজ্যের হোক ,বিশেষ এক সময়ে নিয়মিত বারবার করার নাম বলব অভ্যাস I
আর আমরা বোকার মত মুক্ত সংস্কৃতি চর্চার নাম করে চলে-বলে ,
অপসংস্কৃতিকে নিজস্ব সংস্কৃতির সাথে মিশে ফেলেছি সিদ্ব হস্তে |
একটি প্রবাধ আছে কোনো জাতিকে যদি ধংস করতে চাও ,
সবার আগে তার সংস্কৃতি ধংস করে দাও ,
আজকাল আমরা অবলোকন করি যে ,আমরা আমাদের
মেধাবিদের অবগ্বা ,অবহেলা ,ত্যাজ্ব করে ,
অন্যের দারপ্রান্তে দারস্থ হতে ,
আমার ঘরে খবর ,আমি এবং আমার ঘরের লোকজন ছাড়া ,
আর কারো বেশি জানার কথা না ,বাহিরের লোক
যা জানবে তা লোক মুখে ছড়িয়া -ছাড়া ,
কথা ছাড়া আর কিছু না |
আর বাইরের লোক যদি আমার বা আমাদের বিষয় ,
এসে নাক গলায় তা হলে আমাদের বুজতে হবে ,
আমাদের কোথাও দুর্বলতা আছে ,আর এ দুর্বলতা ,
তাকে নাক গলাতে সাহায্য করবে ,
বাইরের লোক ,আমাদের প্রতিবেশী ,আত্বীয় ,
ঘরের লোক পরে সবার আগে প্রতিবেশী ,আত্বীয় ,
সুখে দুখে পাশে থাকবে এটাই স্বাবাভিক ,
তাই বলে অনাধিকার চর্চা করবে এটা শুভ নয় |
পৃথিবীর সব উন্নত জাতির দিকে তাকালে দেখা যায় ,
তারা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি কতটা উদার ,শ্রদ্ধাশীল ,
আজ যারা মুক্ত সংস্কৃতির স্লোগান আমাদের শোনায় ,
আমার অনুরোধ আপনাদের তরে ,আপনারা
একবার দেখুন সেই সব উনত জাতিকে ,তা হলে বুঝবেন
আপনারা কতটা প্রগতিশীল |
অনেক সময় আমরা বিশ্বায়নের দোহাই দেই ,
বিশ্বায়ন এর ফলে নিজস্ব সংস্কৃতি অপদস্থ হচ্ছে ,
আমি এটার ঘুর বিরোধিতা করব এই কারণে যে ,
আমরা কামকা বিশ্বায়নের দুস দিবো কেন ,আমরা
আমাদের দুর্বলতা স্বীকার করি না কেন ,কেন আমরা
আমাদের সংস্কৃতি বিশ্বায়নের এ যুগে সঠিক ভাবে তুলে দরতে পারছিনা ,
তাহলে আমরা দরে নিব ,আমরা আমাদের সংস্কৃতি সঠিক ভাবে লালন-পালন করতে পারছিনা ,
এটা বলব এই কারণে আজকাল যখন টেলিভিসন এ কোনো নাটক বা সিনেমা দেখি ,তখন প্রায় সময়
দেখবেন কোনো কারণ ছাড়া হঠাথ গান চলে আসে ,আর সেই গান একবারে অবিকল ,অনুরূপ করে
দেওয়া হচেছ সেই সব নাটক সিনেমায় ,তাও আবার ভিন সংস্কৃতির |
আর এই সব গান শুনে আমরা দর্শক স্রোতা মন মুগ্ধ হচ্ছি এই বলে যে ,আহা গানটা তো শুনতে তো বেশ ভালো লাগছে ,আর ভালো লাগবেনা কেন আমরা এই সব গান শুনে অভ্যস্থ হয়ে গেছি,এটা আমাদের দর্শক-শ্রোতার কোনো দোষ নয় ,আমি দোষ দিব যারা আমাদেরকে এই সব গান পরিবেসন করেন |
যার ফলে আমরা যারা পরিবেসন করছি এই সব গান ,আমাদের আরো উত্সাহ বেড়ে যায় এই কারণে যে যখন স্রোত এই সব গান শুনে বেশি করে ,কিন্থু আমরা একবার চিন্থা করিনা আমরা কি করছি ,আমরা শুধু টাকার কথা চিন্থা করলে হবেনা ,এটা দেশ ,দেশের জনগণ এর সাথে বিশ্বাসঘাতকথা করার শামিল ,দেশের জনগনকে টকানো হচ্ছে |
এবার একটা গল্পের কথা মনে পড়ল ,গল্পটা এরকম ,কোনো এক রেস্টুরেন্ট মালিক তার রেস্টুরেন্টে পচা তেল দ্বারা খাবার রান্না করেন | একদিন মালিকের একমাত্র কন্যার বিবাহ হবে ,সেই দিন বিচারা মালিক সিদান্থ করলো সারা বছর লোকজনদের পঁচা তেল দ্বারা রান্না করা খাবার দেই , অন্তত পক্কে আমার মেয়ের বিবাহের দিন রেস্টুরেন্টে ভালো তেল দ্বারা রান্না করা খাবার পরিবেসন করবেন বলে ঘোসনা দেন বিচারা মালিক | যতারীতি বিয়ের দিন আসল এবং রেস্টুরেন্টে ভালো তেল দ্বারা রান্না করা হলো খাবার |ওই দিন রেস্টুরেন্টে যত কাস্টমার খাবার খেল সবার পেট ব্যাথা করলো যতারীতি ডায়রিয়া ,সব কাস্টমার পরে এসে নালিশ করলো রেস্টুরেন্ট মালিক কে যে ভাই ,গতকাল আপনার রেস্টুরেন্টে খাবার খেছিলাম আমরা ,আমাদের সবার পেটে ব্যাথা করছে | বিচারা মালিক হতবাক হয়ে গেলো ,মনে মনে বলতে লাগলো সব দিন পঁচা তেলের রান্না করা খাবার দেই অথ্চ কারো পেট ব্যাথা করলনা ,আজ ভালো তেল দ্বারা রান্না করা খাবার দিলাম সবার পেট ব্যাথা করতেছে কি ব্যাপার | বিচারা মালিক অনেক চিন্থা করে পরদিন থেকে আবার সে তার পুরনো তেল দ্বারা রান্না করা খাবার পরিবেসন করলো এবং সবাই খেলো | আজ আর কেউ নালিস বা অভিযোগ করলনা যে যার মতো খেয়ে চলে গেলো এবং সবাই কে খুব আনন্দিত মনে হলো কারো পেট ও ব্যাথা করলনা |
মানুষ অভ্যাসের দাস |মানুষের জীবনে অভ্যাস ওতপ্রোত ভাবে জড়িত | অভ্যাস একদিনে দুদিনে প্রতিষ্টা লাভ করেনি I অভ্যাস হলো কোনো কিছু করার পুন:পুন পত্যাবর্তন I অর্থাৎ কোনো একটা জিনিস ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক ,নিয়মে হোক বা অনিয়মে হোক,কোনো তৃপ্তি লাভ বা আত্বতুষ্টি লাভ ,সজ্যের হোক বা অসজ্যের হোক ,বিশেষ এক সময়ে নিয়মিত বারবার করার নাম বলব অভ্যাস I
আমাদের অবস্থাটা হচ্ছে উপরে বর্ণিত রেস্টুরেন্টের খাবার খাওয়া লোকজনদের মতো I কারণ আমরা প্রতিনিয়ত এরকম খাবার গলাদকরণ করছি বা আমাদেরকে এরকম খাবার পরিবেসন করানো হচ্ছে ,যা আমাদের অভ্যাসে পরিনত লাভ করছে এবং এটাতে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি I যার ফলে এখন যদি আমাদেরকে হটাত করে নতুন কিছু দেয়া হয় ,যদিও সেটা আমাদের চেনা তার পরও এটা আমাদের গলাদকরণ হবেনা ,গলাদকরণ হয়ে গেল ও হজম হবেনা ,আর যা হজম হবে তা আবার বদহজম হয়ে বের হয়ে আসবে কারণ পঁচা খেয়ে আমরা অব্যস্ত হয়ে গেছি | পঁচা খাবারের ভিড়ে ভালো কিছু হুট করে স্থান নিতে একটু তো সময় লাগবে ,আর সেটা সম্ভব যদি আমরা আস্থে আস্থে অনুশীলন করে আমাদের অভ্যাসে পরিনীত করতে পারি ,লোকজনকে জানাতে হবে ,সঠিক ভাবে পরিচিত করাতে হবে ,সুন্দর ,মার্জিত, রুচিশীল ,সৃজনশীল ভাবগম্ভীরর্য ভাষায় উপস্থাপন করতে হবে | আর এখনি সময় এটা করার | আর কোনো কারণে যদি আমরা করতে না পারি বা বার্থ হই তাহলে আমাদের কপালে অনেক দুর্দশা অপেক্কা করতেছে ,সেই দুর্দর্সা থেকে কেও রক্কা পাবনা |
একটা প্রবাদ আছে "চোর গেলে বুদ্বি বাড়ে " |আমার প্রশ্ন কেন আমাদের চোর আসার আগে বুদ্বি বাড়েনা | তবে কি আমরা চুর কে সুযোগ দেই ,সে যেন চুরি করে যায় ,আমাদের সব কিছু নিয়ে যাক যাতে আমাদের বুদ্বি বাড়ে | না আজ থেকে আমাদের সকলের একটাই প্রত্যয় হোক আর চুর কে চুরি করার সুযোগ আমরা দিবনা ,চুর কে জানিয়ে দিব বা চুর জানবে আমরা এখন সজাগ ,সচেতন | আর এটা করতে পারলে দেখা যাবে যে সমাজে চুরি কমে যাবে ,সেই সাথে চুর তার পেশা বদল করে নেয়ার একটা সুযোগ থাকবে এবং নিজেকে সে সংসুদন করতে বাধ্য | আর এটা সম্ভব আমরা যদি সজাগ ,সচেতন ও বুদ্বিবিতির চর্চা সঠিক ভাবে সঠিক সময়ে করতে পারি |
আজকাল বহুল প্রচলিত একটি বাক্যে আছে ,বাক্যটি এরকম "প্যন্টের উপর আন্ডার ওয়ার পরলে সুপারম্যান হওয়া যায়না " কথা টি শতভাগ সত্য | তবে নাটক সিনেমায় সেটা সম্ভব কিন্থু বাস্তবে ভিন্ন | আমাদের সমাজে এরকম পাগলের উপদ্রব আজকাল অতিমাত্রায় বেড়ে চলছে | আর এরা অবলিলায় নিজস্ব সংস্কৃতি ভুলে গিয়ে পর সংস্কৃতিকে আকড়ে ধরে সুপারম্যান সাজার সপ্নে বিভোর | তবে এরা সপ্নে সুপারম্যান হতে পারে ,বাস্তবে না | কারণ বাস্তব বলতেছে ভিন্ন কথা |
এ জগতে যারা যশ খ্যাতি ,সম্মান যা কিছু অর্জন করছে সবাই তারা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি ,ইতিহাস ঐতিহ্যকে আকড়ে ধরে করেছেন | বিশ্ব কবি রবি ঠাকুর নোবেল পেলেন তার বিখ্যাত গীতাঞ্জলি রচনা করে | ড: ইউনুছ একজন বাংলাদেশী তিনি নোবেল শান্তি পরুস্কার পেলেন তিনি একজন বাংলাদেশী ,তিনি তো ভুলে যাননি নিজস্ব সংস্কৃতি |বরং এরা আমাদের গর্ব ,এরা আমাদের অহংকার |স্বাধীন বাংলাদেশের পর ড: ইউনুছের নোবেল পুরুস্কার লাভ বাংলাদেশের একটা বড় অর্জন | কিন্থু দুঃখের বিষয় হলেও সত্যি যে আমরা এমন এক জাতি ,যারা গুনী জনের কদর করতে জানিনা ,এজন্যই আমাদের এ অবস্থা I
বলা বাহুল্য এখানে একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য যে ,আমরা সবাই জানি প্রতিটি জিনিসের দুটি দিক থাকে I ভালো দিক এবং খারাপ দিক |বিশেষ ভাবে লোক্কনীয় যে আমাদের সমাজে ,ভালো কোনো বিষয়ের আলোচনার চেয়ে ,খারাপ দিক গুলো নিয়ে বেশি সমালোচনা করতে দেখা যায় | আর এই খারাপ দিক গুলো নিয়ে বেশি আলোচনা -সমালোচনা করে একটা সময় আমরা মন্দের ভালো দিক গুলো ভুলে যাই | তাই বলে মন্দ দিক নিয়ে আলোচনা -সমালোচনা যে একেবারে করা যাবেনা এর পক্কে আমি নই বরং মন্দ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে যাতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা না হয় ,এতে আমাদের নিজেদের সংসদনের একটা প্রচেষ্টা বা প্রয়াস এর সুযোগ থাকে |
"সময়ের এক ফড় , অসময়ের দশ ফড় " সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে | ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে " সময় এর অপর নাম অর্থ বা টাকা " | এখানে সময়ের গুরুত্ব বুঝাতে সময়কে টাকা বলা হয়েছে | আর আমরা এই নীতি বাক্যটি সবাই জানি | আমাদের সমাজের একটি ধর্ম আছে যেটা হলো আমরা জানতে রাজি ,মানতে রাজি নই | আমরা গ্জ্ঞান দিতে অভ্যস্ত ,নিতে নারাজ |
আমরা যদি পৃথিবীর উন্নত দেশ বা জাতির দিকে তাকাই , তাহলে আমরা দেখব তাদের উন্নতির পেছনে একটা জিনিস প্রধান্য পেয়েছে তা হলো তারা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্বা বা ভালবাসা |
আমরা উদাহরন হিসেবে বলতে পারি বৃটেনের কথা । বৃটেনে পৃথিবীর সব দেশের মানুষ কম বেশি বসবাস করে । বৃটেন হলো মুক্ত সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র । এখানে কম বেশি পৃথিবীর সব দেশের মানুষ বসবাস করে ,তাই বলে তারা তাদের সংস্কৃতি ছেড়ে দেয়েনি বরং তারা তাদের সংস্কৃতি -সভ্যতা সুন্দর ভাবে অনুশীলন করে যাচ্ছে এবং তারা সক্ষম হচ্ছে তাদের সংস্কৃতি মানুষের কাছে তুলে ধরতে । অন্য সংস্কৃতি কে তারা আবার অবহেলা বা অবজ্গা করে নয় বরং অন্য সংস্কৃতিকে শ্রধা রেখে তারা তাদের সংস্কৃতির চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে । বহু ভাষা ,সংস্কৃতির লোক এখানে বসবাসের পাশাপাশি বহু ভাষা এবং বহু সংস্কৃতির চর্চা ও এখানে হচ্ছে কোনো বাধা ছাড়া । আমাদের মত তারা বেল্লাপনায় ভাসছেনা ।
"একটি সুন্দর ,সুস্থ সংস্কৃতি একটি উন্নত সভ্যতা গড়ে উঠার প্রধান শর্ত "। সভ্যতা গড়ে উঠার পেছনে যতগুলো জিনিস কাজ করে তার মধ্যে অন্যতম হলো সংস্কৃতি ।
সংস্কৃতি হলো দৈনন্দিন জীবনে আমরা যা কিছু করি ।অর্থাৎ খাওয়া -দাওয়া ,চলাফেরা ,চালচলন ,পোশাক -পরিচ্ছেদ ,কাজ -কর্ম ইত্যাদির সমষ্টি হলো সংস্কৃতি । আর সংস্কৃতির বহিপ্রকাশ হলো সভ্যতা ।সংস্কৃতি ও সভ্যতা একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত |
সংস্কৃতিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে দু প্রকার বলব | একটি হলো সুস্থ সংস্কৃতি আর অন্যটি হলো অসুস্ত সংস্কৃতি |
সুস্থ সংস্কৃতি হলো যা নিয়মিত আমাদের মাঝে স্বাভাবিক ভাবে বিদ্যমান থাকবে ,একটি বিশেষ দিন বা বিশেষ মহুর্তের জন্য নয় | আমরা জাতি হিসেবে বাঙালি |আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি আছে তবে সেটা দেখতে পাই বিশেষ দিনগুলোতে ,ওই দিন গুলো ছাড়া আমরা ভুলে যাই আমরা বাঙালি ,আমাদের সংস্কৃতি | যার ফলে আমাদের তরুণ প্রজন্মের বিশাল একটা অংশ আমাদের নিজ্বস সংস্কৃতি সমন্ধে ধারণা নেই বললে চলে | আমি হলফ করে বলতে পারি যে আমাদের নতুন প্রজন্মের একশজন যুবক যুবতীকে যদি জিগ্গেস করা হয় পহেলা বৈশাখ কি তাহলে পঞ্চাশ থেকে ষাট জন বলতে পারবেনা আর বাকিরা বলতে পারলেও সুধু মাত্র ওই দিনটা পর্যন্থ বিদ্যমান,তারপর সবাই সমান | পহেলা বৈশাখ বলতে তাদের কাছে ঐ দিন পান্থা -ভাত ,ইলিশ খাওয়া ,শাড়ি পড়া ,পাঞ্জাবি পড়া আর গান বাজনা গাওয়া শুনা ,প্রেমিক -প্রেমিকার আড্ডা ইত্যাদি বুঝায় |
আসলে পহেলা বৈশাখ হলো বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন |মুগল সম্রাট আকবর বাংলা বছরের রূপকার |মুগল সম্রাট আকবর বাংলা সনের পবর্তক | যদি আমাদের তুরন প্রজন্মকে বলা হয় বাংলা সনের পবর্তক কে তাহলে বেশির ভাগ বলতে পারবেনা | কারণ আমরা পান্থা -ভাত ,ইলিশ খেতে বেশি পছন্দ করি ,ইতিহাস কে নয় | আমাদের ইতিহাস ,ঐতিহ্য ,সংস্কৃতি নিয়ে এগুতে হবে সঠিকভাবে ,তবে আমাদের পন্থা -ভাত খাওয়া সফল হবে |
আমার এক বন্ধু আমাকে এক সকালে এসে বলল দুস্ত চল ভার্সিটিতে | বললাম না দুস্ত আজ ছুটি আজকে কেন যাব ,সে বলল দুস্ত জানসনা আজকে যে বিশ্ব ভালবাসা দিবস চলনা দেকবে অনেক মজা হবে | আমি না গিয়ে আর পারলামনা ,গিয়ে দেখি একজন ,দুজন করে সবাই সবার মত হাটা হাটি করতাছে |বিশেষ করে প্রেমিক প্রেমিকেরা কেও পাহাড়ের উচুতে,কেও বা পাহাড়ের নিচু কোনো ঝোপ ঝড়ের পাশে বসে প্রেমালাপ করতাছে | ইতিমধ্যে আমরা বন্ধু বান্ধব বেস কয়েকজন হয়ে গেলাম |অনেক আড্ডা দিলাম ,তারপর আমদের সবার একটি প্রিয় জায়গা শহিদ মিনার এলাকায় চলে গেলাম | সেখানে বসে আমরা সবাই চা পান করলাম । হঠাত করে আমার এক বন্ধুর ফোন বাজে উঠল ,ফোন শেষ করে সে বলল দুস্ত আজকে গানের একটা কোনসার্ট আছে সন্ধের পর ।
সময়মত আমরা সবাই কোনসার্ট এ হাজির হলাম ,প্রথম প্রথম কয়েকটা গান শুনলাম বেশ ভালো লাগলো । তারপর শুধু গানের বিট ছাড়া আর কিছুই আমরা শুনতে পেলামনা ,যদিও সম্মানিত গায়ক সাহেবরা গান গেয়েছিলেন । প্রথমে আমি ভাবছিলাম আমার বুধয় শুনতে সমস্যা হচ্ছে হঠাত করে আমি আমার এক বন্ধুকে বললাম কি গান হচ্ছে বন্ধু সে বলল আসলে দুস্ত আমি বলতে পারবনা ,আমি বললাম তাহলে লাফাচ্ছছ কেন সে বলল কনচার্ট এ নাকি লাফালাফি করতে হয় ,লাফালাফি না করলে কোনচার্ট নাকি জমেনা ।এভাবে কোন চার্ট চলল ঘন্টা দু-এক , তারপর যা হলো রীতিমত আমরা বাংলা গান গাইতে পারিনা সেখানে হিন্দি গান শুরু করলেন আমাদের এক শিল্পী আর আমরা সবাই লাফালাফি করতে লাগলাম । এই হলো আমার দেশের সংস্কৃতি ,আমরা আমাদের যা কিছু আছে তা নিয়মিত দেখাশুনা করতে পারছিনা অতচ অন্য কে দেখার দায়িত্ব নিতে হাটু জল খেয়ে পরছি ।আমি এটাকে বোকামি বা ভন্ডামি ছাড়া আর কিছু বলতে নারাজ ।
লাইব্রেরি হচ্ছে জ্ঞানের ভান্ডার । একটি দেশের সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হচ্ছে লায়িব্রেরি ।জনৈক একজন লেখক বলেছিলেন "যদি তুমি কোনো একটি জাতিকে ধংস করতে চাও তবে সবার আগে তার লায়িব্রেরিকে ধংস করে দাও"। একটি দেশের সংস্কৃতি ও সভ্যতার মাপকাঠি হচ্ছে তার লায়িব্রেরি । যার লায়িব্রেরি যত সমৃদ্ব ,তার সংস্কৃতি ও সভ্যতা তত সমৃদ্ব ।এখন দেখার বিষয় হলো আমরা কতটা সমৃদ্ব করতে পারছি আমাদের লায়িব্রেরিকে বা কতটা আন্তরিক আমরা আমাদের লায়িব্রেরিকে সমৃদ্ব করতে ।
আজকাল পাখির বাসার মত তথা মাকড়সার জালের মত দেশে স্কুল ,কলেজ গড়ে উঠতেছে । স্কুল -কলেজের চাহিদা বেড়ে চলেছে দিনের পর দিন এবং এই চাহিদা বাড়বে ক্রমাগত ভাবে ।দেশে বাংলা মিডিয়াম স্কুল এর পাশাপাশি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল বৃদ্বির হার একটু বেশি । আমি এখানে শ্রদ্বার সহিত একটি কথা বলব যে ,ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এর ছাত্র -ছাত্রীদের মাঝে একটি ভাব লোক্য্নীয় যে আমরা সব জানি ,আমরা স্মার্ট ,আমরা ইংরেজিতে কথা বলতে পারি । আমি মানলাম আপনারা অনেক স্মার্ট ,আপনারা ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন । স্মার্ট হতে হলে নুন্যতম কিছু সর্থ আছে ,এই শর্ত গুলো যদি আপনার মাঝে থেখে থাকে তাহলে আপনি নিজেকে একজন স্মার্ট লোক ভাবতে পারেন। স্মার্ট হতে হলে আপনাকে একজন সত ,চরিত্রবান ,বুদ্বিবান ,মেধাবী ,কর্মঠ ,আত্বসমালোচনাকারী ,ভাষাগত জ্ঞান , সৃজনশীল ,বেশবুসে স্বাভাবিকতা বজায় থাকতে হবে | এখন দেখার বিষয় হলো আপনার আমার মাঝে কতটুকু বিদ্যমান আছে উপরে বর্ণিত বিষয়গুলো |
আমরা যারা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল -কলেজে পড়ি আমরা তো জাতি গত ভাবে বাঙালি বা বাংলাদেশী | আমাদের মাতৃভাষা বাংলা ,মায়ের গর্ভ থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত আমরা সবাই বাংলা ভাষায় কথা বলি বা বলছি | ইংরেজি হচ্ছে আমাদের দিত্বীয় ভাষা ,অর্থাৎ বাংলা ভাষার পর আমাদের পরের ভাষা হচ্ছে ইংলিশ | আর আমরা যারা ইংলিশ মিডিয়াম এ পড়ি আমাদের লেখা পড়ার স্বার্থে এটি হচ্ছে আমাদের প্রধান ,তাই বলে মাতৃভাষাকে অবগ্গা করে নয় | আমাদের দেশের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল-কলেজে বাংলা বিষয় টাকে গুরত্ব দেওয়া হয়না ,তার প্রমান আমরা ভিবিন্ন ভাবে পাই |
বাস্তব একটা উদাহরন হলে ভালো হয় ,বছর দু এক আগে ২১শে ফেব্রুয়ারীতে একটা সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্টান দেখছিলাম টেলিভিশনে সম্ভবত একুশের বই মেলাতে | বই মেলাতে অনেক মানুষের ভিড় লোক্য্নীয় ছিল ,বেশির ভাগ পরিবার এবং তরুণ -তরুণী ,শিশু -কিশুর | ওই অনুষ্টানে লোকজনদের অভিমত জানার জন্য সাংবাদিক একজন একজন করে জিগেশ করেছিলেন যে আপনাদের কেমন লাগছে বই মেলায় এসে ,সবাই বলছিল বল লাগছে বা খুবই আনন্দিত লাগছে এরকম অনভুতি তারা অনেকে প্রকাশ করেছিল | কিন্তু আমাকে হতাশ করে দিয়েছে কিছু তরুণ-তরুণী ,যাদের কাছে আমাদের প্রতাশা অনেক | যখন সাংবাদিক জিগেশ করছিল তাদের আজকে কি দিন,সুন্দর করে তারা বলেছিল আজকে হলো একুশে ফেব্রুয়ারী ,তারপর সাংবাদিক যখন আবার তাদের জিগেশ করছিল এই দিন কি হয়েছিল তখন তারা একবারে বোবার মোত দাড়িয়ে রহিল এবং একজন আরেকজনের মুখের দিকে থাকিয়ে টুট কাম্রাচ্ছিল | কিচুক্কন পর একজন বলল ওই দিন নাকি মুক্থী যুদ্দ হয়েছিল ,আমি তো অবাক হয়ে থাকিয়ে রহিলাম তেলিভিসিওন এর পর্দার দিকে | তার পর সাংবাদিক তাদের জিগেস করলেন যে তারা কি করে ,তারা বলল তারা লেখাপড়া করে ,তাদের স্কুল ও কলেজের নাম জিগেশ করা হলো , ঢাকার দুটি নামকরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ও কলেগের নাম বলল তারা | তাদের জিগ্গেস করা হলো তাদের কে কি একুশে ফেব্রুয়ারী যে আমাদের ভাষা দিবস এটি তাদের সিক্কক বা পাট্য সূচিতে কি নেই না তাদের এসব জানানো হয়না | যদি পাট্য সূচিতে না থাকে তবে আমার মনে হয় এটা তো আমাদের শিক্ককদের নৈতিক দাহিত্ব এসব গুরুত্ব পূর্ণ জিনিস বা গটনা আমাদের ভবিস্যত প্রজন্মকে জানানো এবং স্বাধীনতা আন্দোলন,ভাষা আন্দোলন ,বাংলা নববর্ষ সমন্ধে ইতাদি বিষয়াদি আমাদের ভবিস্যত প্রজন্মকে সুন্দর ও সাবলীল করে ,আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তাদের কাছে তুলে ধরা আমাদের সবার নৈতিক দায়ত্বের মধ্যে বর্তায় |
আমাদের এখনো সময় আছে আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য সটিক ভাবে তুলে ধরে জানানো ,নতবা আমাদের কপালে অনেক দুর্গতি অপেক্কামান | যে দুর্গতি বা অবিশাপ থেকে আমরা কেও রেহাই পাবনা | আমার একটা অনুরুধ সকলের কাছে আমরা সবাই বাংলা বই পড়ব এবং বাংলাদেশী টিভি চ্যানেল দেখব এবং আমরা আমাদের ছেলে মেয়েদের বাংলা বই পড়ার এবং বাংলা টিভি চ্যানেল দেখার প্রতি উত্সাহিত করব যাতে তারা আমাদের সংস্কৃতি সমন্ধে ভালো জ্ঞান রাখে |
বাংলায় একটা প্রবাধ আছে " বাধ বেঙ্গে পানি ডুকে পড়া "| বাধ বেঙ্গে পানি ঢুকে পরা মানে কঠিন বিপদে পড়া , যে বিপদ থেকে রক্কা পওয়া যায় না | এখানে বাধ কে উপমা সরূপ আমরা আমাদের সংস্কৃতি ধরে নিব এবং পানিকে অপসংস্কৃতির আগ্রাসন ধরে নিব | বাধ কিন্থু হুঠ করে ভেঙ্গে যায়না ,অল্প অল্প করে পানি বেদ করে বড় একটা ফাটল তৈরী করে বেঙ্গে যায় ,তখন আর কিছু করার থাকেনা | কিন্তু যদি এই ফাটল গুলো দিয়ে পানি বেদ করে আসা আগে দেখা যায় ,তখন বাধ মেরা মত করে দিলে আর ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষিন থাকে |
আমাদের সংস্কৃতি বাধ বেঙ্গে পানি ডুকার মত অবস্থা । অল্প অল্প করে আমাদের মাঝে অপসংস্কৃতি স্থান করে নিয়ে যাচ্ছে ।আমরা বাদ দিব বলে বলে বাদ দিতে পারছিনা ,আমরা দেখতে পাচ্ছি যে আমাদের সংস্কৃতির বাধ ভেদ করে আস্থে আস্থে ভিন্ন সংস্কৃতির আচার অনুষ্টান আমাদের সংস্কৃতির মাঝে ডুকে পড়ছে ,যার ফলে অনেক সময় নির্ণয় করা দু;সাধ্যে হয়ে পড়ে আসলে কোনটা আমাদের নিজ্বস সংস্কৃতি আর কোনটা বিদেশী সংস্কৃতি । দেশীয় সংস্কৃতি ও বিজাতীয় সংস্কৃতির মিশ্রনে সব কিছু যেন কি রকম একটা যোগাকিচুরি অবস্থা সৃষ্টি করে ফেলেছে । বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে দেশীয় সংস্কৃতিকে মুক্ত রাখতে হবে ,নতবা আমাদের সংস্কৃতির অবস্তা হবে ওই বাধ বেঙ্গে পানি দকার মত । যদি পুরাপুরি ডুকে পড়ে কোনভাবে তাহলে আর তেকে মুক্তি পাওয়া খুবই দুস্কর হবে আমাদের জন্য ।তাই এখন ও সময় আছে আমাদের যাতে আমাদের চুখ -কান সজাগ থাকে এবং দেশীয় সংস্কৃতির সৃজনশীল অনুশীলন নিয়মিত চালিয়ে যাই ।
আজকাল দেখা যায় যে ব্যঙের ছাতার মত তেলিভিসিওন চ্যানেল গজিয়ে উটেছে দেশে এবং দেশের অনেক প্রতন্ত অঞ্চলে ও এর প্রচার হচ্ছে | দেশীয় টেলিভিসিওন এর পাশাপাশি বিদেশী টেলিভিসিওন চ্যানেল ও প্রচার হচ্ছে আর আমরা দেশীয় ওটেলিভিসিওন এর অনুষ্টান না দেখে আমরা প্রতিনিয়ত বিদেশী চ্যানেলের অনুষ্টান দেখছি ,এতে করে আমরা আমাদের দেশীয় টিভি চ্যানেলের দেশীয় অনুষ্টান দেখছিনা | যার ফলে না দেখে আমাদের মাঝে অর্থাত আমাদের মস্তিস্কে আগে থেকে ধারণা চলে আসে না অনুষ্টান ভালো হবেনা | আমাদের একটা বদ অভ্যাস হচ্ছে কোনো কিছু আমরা না জেনে , না বুঝে ,না দেখে ধারণা করে বলে ফেলি এটা ভালো বা এটা ভালো নয় ,এটা আসলে টিক না | কোনো কিছু সমন্ধে মন্তব্য করতে হলে আগে ওই বিষয় সমন্ধে আমাদের সম্যক জ্ঞান থাকতে হবে |
বিজাতীয় টিভি চ্যানেলের অনুস্টানগুলো আমাদের পরিবার ও সমাজে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে | এই বিজাতীয় টিভি চ্যানেলের অনুষ্টান দেখে আমাদের পরিবার ও সমাজে যে ঐতিহ্য ,মায়া -মমতা ,বন্দন বিদ্যমান ছিল তা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করছে | ওই সব বিজাতীয় টিভি গুলোতে পরিবার কেন্দ্রিক ,পরিবারে লোকজনদের মদ্যে ভালো মন্দ দিক গুলো তুলে ধরা হয় টিক কিন্তু ভালো আর চেয়ে খারাপ দিক গুলো সম্প্রচার করে অতিরঞ্জিত করে | যা মোটেও টিক না |
আমি এখানে আমার একটা অভিজ্ঞতা প্রকাশ করব , যেটা তিন চার বছর আগের |আমি প্রায়ই সন্ধ্যে আমার এক পরিচিত বড় বোনের বাসায় যেতাম এবং সেখানে গিয়ে দেখতাম আপা টিভির সামনে বসে গভীর মনোযোগ দিয়ে হিন্দি একটা সিরিয়াল নাটক দেখতেন | আমার আপন কোনো বড় বোন্ ছিলেন ,তাই ওই আপাকে আমি আমার আপন বড় বনের মত দেখতাম এবং আপাও আমাকে তার আপন ছোট ভাই এর মত আদর করত | আমি প্রায় দিন একটা বিষয় দেখলাম যে ,যেদিন আমি যাইতাম আপুর বাসায় ওই দিন যদি টিভিতে ওই হিন্দি সিরিয়াল চলত বাসার দরজা খুলে আপু শুধু বলত কিরে ভালো আছিস ,আয় বস বলে আপু টিভির সামনে বসে পড়ত | আমি কোনো কিছু জিগ্গেস করলে বলত একটু দাড়া সিরিয়াল তা শেষ হোক তারপর তর সাথে কত বলব | যতারীতি সিরিয়াল শেষ হওয়ার পর অপু আমার জন্য চা -নাস্তা এবং গল্প গুজব করত | এখানে একটি কথা বলে ফেলি আমি ও কিন্তু অপুর সাথে ওই অনুষ্টান দেখতাম ,কিন্তু মজার বিষয় হলো আমি কিছুই বুঝতাম না ,বুবাদের মত হা করে শুধু থাকিয়ে থাকতাম | একদিন আপুকে জিগ্গেস করলাম আপু ওই নাটকটা শেষ হয়না কেন ,আপু আমায় বলল আরে এটা তো পাঁচ শত পর্বের মত ,আপুর কথা শুনে আমি রীতিমত ঠাকসি খেয়ে পেলাম ,মনে মনে বললাম একই বলে আপু | সম্মানিত পাঠক এখানে আপনারা একটা বিষয় অবস্য বুঝতে পরেছেন যে আমার আপু কতটা ওই সিরিয়াল নাটক দেখতে আসক্ত যেখানে তার ছোট ভাই তার বাসায় যাওয়ার পর সুধু বলল বস পরে তর সাথে কথা বলব |
এখন আসা যাক ওই নাটকের থিম বা বিষয়বস্তু কি ছিল তা জানা যাক | নাটকের বিষয় বস্তু ছিল পরিবার | দুটি বর্ধিত পরিবার এর দৈনন্দিন জীবন ও কার্যকলাপ ,তাদের পরিবার এর আয়ের উত্স ,পরিবার এবং তাদের সামাজিক মর্যদা ,পরিবার এর সদস্যদের মধ্যকার সম্পর্ক , তাদের ধ্যান -ধারণা ইত্যাদি বিষয় | আপনারা সবাই জানেন বর্ধিত পরিবারে কারা কারা থাকেন | সাধারনত দাদা -দাদী ,চাচা -চাচি ,মা-বাবা ,ভাই-বোন্ ,চাচাত ভাই-বোন্
ছাড়া আরো অনেক নিয়ে বর্ধিত পরিবার হয়ে থাকে | এই বর্ধিত পরিবারে যেমন সুবিধা অনেক আবার অসুবিধা ও অনেক থাকে | সুবিধা -অসুবিধা ,সুখ -দুঃখ ,আশা -আকান্কা নিয়ে মানব জীবন তথা পারিবারিক জীবন পরিচালিত হয় ,আর এটা ঘটবে বা বিদ্যমান থাকবে এটা হছে স্বাভাবিক |
এই নাটকে দেখানো হয়েছে বর্ধিত পরিবারে একজন কর্তা থাকেন এবং কর্তা পরিবারের সর্বময় ক্ষমতার মালিক ,কর্তার ইচ্ছা অনুযায়ী পরিবার চলে । কর্তার অনুপস্তিতিতে পরিবারের বড় ছেলে এই ক্ষমতা লাভ করে থাকেন ।তাদের কথা এবং তাদের যেকোন সিদান্ত পরিবারের বাকি সদস্যরা মেনে নিতে হয় ।এখানে পরিবারের ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয় একটি নিয়মে চলে দেখানো হয়েছে । যেমন পরিবারের সবচেয়ে বয়্জস্থ্য মানুষটি যখন বেকার বা অকর্মা হয়ে যান তখন তার পরিবার এর উপর থেকে তার কর্তিত্ব আস্থে আস্থে কমে আসে এবং তিনি পরিবারের অনান্য সদস্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন, তখন তার আর কোনো কর্তিত্ব চলে না । এরপরের বিসয়টা আর মজার এখানে পরিবারের কর্তিত্ব প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী পরিবারের বড় ছেলের উপর পড়ার কথা কিন্থু এই নাটকে পরিবারের কর্তিত্ব দেখানো হয়েছে পরিবারের যে মানুষটি আয় -রোজগার ভালো করে তার উপর বর্তায় । তাকে পরিবারের সবাই অনুসরণ করে থাকে এবং তার কর্তিত্ব সবাই মেনে নেয় ।
তারপর নাটকে দেখানো হয়েছে কর্তিত্ব নিয়ে দন্দ্ব পরিবারের মহিলাদের মধ্যে প্রথম সৃষ্টি হয় ,এরপর সেটা পুরুষদের মধ্যে গড়ায় এবং পরবর্তিতে ঐ বর্ধিত পরিবার বেঙ্গে একক পরিবারে রুপান্তরিত হয় ।একক পরিবার সৃষ্টির পর ওই পরিবারের মা -বাবা কে নিয়ে টানাপোড়ন পড়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত তাদের ঠিকানা হয় বৃধাস্রম ।
এখন নাটকে দেখানো হয়েছে নাটকে একটি ছেলের সাথে একটি মেয়ের বিবাহ হবে ,ছেলের জন্য মেয়ে দেখার বিষয়টা এখানে পরিবারের বড় ভাই এর বউ ভাবির এক তার এর অপর নির্ভর করে । এখানে ছেলের পছন্দ প্রাধান্য নয় ভাবির পছন্দ মুখ্য দেখানো হয়েছে । ভাবি কে এখানে দেখানো হয়েছে ভাবি তার নিজের পছন্দের পাত্রী পছন্দ করে দিবেন দেবরের জন্য । ভাবি কে এখানে দেখানো হয়েছে ভাবি পাত্রী খুজেন তার চেয়ে একটু কম সুন্দরি ,কম বুধিমতি যাতে তার চেয়ে পাত্রী কম গুণবতী হয় ।
ভাবির পছন্দ অনুযায়ী দেবরের বিবাহ হলো ,বলা বাহুল্য যে এখানে দেবরকে একটু সহজ সরল দেখানো হয়েছে । বিবাহ হহার পর তাদের সংসার খুব ভালো চলল ,কিন্তু অল্প দিনের ব্যবধানে এখানে আরো একটি জিনিস আবিস্কার হলো যারফলে তাদের সেই সুখ শান্তি আর বেশি দিন স্থায়ী হলনা । এখানে পাত্রীর বিবাহের আগে প্রেম গটিথ বিষয় টি মাথা চূড়া দিয়ে দাঁড়াল ,যা এখন পরকিয়া রূপে রুপান্তরিত হলো ।প্রতিদিন ওই নব দম্পতির মধ্যে ঝগড়া ঝাটি শুরু হয়ে গেল ।ছেলেও নতুন করে অন্য এক নারীর সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়ল । এতে করে তাদের মধ্যেকার বিশ্বাস প্রকট আকারে ফাটল ধরল । দুজনে সমান তালে পরকিয়া করতে লাগলো এবং বাসার বাহিরে দুজনের জীবন খুবই আনন্দে কাঠতে থাকলো ।
এদিকে ভাবি দেবরের পক্ষে সাফাই গাইতে সুরু করলেন |দেবরকে ভিবিন্ন পরামর্শ দেন যে তোমার বউ তো আমাদের মান সম্মান আর রাখছেনা ভাই ,তুমি কি করবা ,এভাবে চললে ভাই আমাদের তো সমাজে চলতে হবে না ,তুমি কিছু দিনের জন্য তোমার বউ কে তোমার সসুর বাড়ি পাটিয়ে দাও | বেচারা সহজ সরল দেবর ভাবিকে উনার মনের সব খবর বলে ফেললেন ,উনি উনার প্রেমের খবর উনার ভাবিকে জানালেন ,ভাবি তখন আদরের দেবরকে বললেন ভাই তেতো টিক আছে , এতদিন আমি ভাবতাম আমার দেবর একটা বোকা কিন্তু আজ তুমি আমার ধারণা পাল্টিয়ে দিলা | ভাবি তার দেবরকে বললেন যেহেতু বাই তুমি সব টিক তাক করে ফেলেছ এখন তুমার বিষয় তুমি কি করবা | ভাবি বলল তার আদরের দেবরকে একই সাথে তো দুজনের সাথে ঘর -সংসার করা যায় না ,এখন তুমি সিদ্বান্ত নেও তুমি কাকে রাখবা ,যেয়েতু তোমার স্ত্রী তোমার সাথে প্রতারণা করতেছে ,তুমাকে ঠকাচ্ছে আর অন্য দিকে অন্য একজনের সাথে পরকিয়া করে যাচ্ছে ,এই হলো ভাবির প্রতিক্রিয়া দেবরের প্রতি |এখন সম্মানিত পাঠক আপনারা বুঝতে পারছেন দেবরের কি সিদ্বান্ত হবে |
ভাবির পরামর্শ অনুযায়ী দেবর একদিন তার প্রেমিকাকে বাসায় নিয়ে আসলো এবং তার স্ত্রী জিগ্গেস করলো ওই মহিলাটি কে সে বলল তার খুব কাছের একজন বান্দবি | এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া -ঝাটি শুরু হলো এবং এক পর্যায় দুজনের মধ্যেকার সম্পর্ক বেজে গেল ,এবং যে যার মত চলে গেল | যার যার গন্তব্য স্থলে চলে গেল | সম্মানিত পাঠক আপনারা বুজতে পারছেন তাদের শেষ পরিনতি কি হলো |এই নাটকে আরো অনেক কিছু দেখানো হয়েছে যা আমাদের পরিবার ও সমাজের পরিপন্থী | এই নাটকের অনেক কিছু আছে যা আমাদের সমাজে অতার অস্তিত নেই | এখানে কোনো কোনো জায়গায় দেখানো হয়েছে নারী -পুরুষের অবাদ মেলামেশা , নারী -পুরুষের অসম প্রেম কাহিনী , এমন কিছু আচার -অনুষ্টান , এমন কিছু বেশ -বুসা যা আমাদের পরিবার ও সমাজের পরিপন্তি | এই নাটকে দেখানো হয়েছে তথা কথিত আধুনিকতা যেখানে বেশ -বাশার মধ্যে কোনো রুচিশীলতার পরিচয় মিলে নি ,যেখানে মানুসের মধ্যেকার পারস্পরিক স্রদ্বাবোধ এর কমতি দেখানো হয়েছে , যেখানে দেখানো হয়েছে মেখি ভালবাসা ,স্নেহ ,আদর ,সর্বোপরি পারিবারিক কলহ ,বিবাদ এবং পরিবার নামক ছোট রাষ্ট্র কে কিভাবে বিলপ্তু করা যায় বা কিভাবে ঘটে তা দেখানো হয়েছে | এখানে পারিবারিক বন্দন কে অবগ্বা করে নর -নারীর জৈবিক চাহিদাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে | যা আমাদের চিরাচরিত গ্রামীন পরিবার বা শহুরে পরিবারে এটা লক্ষ করা যায়না আগে কখনো ।
কিন্থু আজকাল এই সব বিজাতীয় সংস্কৃতির সিরিয়াল নাটক দেখে আমাদের পরিবার ও সমাজে অনেকটা অনুশীলন শুরু হয়ে গেছে । যার বিরূপ প্রতিক্রিয়া আমরা দেক্থে পাই প্রতিনিয়ত প্রতিদিনের পত্র -পত্রিকা ও ভিবিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । আগে খুবই কম শুনা যেত যে বিবাহ বন্ধন বেঙ্গে যাওয়ার ,যা বর্তমানে একটা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে এতে করে আমদের সমাজে প্রতিনিয়ত সমস্যা দেখা দেয় নুতন রূপে ।আগে আমাদের সমাজে নারী নির্যাতন খুবই কম ছিল ,জোন নির্যাতন ,ইভটিজিং খুব কম ছিল । কিন্তু বর্তমানে এগুলো প্রকট আকার রূপ ধারণ করে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রে বিস্তার লাভ করছে । আমি মনে করি ,যেখানে মানুষে মানুষে পারস্পরিক স্রধাবোধ ,ভালবাসা ,স্নেহ -আদর এর গাঠতি দেখা দেয় ,সামাজিক মূলবোধ এর অবক্ষয় ঘটে সেখানে এরকম সমস্যা ঘটবে ।
আমাদের দেশের নুতন প্রজন্মের কাছে অদুনিকতা হচ্ছে ,কারো সাথে যদি আমরা কথা বলি তাহলে আমরা আমাদের দেহের অঙ্গ প্রতঙ্গ গুলো নাড়িয়ে বাংলা ও ইংরেজির সংমিশ্রনে কথা বলি আর সেটা ভুল হোক আর সঠিক হোক ,লোকজন বঝুক আর নাই বুজক আমরা চালিয়ে যাই ।এটা হচ্ছে আমাদের সংস্কৃতির সাথে নতুন সংসুজন । আমাদের এরকম হাব ভাব দেখে অনেক বিদেশী আমাদের কে চুখে আঙ্গুল দেখিয়ে দে বলে যে তোমরা কি তোমাদের ভাষা ভালবাসনা। লোকজন বলার কথা কারণ যেভাবে আমরা বাংলা এবং ইংরেজির সংমিশ্রন ঘটিয়ে লোকজনের সহিত কথা বলি ।
গত কিছু দিন আগে একজন বিদেশী মহিলার একটা সাক্ষাত্কার আমাদের একটি বাংলাদেশী টিভি চানেলে নিয়েছিল | ওই ভদ্র মহিলা আসলে রীতিমত আমাদেরকে জুতা দিলেন | ভদ্র মহিলা বললেন আপনারা বাঙালি ,আপনারা বাংলা ভাষায় কথা বলেন না কেন | তিনি বলছিলেন আপনারা যখন কথা বলেন তখন আপনারা ভাষার মধ্যে ইংরেজি ভাষার যে মিশ্রন ঘটান তাতে আপনাদের ভাষার মধ্যে আপনাদের ভাষার যে সৃজনশীলতা থাকে তা প্রকাশ পায় না | তাই আমি মনে করি আপনারা আপনাদের ভাষা পুরাপুরি ভাবে প্রকাশ করবেন ,তাতে আপনাদের মঙ্গল হবে এবং ভাষা তার মোলিকতা পাবে | সবচেয়ে মজার ঘটনা হলো যে উপস্তাপক তার সাক্ষত্কার নিয়েছিলেন উনি তাকে ও লজ্জা দিলেন | ওই বিদেশিনী বাংলা ভাষা জানতেন এবং খুব সুন্দর করে বাংলায় কথা বলছিলেন ,তিনি যতক্ষণ কথা বলেছিলেন পুরাপুরি বাংলায় কথা বলেছিলেন কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার আমাদের উপস্তাপক সাহেব মাঝে মধ্যে বাংলা ভাষার মধ্যে ইংরেজির মিশ্রন ঘটিয়ে অনুষ্টান টা পরিচালনা করলেন | একপর্যায় ভদ্র মহিলা উপস্তাপকের উদ্দেশ্য বললেন আমি বাংলা ভাষায় ভালো করে কথা বলতে ও শুনতে পারি ! তারপরও আমাদের বোদগম্য হয় না | একজন অবাঙালি যতটা আমাদের ভাষাকে শ্রদ্বা ,ভালবাসা প্রদর্সন করলেন ,আমরা বাঙালি হয়ে বাংলা ভাষাকে কতটা ভালবসতে পেরেছি তা আমাদের চিন্তার বিষয় বা ভাবার বিষয় |
আমরা সকলে জানি মনের ভাব প্রকাশের নাম ভাষা ,আর সেটা হলো একটা সার্বজনীন সংঘা | আর এই সংঘার পরিপেক্ষিতে আমরা কি বলতে পারি ,মনের ভাব যেকোনো উপায়ে প্রকাশ বা বুঝানোর নাম ভাষা | উদাহরণ স্বরুপ আমরা বলতে পারি ,একটি ছোট শিশু যখন কাঁদে তখন তার মা বুঝতে পারেন শিশুটি কি জন্য কাঁদছে , শিশুটি খাবার খাওয়ার জন্য নাকি পেট পীড়ায় নাকি পেশাব বা পায়খানা করার জন্য | এখানে শিশুটি তার মনের ভাব কান্নার মাধ্যমে প্রকাশ করছে সে কি চায় এবং সেটা তার মা বুঝতে পারেন খুব সহজে যা অন্যরা খুব সহজে বুঝতে পারেন না |
যখন দুজন বোবা বা বধির লোক কথা বলে তখন আমরা সবাই বুঝতে পারিনা তাদের মধ্যে কি কথোপকতন হচ্ছে | কিন্তুও তারা টিক একে অপরকে খুব সুন্দর করে তাদের মনের ভাব আদান প্রদান করে তাদের মধ্যে কোনো সমস্যা হয়না | সেটা সর্বজন বুঝতে পারে না |
পোষা প্রাণীর মধ্যে কুকুর সবার কাছে পরিচিত | কুকুৰ তার মনিবের খুবই আনুগত্য | কুকুর তার গেউ গেউ চিত্কার বা শব্দের মাধ্যমে তার মনিবের কাছে তার মনের ভাব প্রকাশ করে আর তার গেউ গেউ চিত্কার শুনে তার মনিব বুঝতে পারে সে কি জন্য গেউ গেউ করতাছে | তবে পোষা কুকুরের একটি ভাষা সকলের জানা আছে যে , বাড়িতে কোনো নতুন লোক আসলে বা অপরিচত কেউ আসলে পোষা কুকুর গেও গেও করে এবং বাড়ির লোকজনদের জানিয়ে দেয় যে বাড়িতে অপরিচিত একজন আসছে | সেটা হলো কুকুরের ভাষা ,সে তার মনের ভাব ঐ গেও গেও শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করে |
উপরে উল্লেখিত উদাহরণ সমুহের আলোকে আমরা বলতে পারি ,মনের ভাব প্রকাশের নাম ভাষা ,তবে সেটা সাধারনত | মনের ভাব ভাষা আকারে প্রকাশ হতে হলে তার একটা অর্থ থাকবে ,যেটা সবার বোধগম্য এবং সবাই যাতে সেটা বুঝতে পারে কোনো প্রকার বাধা ছাড়া | শিশু ,বোবা এবং কুকুর তাদের ভাষা আছে ,কিন্তু তারা তাদের মনের ভাব সুম্পর্ন রূপে অর্থ বহু আকারে প্রকাশ করতে পারেনা সেজন্য আমরা তাদের ভাষা খুব সহজে বুঝতে পারিনা | কিন্তু আমরা যারা কথা বলি কোনো বাধা ছাড়া ,তা অন্যরা বুজতে পারে এবং আমাদের কথা গুলো অর্থ বহ |
কিন্তু আজকাল একটি জিনিস ফ্যাশন বা স্টাইল হয়ে গেছে ,আমরা যখন কথা বলি কথার ফাঁকে ফাঁকে দু একটা ইংরেজি শব্দ ঢুকিয়ে কথা বলি | এর মানে কি দাড়াল ,আমরা আমাদের মনের ভাব আমাদের মাতৃভাষায় সম্পুর্ন অর্থ রূপে প্রকাশ করতে পারছিনা | আসলে তা না আমরা চেষ্টা করছিনা |
ওই যে বললাম আমাদের একটা ফ্যাশন বা স্টাইল হয়ে গেছে এভাবে করার | তাদের ধারণা বাংলার সাথে ইংরেজির মিশ্রন ঘটিয়ে কথা বললে লোক নাকি বলবে ছেলেটা বা মেয়েটা অনেক স্মার্ট বা আধুনিক | বলাবাহুল্য আগেই বলেছি ,পেন্টের উপর আন্ডার ওয়ার পরলেই সুপারম্যান হওয়া যায় না | তাই আমাদের সকলের উচিত সুন্দর ,সঠিক ও সৃজনশীল ভাবে সুম্পর্নরূপে বাংলা ভাষায় আমাদের মনের ভাব প্রকাশ করা এবং সঠিক ভাবে আমাদের মাতৃভাষার অনুশীলন করা |
"টিনের চালে কাকের বাস " বাংলায় একটা প্রবাধ আছে | আমি এটাকে এভাবে ব্যাখ্যা করব ,যখন আকাশে রোদ থাকেনা ,ছায়াময় পরিবেশ থাকে তখন কাক তিনের চালে বিচরণ করলো এবং ভালো অনুভূত লাগলো | আবার যখন আকাশে প্রখর রোদ তখন যদি কাক তিনের চালে বিচরন করতে আসে তখন কাকের পা দুটো জলে -পুড়ে ছাই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে | তাই ঠিনের চালে কাকের বাস মানে নিজেকে নিজে মেরে ফেলা ,এজন্য বসবাসের জন্য কাক তিনের চাল পছন্দ করে না | বনের কাক একটা জিনিস খুব সহজে বুঝতে পারল যে তিনের চলে তার বাস ধংস নিয়ে আসবে তার জন্য অথচ আমরা মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব আমরা সহজে অনুধাবন করতে পারছিনা কোনটা আমাদের জন্য ভালো আর কোনটা আমাদের জন্য মন্দ ।
আরেকটা জিনিস আমাদের ঘোচরে আসে সেটা হলো শরীর হেলিয়া দুলিয়া কথা বলা । বিশেষ করে আমাদের তরুণ সমাজ এটার অনুশীলন করে থাকে ।সেটাকে আমি অন্য চুখে দেখতেছিনা ,বলার খাতিরে শুধু বলা । এই অঙ্গ বঙ্গিকে ইংরেজিতে বলে বডি লাঙ্গুয়াজ । সাধারনত ইংরেজরা কথা বলার সময় তাদের শরীরের ভিবিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গ নাড়িয়ে কথা বলে সেটা তাদের সংস্কৃতির একটা অংশ । তাই বলে আমরা তো আর জাতিতে ইংরেজি না যে আমাদেরকেও শরীর এর অঙ্গ প্রতঙ্গ নাড়িয়ে কথা -বার্তা বলতে হবে ।
এমন অনেক আছে যারা সুন্দর করে বাংলা ভাষায় কথা বলে ,যাদেরকে আজকাল আমরা অনেকে বলে থাকি ক্ষেত | আমার এক বন্ধু ছিল সেও আমার মত গ্রাম বাংলা থেকে ওটে আসা এক যুবক | সে গ্রাম বাংলার খুব দরিদ্র কৃষি পরিবারের ছেলে ,সে তার সাধ্যমত সব কিছু করত | তার কথা বার্তার মধ্যে গ্রাম্য একটা ভাব ফুটে উঠত ,যদিও সে কথাবার্তা সুদ্ধ বাংলা ভাষায় বলার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছিল | এরই মধ্যে ঘটে গেল একটা ঘটনা | আমার বন্ধুটির সহজ সরলতার সুযোগ কে আমাদের কয়েকটা বন্ধু -বান্দবী মজার জিনিস বানিয়ে ফেলল | তাকে দেখে কেও কেও আঞ্চলিক ও শুদ্ব ভাষায় মজা করে এবং তাকে নিয়ে অন্য দের সামনে ও করতে লাগলো | সে সেসমেস একদিন তাদের বলল আমি জানি তোমরা আমাকে নিয়ে মজা করতেছ এবং সেটা আমি অনেক আগে থেকে বুঝতে পেরেছি ,আমি তো তোমাদের মত লেখাপড়া করতে এসেছি | তাছাড়া আমি জানি আমি তোমাদের মত আধুনিক না , তোমাদের মত সুন্দর করে স্টাইল করে বাংলা -ইংরেজির মিশ্রন ঘটিয়ে কথা বলতে পারিনা | তোমরা যদি আমার সত্যিকার বন্ধু হও তাহলে আমি আশা করব তোমরা আমাকে নিয়ে আর মজা করবেনা |
কে শুনে কার কথা বরং তাকে নিয়ে মজা আরো বেশি করতে লাগলো | একদিন আমাদের বিভাগের এক বড় ভাই তাকে ডাকলেন বললেন এই তোমার নাম কি ,সে তার নাম বলল বড় ভাই বললেন জোরে বলতে পারনা ,সে কিন্ত জোরে বলছিল বড় ভাই তাকে নিয়ে মজা করার জন্য এরকম বলেছিলেন | এর মাঝে বড় এক আপু আসলেন ভাইয়া ঐ আপুকে লক্ষ করে বললেন যাও আপুকে ওই ফুলটা দিয়ে আস | সে যথারীতি আপুকে ফুল দিল ,আপু ফুলটি নিয়ে তাকে প্রশ্ন করলো তুমি কি জান ফুল দেওয়ার অর্থ কি ,সে সহজ সরল ভাবে বলল আপু জানিনা ,এই কে কার আপু ফুল দিয়ে আবার আপু ডাকে নেকা তুমি কিছু বোঝনা বুঝি | আপু তাকে বলল আমাকে কি তোমার প্রেমিকা পাইছ যে তুমি আমাকে ফুল দিবে দাড়াও দেখাচ্ছি তোমাকে মঝা | সাথে সাথে সে আপুর কাছে মাফ চাইল ,কিন্তু আপুত নাছর বান্দা তিনি তাকে বললেন আচ্ছা মাফ করব একসর্তে ,টিক আছে আপু | আপু সাথে সাথে তার বেনেটি ব্যাগ থেকে একটা একটাকার কয়েন বের করে মেঝেতে রাখলেন আর বললেন এই কয়েন দিয়ে দুই হাত জায়গা মাপ অর্থাৎ দুই হাত জায়গায় কয়টা কয়েন হবে বল | সে কি আর করবে বাধ্য ছেলের মত সে কয়েনটা হাতে নিয়ে গণনা করতে গিয়ে বাধ সারল | এই প্রথম আমি নিজেও দেখলাম যে কয়েন দিয়ে মেজে মাপা কতটা কঠিন | আসলে এরকম উদ্বট ধারণা লোকজনের মাতায় কি করে যে আসে যে আমার নিজের ও বোধগম্য হয় না | আসলে এটা মোটামুটি একটা কটিন কাজ ,আমাদের বন্ধুটি এটা করলনা ,মাজপথে সবাই আমরা মজা পাইলাম |
এভাবে আমাদের কেটে গেল প্রায় একবছর এবং এরই মাঝে আমদের এক সেমেস্টার কোর্স আর পরীক্ষা শেষ করে দিত্বীয় সেমিস্টার আর শেষ পর্যায় যখন হলো থখন আমাদের প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হলো | সবাইকে আশ্চর্য করে আমাদের বন্ধুটি প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষায় সর্বোচ গ্রেড পয়েন্ট পেয়ে সেমিস্টার পরীক্ষায় সে প্রথম হলো | তারপর থেকে সম্পুর্ন দৃশ্য পট পাল্টে গেল ,এখন সবাই আর আগের মত তার সাথে মজা করেনা ,সবাই তার কাছে আমরা যাই সিট্ পেপার দেখার জন্য এবং তার সাথে সবাই এখন একজন ভালো বন্ধু ,ভালো সহপাটির মত আচরণ করতে শুরু করলো | আমাদের বনদুটি ও আমাদেরকে সাহায্য করলো খুবই অন্থরিকভাবে এবং সে আমাদেরকে বুঝতে দিলনা যে তোমরা আমার সাথে মজা করলেও ,আমাকে নিয়ে টাত্রা বিদ্রুপ করলেও আমি কিছুই মনে করিনা | আসলে আমাদের ওই বন্ধুটি ছিল বুধিমান ,সে তার বুদ্বিমত্তার পরিচয় দিয়েছে তার কর্মের মাধ্যমে । সে আমাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে মানুষ বড় হয় তার কর্মের মাধ্যমে , সে তার কর্মের মাধ্যমে তার মহত উদেশ্য হাসিল করে । সে কথায় না দেখিয়ে কাজে দেখিয়ে দিয়েছে যে অজর পারা গা থেকে উটে আসা ছেলে -মেয়েরা তাদের যোগ্যতা বলে সব কিছু করতে পারে ।
একবার আমরা দিত্বীয় সেমিস্টার এর ব্যাচ প্রথম সেমিস্টার এর ছাত্র -ছাত্রীদের নবীন বরণ করার আয়োজন করেছিলাম । নবীন বরণ অনুষ্টানে আমাদের ওই বন্ধুটি তিনটি গান গেয়েছিল । প্রথম গানটি ছিল রবীন্দ্রনাতের " গ্রাম ছাড়া ওই রাঙামাটির পথ ,আমার মন ভুলায়রে "। কোনরকম মিউজিক ছাড়া খালি গলায় এত সুন্দর করে সে গেয়েছিল য়ে পুরো হল সে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল । তার দিত্বীয় গানটি ছিল " ধনে ধান্যে পুস্পে ভরা ,আমাদের ওই বসুন্দরা " বলতে গেলে পুরু অনুষ্ঠানটা সে মাতিয়ে তুলল । সর্বশেষে যে গানটি গাইল সেটা একটা পারডি গান ছিল । ওই গানে সে আমাদের দেশের তরুণ সমাজের আমাদের সংস্কৃতির প্রতি কেন এত অনীহা এবং অপসংস্কৃতির বিরূপ প্রতিক্রিয়া সে গানে গানে শুনালো । গানের কিছু অংশ এখানে দেওয়া হলো , দেশের বারোটা বাজাই লো গো হিন্দি ফিলিমে
,দেশটা রসাতলে গেলোগ হিন্দি ফিলিমে
দেশটা রসাতলে গেলোগ নানা কুকর্মে ।
দেশের বারোটা বাজালো গো হিন্দি ফিলিমে ,
দেশটা রসাতলে গেলোগ নানা কুকর্মে ,
দেশটা রসাতলে গেলোগ হিন্দি ফিলিমে ।
এসব দেখে যাই যে মরে ভিসন লজ্জা সরমে ,
হিন্দি ফিলিমে ।
দেশের বারোটা বাজাই লোগো
হিন্দি ফিলিমে ,
দেশটা রসাতলে গেল গ ,
নানা কুকর্মে ,
দেশটা রসাতলে গেলো গো
হিন্দি ফিলিমে ।
আরে ফিলিম দেখিয়া আট
বছরের করিম উদ্দিনের পুলা ,
নয় বছরের জরিনারে দেয় যে
ঘোলার মালা ।
আবার ফিলিম দেখিয়া ,
নেসা করিয়া
আব্বারে কয়
ডাডি গো ।
দেশের বারোটা বাজাই লোগো ,
হিন্দি ফিলিমে ,
দেশটা রসাতলে গেলো গো ,
নানা কুকর্মে ,
দেশটা রসাতলে গেলো গো
হিন্দি ফিলিমে ।
এই গান গাওয়ার সময় উপস্তিত সবাই হাত তালি দিতে লাগলো | গান গাওয়া শেষ হওয়ার পর আমাদের এক শিক্ষক বললেন ,আসলে আমাদের সমাজ ধংসের মূলে তথা আমাদের সংস্কৃতির নষ্টের মূলে প্রধানত কাজ করছে অতি মাত্রায় দেশীয় সংস্কৃতি ভুলে গিয়ে বিজাতীয় সংস্কৃতির দর্সন এবং অনুকরণ ও অনুশীলন | যতক্ষণ আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে ভালবাসতে না পারব ততক্ষণ আমরা বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে মুক্ত হতে পারবনা বরং এটা অতি মাত্রায় মাথা চড়া দিয়ে উটবে | সংস্কৃতিকে ভালবাসা মানে বছরের দু একটা উত্সবের আয়োজন করা এবং ওই উত্সব পালন করে শেষ তা না ,আমাদেরকে সারা বছর আমাদের সংস্কৃতির অনুশীলন করবো | যাতে আপামর জনতা জানতে পারে যে আমরা বাঙালি আমাদের একটা সুন্দর ,সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আছে | এটার প্রচার ও প্রসারে সাধারণ জনগণ ,তরুণ সমাজ ,ছাত্র সমাজ ,বুধিজিবি ,শ্রমজীবি এবং সর্বপরি সরকারের সার্বিক সহযোগিতা ছাড়া এর উন্নতি সম্ভব না | তাই আমাদের সংস্কৃতিকে মূল ধারায় রক্ষা করতে হলে সকলের সহযোগিতা ও অংসগ্রহণ একান্ত কাম্য |
কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্যি আমাদের সরকারের উচচ মহলের আমাদের সংস্কৃতি নিয়ে যে ধ্যান -ধারণা তাদের সেই চিন্তা ধারা আমাদের দেশের একজন জনপ্রিয় সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব তার মনের ক্ষুব রূপক অর্থে প্রকাশ করেছেন তা হুবহ নিচে দেওয়া হলো ,
"দাদাবাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিল , "ট্রানজিট দে ,দেখিস একদিন তিস্তা দিয়ে দিবো | জঙ্গি হটা , বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে দিবো "| দাদা সব নিয়ে নিয়েছে ,দেয়নি কিছুই | আমাদের ও দেখা হয়নি কিছুই | ৪৩ বছর কেটে গেল | বাজার গেছে ,আকাশ গেছে ,পত্রিকার পাতাগুলো গেছে ,চিন্তা গেছে | সিনেমা হলটা বাকি ছিলো ,এবার সেটাও যাচ্ছে |
যে দেশের মন্ত্রীর একমাত্র এজেন্ডা মনে হয় ভারতের ছবি আমদানি ( তাও আবার ভারতের সবচেয়ে অখাদ্য ছবিগুলো ),যে দেশের মন্ত্রী মনে করেন যে বাংলাদেশের সিনেমার উন্নতির একমাত্র উপায় ভারতের ছবি আনা এবং আমাদের ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক ভারতীয় কোনো সংস্তাকে দেওয়া ,সে দেশের ভবিষৎ চরম উজ্জল | এই রকম চিন্থাশীল মানুস যদি দেশ চালান , তাহলে সে দেশের ভবিষত উজ্জল না হয়ে পারে না | আশা করি অন্যন্য দেশও (যাদের সিনেমার অবস্তা খারাপ ) আমাদের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে চলচ্চিত্র বিপ্লব সাধন করবে |
বি.দ্র পাশে বসা ছোট ভাই বলল দুই দেশের ছবি না বিনিময় হওয়ার কথা | আমি তাকে পুনরায় 'নাদের আলীর ' কবিতা পড়তে বললাম |
খুশি হয়ে ছোট ভাই আমাকে " জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় জঙ্গি দমনের গুরুত্ব " বিষয়ে একটা বক্তৃতার রিপোর্ট ধরিয়ে দিয়ে বলল , 'দেশ চালাতে এইরকম প্রতিভাই আসলে দরকার !
আমি বললাম "এইরকম একটা মন্ত্রী তুই ফুসলিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে দিয়ে দে ,আমরা বেঁচে যাই "!
-সুপ্রভাত ! ইহা একটি সম্পুরক স্টাটাস |কারো যদি আমার স্পিরিট বুঝতে সমস্যা হয় তাই বলছি | আমি ভারত -বাংলাদেশ সহযোগিতায় পূর্ণ আস্থাশীল | ভারত -বাংলাদেশ যৌত প্রযোজনায় ছবি হোক ,তাও চাই | রিসোর্স শিয়ারে হোক ,তাও চাই | আমাদের ছবি ভারতে চলুক ,তাদেরটাও এখানে চলুক | কিন্থু তার জন্য যে একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি করা দরকার ,কর কাটাম তৈরী করা দরকার ,বছরে কতগুলো ছবি আসবে -কতগুলো যাবে এটা টিক করা দরকার ,আমাদের হলগুলো ভারতীয় ছবি কত পার্সেন্ট স্ক্রিনিং করতে পারবে ,ভারত আদৌ আমাদের ছবি চালাতে অন্থরিক কি না , তাদের দিক থেকে কোনো রকম আইওয়াস বা শুভংকরের অংক আছে কিনা -এই সব বিসয়ে খোলা মন নিয়ে কাজ করা দরকার |
কিন্ত এসব নিয়ে যখন কোনো উত্তেজনা দেখি না ,উত্তেজনা দেখি যে ' শুধু যেভাবেই পারো ভারতের ছবি ডুকিয়ে দাও '- এই নিয়ে তখন প্রশ্ন আসে | যখন প্রেসক্রিপসন দেয়া হয় 'বাংলাদেশের সিনেমার উন্নতির জন্য ই ' ভারতের ছবি আনতে হবে তখনই বোঝা হয়ে যায় ' ডাল মে কিয়া হায় !'
আগেও যেমন বলেছি -কলকাতায় হিন্দি ছবি চালালে ২৫% কর দিতে হয় ?বাংলা চালাতে ২% এর মত | কেন একই দেশে এই বৈষম্য ? নিজের বাজার আর সংস্কৃতির পৃষ্টপোষকতা করা ?
একটা রাজ্য সরকার যা পারে , স্বাধীন দেশের সরকার তার চেয়ে তো বেশি পারার কথা | আমাদের নীতিমালা আমাদের লাভের দিকে তাকিয়ে করতে হবে ,অন্য কারো লাভের দিকে তাকিয়ে না | বিনিময় বা বন্দুত্ব তখনি জমে যখন দুই তরফে আন্তরিকতা থাকে | কলকাতার পত্রিকার পাতায় আমরা এখনো মহকুমার চেয়েও ছোট ,কিন্তু আমাদের পাতায় ওরা সুপার পাওয়ার | আমাদের টিভি ওখানে কৌসলে বন্ধ ,আমাদের এখানে ওদের টিভি সানি লিওনের মত খোলা | আরো একশোটা ইন্ডিকেটর দেখানো যাবে যেটা আসলে বন্দুত্বের কথা বলে না | বললে ভালো হতো | বোঝা গেছে জিনিসটা ?
একটা উদাহরণ দিলে জিনিসটা স্পস্ট হয়ে যাবে ,যখন একটা ঘর বানানো হয় ,ঘর বানানোর জন্য নানা উপকরণ লাগে যেমন ইট ,বালু ,পাথর ,রড ,বাস ,বেতা ,তার, টিন ,কাঠ ,হাতিয়ার ,যন্ত্র -পাতি ,মিস্ত্রী ইত্যাদি আরো অনেক । এখন মনে করেন এই জিনিস গুলো সব আছে এবং আপনি আপনার ঘর বানালেন কিন্তু আপনার ঘরের মূল ভিত্বি বা ঘরের কুঠি গুলো সঠিক ভাবে তৈরি করলেন না ,যে কুঠি গুলোর উপর সম্পুর্ন ঘরের ভর বা ওজন নির্ভর করবে তার মানে ঘরটি ধ্বংস বা ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি যেকোনো সময় বেঙ্গে যেতে পারে । একটি ঘরের মূল ভিত্তি যতো মজবুত হবে ঘরের স্থাহিত্ব ততো দীর্ঘ স্থায়ী হবে যেকোনো সময় বেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে ।অর্থাৎ একটা ঘরের স্তাহিত্ব নির্ভর করে ঘরটির মূল ভিত্তি প্রস্তর এর উপর ।
আমাদের বুঝার জন্য আরো একটি উদাহরণ এখানে তুলে ধরা হলো ," মনে করেন একজন কৃষক তার জমিনে ধান চাষ করবেন ,ধান চাষের জন্য কৃষক তার জমি তৈরি করেন । জমিতে পানি সেচ দেন ,হাল চাষ করেন ,জমির উর্ভরতা বৃদ্বির জন্য সার ছিটান , ঘাস চাটাই করেন ,বীজ বপন করেন ,বীজ থেকে চারা গজায় ,চারা বড় হলে জমিতে চারা রোপন করেন তারপর প্রয়োজনীয় পানি ,সার ,ঘাস বাছাই ,আগাছা ছাটাই করেন এবং নিয়মিত দেখাশুনা করেন ধান কাটার আগ পর্যন্ত । কৃষক তার জমিতে ভালো ধানের অত্পাদন আশা করতে পারেন ।কিন্থু যদি কৃষক নিয়মিত পানি সেচ প্রদান না করেন ,সার না দেন , ঘাস ও আঘাচা চাটাই না করেন তাহলে জমিতে ভালো ফলন আশা করা যায় না | বরং ঘাস ও আঘাসার আক্রমনে জমির ফসল নষ্ট হবে এবং নষ্ট হয় এটা স্বাভাবিক |
সম্মানিত পাঠক আমি উপরে যে দুটি উদাহরণ দিয়েছি সেগুলো শুধুমাত্র রূপক অর্থে ব্যবহার করছি | প্রথম তা হলো আমাদের দেশের সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যখন কোনো মন্ত্রীর মুখে শুনা যায় বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রেম -ভালবাসা এবং বিজাতীয় সংস্কৃতি ছাড়া নাকি দেশীয় সংস্কৃতির উন্নয়ন সম্ভব না তখন আমার বুঝে আসেনা আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক না কি কোনো একটা দেশের অনর্গত প্রদেশে বসবাস করতেছি | এখানে আমার একটা প্রশ্ন তরুণ প্রজন্মের কাছে ,আপনারা তো যেকোনো কিছুতে খুবই সুচ্চার কিন্তু আপনারে কি বোবা হয়ে গেলেন যখন দেশের একজন মন্ত্রী আমাদের স্বধীন সংস্কৃতিকে অন্যের কাছে সপে দিচ্ছেন বা দেওয়ার পরিকল্পনা করতেছেন এরকম একটা সংবাদ শুনার পর আপনাদের নিরবতা পালন -আমাদেরকে হতবাক করে ফেললেন | নাকি আমরা ধরে নেব "নিরবতা সম্মতির লক্ষন ", এরকম একটি জিনিস উপহার পাওয়া আপনাদের মনের খায়েস , হটাথ জেগে উঠা আপনাদের চেতনার পর্ণজাগরন শেষ , এখন শুধু আরাম আয়েশ |
কয়েক মাস আগে যুদ্ধঅপরাধীর রায়ে একজনের ফাঁসি কার্যকর হল ,যদিও এটা নিয়ে দেশে বিদেশে অনেক বিতর্ক তৈরী করেছে ,আমি এটা নিয়ে কিছু বলবনা । এই রায় কার্যকর হওয়ার পর পাকিস্তান পার্লামেন্টে একজন সংসদ সদস্য দুঃখ প্রকাশ করছিলেন -আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করি এমনকি আমরা ওই দেশের দূতাবাস গেরাও এর মত কঠোর কর্মসূচি পালন করি । আমাদের মাঝে অনেকে আবার ওই দেশের দূতাবাস বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করিয়ে ছিলেন । কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্যি যে আজ আমাদের তরুণ সমাজের চেতনা নিয়ে একশ্রেনীর লোক দাবার চালের খেলা নিয়ে খেলতেছেন । এখানে দাবার গুট্টি হচ্ছে আমাদের তরুণ সমাজ । আর দাবা হচ্ছে পুরা দেশ । দাবার দুই প্রান্থে খেলওয়ার হিসেবে দেশের সরকার দল ও বিরোধী দল বসে এই খেলাটা খেলতেছেন ,যে যার মত করে । এখানে দর্শক হিসেবে সারা দেশ বাসী খেলা দেখতেছেন ,কারো ভালো লাগুক আর নাই লাগুক দেখতে আপনি বাধ্য । উভয় দলই খেলায় জেতার জন্য মরিয়া হয়ে উটে পড়ে লেগেই আছেন কেও কাওকে ছাড় দিতে নারাজ ,হোক সেটা জোরে ,বলে ,কৌশলে । এই খেলায় জেতার জন্য তারা প্রয়জনে সাহায্যের জন্যে বাড়াটে লোক এর দারস্ত হন এবং মাঝে মধ্যে উনারা এসে আমাদের বুদ্বি বাতিয়ে দিয়ে যান । তাদের এই সাহয্যের জন্য বিনিময়ে আমরা যেকোন মূল্যে তাদের দেওয়া আবদার রাখতে আমরা বাধ্য ,হোক সেটা নিজের পায়ে কুড়াল মেরে । প্রিয় পাঠক আপনারা বুঝতে পারছেন কেন আমি রূপক অর্থে বলছি এসব।
গত কিছু দিন আগে বর্তমান ভারতের বিজেপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী মরেন্দ্র মোদী তার নির্বাচনী কর্মসূচির জনসবায় বক্তৃতা প্রধান কালে তিনি বলেছিলেন বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ ভূমি তিনি দখল নিবেন এবং ভারতে যত বাঙালি আছেন তাদের সবাইকে ভারত থেকে বিতাড়িত করবেন । একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ কে কি করে অন্য একটি দেশ এরকম ভাবে হুমকি প্রদান করে তা আমার বুঝে আসেনা । তবে আমি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে ভারতের এরকম গুয়ারমিকে তীব্র নিন্দা জানাই । আমাদের তরুণ প্রজন্মকে আমার একটি গুরুত্ব পর্ণ প্রশ্ন " আপনারা সবসময় ইদানিং বলতে শুনি , আপনারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী , আপনাদের চেতনায় সবসময় আমাদের মহান স্বাধীনতা কাজ করে ," কিন্তু ভারতের ক্ষমতাসীন দল যখন বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ ভূমি দখলের যে দুশাসাহসী হংকার প্রদান করলো ,তখন আপনাদের চেতনা কোথায় গেল ,আপনারা তো আমাদের দিত্বীয় মুক্তি যুদ্ধের সৈনিক আপনাদের ভাস্য মতে , আপনাদের তো প্রতিবাধ করার কথা ,কেন আপনারা চুপ থাকলেন , প্রতিবাধ সরূপ আপনারা কেন মোমবাতি প্রজ্জলন করলেন না তখন , কেন আপনারা ভারতের দুতাবাস গেরাও করলেন না প্রতিবাদ হিসেবে ?
এখানে একটি বিষয় আমি উল্লেখ করতে চাই তরুণ প্রজন্ম বলতে আমি এখানে ততাকতিত গণজাগরণের তরুনদের কথা বিশেষ ভাবে বলছি । আসলে আপনাদের লক্ষ্য ও উদেশ্য কি সেটা আমার মত এদেশের আপামর জনতা প্রথমে বুঝতে না পারলেও ,সময়ের ব্যবধানে সারা দেশের জনগণ জানতে ও বুজতে পেরেছেন আপনারা একটি বিশেষ দলের বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য আপনাদের আভির্বাভ ঘটে এবং রাজকীয় ভাবে পুলিশ বেষ্টনী দিয়ে বিশেষ ভাবে আপনাদের নিরাপত্তার ও ব্যবস্থা রাখা হয় , সাথে আরো বিরানি ও পোলাও এবং রুস্তের মত দামী খাবারের আয়োজন করা হয় । আমি জানিনা বিশ্বের আর কোনো দেশে এরকম করে আন্দোলন করেছেন কিনা । সে যাই হোক আমরা সে দিকে যাব না ,আমরা সকলেই জানি " ব্যক্তির চেয়ে দল বড় ,দলের চেয়ে দেশ বড় " । তাই আমরা বলব কোন ব্যক্তি বিশেষ এর স্বার্থ বা বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দল বা গোষ্টির স্বার্থ কে উপেক্ষা করে আমরা আমাদের দেশ ,জাতি ও দেশের সর্ভবৌম রক্ষায় সকলেই একসাথে এগিয়ে আসতে হবে এবং আমাদের রাষ্ট্রীয় ঐক্যের বন্দন আরো সুদিড় করতে হবে ।
বিরানি ,পোলাও ও গোস্ত খেয়ে আমাদেরকে চেতনা বুঝতে হবেনা । আমাদের কে আমাদের কর্মের মাধ্যমে দেশ প্রেম দেখাতে হবে । আপনাদের কি চেতনা কাজ করছে তা বুঝতে আমাদের আর বুঝতে বাকি নেই । আমি এটা নিয়ে আর বিতর্ক করব না । তবে আমি এটা বলব আপনাদের মাঝে যদি সত্যিকার দেশ প্রেমের চেতনা কাজ করত তা হলে কেন আপনারা মদির বিরুদ্ধে প্রতিবাধ করেন নাই ।
"দেশ প্রেম হচ্ছে একটা আপেক্ষিক জিনিস "। এই কারণে আমি বলব আপনি যদি আপনার দেশ ছেড়ে অন্য কোথায় চলে যান আর ওই দেশটা যত উন্নত থাকুক না কেন ,এখানে যতই উন্নত জীবন যাপন করেন না কেন ,যতই ভালো খাবার দাবার ,আরাম -আয়েস করেন না কেন দেশের প্রতি একটা টান কাজ করবেই ,আর সেই টান টা একেবারে হৃদয়ের গবির থেকে আসে সেটাই দেস প্রেমের মূল বীজ ।
দেশ হলো মায়ের তুল্য । মায়ের আদর ,যত্ন ,ভালবাসা যেমন তুলনাহীন তেমনি দেশ মাতৃকা ও । একজন মা যেমন তার বাচ্চাকে জন্ম দিয়ে তার দায়িত্ব শেষ হয়না , বাচ্চাটির লালন -পালন ,ভরণ -পোষণ সহ বাচ্চাটিকে বড় হওয়া অবধি পর্যন্ত তার লালন-পালন চালিয়ে যান তেমনি দেশ আমাদেরকে তার আলো ,বাতাস ,ফুল -ফল ,ফসল ,সস্য ইত্যাদি দিয়ে আমাদেরকে বাড়িয়ে তুলে তার বুকে আগলে রাখে । তাই স্বাভাবিক ভাবে প্রত্যেকে আমরা আমদের মা কে খুব ভালবাসি এবং এই ভালবাসার মধ্যে আর কারো বালোবাসা তুলনা করা যায়না ,তেমনি দেশটা হচ্ছে আমাদের মা, দেশটা শুদু আমাদেরকে দিয়েই যায় । একবার চিন্তা করে দেখুন আমরা দেশটাকে কি দিয়েছি । প্রত্যেক মা চায় তার ছেলেমেয়েরা সুখে ,শান্তিতে থাকুক । ছেলে মেয়েদের সুখ -শান্তিতে মায়ের সুখ -শান্তি ।
কেও যদি আপনার মাকে কোনো কিছু বলে ,আপনি কি বসে থাকবেন , না কখনো থাকবেন না । কারণ আপনি -আমি - আমরা আমাদের মা কে অনেক অনেক বেশি ভালবাসি । আমরা যদি কোনো বিপদে বা আপদে পড়ি সবাই আমদেরকে ছেড়ে চলে গেলে ও মা টিকই উনার সন্তানের পাশে থাকেন । অনুরূপভাবে দেশও আমাদের কাছে মায়ের তুল্য , ছেলে -মেয়ে যদি কোনো ভুল করে থাকে মা হাসি মুখে তাদের কে মাফ করে দেন , বুক ভরা ভালবাসা দিয়ে আমাদেরকে তার মায়ার বন্দনে আবদ্ব করে রাখেন | তাই আমরা যেখানে থাকি না কেন ,যতই ভুল -বেআদবি করিনা কেন শেষ পর্যন্ত আমাদেরকে আমাদের মায়ের কাছে , দেস মাতৃকার কাছে ফিরে আসতে হবে |
এখন যদি আমাদের মাতৃতুল্য দেশ কে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিতে চায় কেও তাহলে কি আমরা নিরবে বসে থাকব , অবস্য না । আমরা আমাদের দেশকে রক্ষা করব , প্রয়জনে আবার আমরা যুদ্ব করব , মরব তবুও আমরা আমদের দেশকে রক্ষা করব । তাই আমাদের সকলের উচিত দল মত ,ধর্ম ,বর্ণ নির্বিসেসে ,জাতীয় সার্থে ,দেশ মাতৃকার সার্থে সকলের এক্য বদ্ব প্রচেষ্টা । তাই একটি গানের কথা মনে পড়ে গেলো । গানটি এখানে তুলে ধরে হলো :
এই দেশ এ মাটির গন্ধে
ভরে যায় মন আনন্দে ।।
মনে পড়ে যায়
বীর শহীদের রক্ত ঝরা
সেই দিন ।।
লাখো শহীদের ত্যাগের বিনিময়ে
পেয়েছি রক্তিম সূর্য
সোনালী উষার সেই মহাগান
সবুজের মাঝে লাল কুঞ্জ ।।
দেশের তরে এনেছি চিনে
জীবন দিয়ে এই দিন
সেই দিন ,সেই দিন ।।
বাংলা মায়ের কত রক্তে রাঙা
স্বাধীন দেশের পতাকা
দেশ মাটিকে রাখতে তাজা
বিবেক নাড়ায় সহসা ।।
সোনালী স্বপ্নের বাংলাদেশে
সাম্যের গেয়ে যাই বীন
সেই দিন ,সেই দিন ।।
মনে পড়ে যায়
বীর শহীদের রক্তে ঝরা
সেই দিন ,সেই দিন ।।
যে যাই বলুক আমরা আমাদের দেশ কে ভালবাসব ,দেশের মানুষকে ভালবাসব ,দেশের সঠিক ইতিহাস -ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ভালবাসব | তবে আমাদের সবার মাঝে দেশ প্রেমের খাটি চেতনা স্বাবাভিকভাবে জাগ্রত থাকবে |
গত কিছু দিন আগে আমি একটি টেলিভিসন চ্যানেলের টকশো অনুষ্টান দেখেছিলাম ,সেখানে আমাদের সবার পরিচিত মাননীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী ও উপস্থিত ছিলেন এবং তার সাথে আরো একজন সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন | মাননীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী আমাদের প্রতিবেশী দেশে ভ্রমন শেষে এই টক শোতে আসেন এবং তার কাছে আমাদের সংস্কৃতি নিয়ে অনেক প্রশ্ন করা হয়েছিল | তিনি খুব সুন্দর করে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন | যখন তাকে জিঘেস করা হয়েছিল আপনি তো ভারত ভ্রমন করে আসলেন , যদি আমাদেরকে কিছু বলতেন ,তার ভাষ্য এখানে হুবহু তুলে ধরা হলো , " দেখেন আমাদের সংস্কৃতিকে ,আমাদের সিনেমা কে উন্নত করতে হলে আমাদেরকে হিন্দি সিনেমা দেখতে হবে এবং তাদেরকে অনুসুরুন করতে হবে " একথা শুনার পর আমি খুবই ব্যতীত হলাম | তারপর উনাকে জিগ্যেস করা হয়েছিল আমাদের দেশে ভারতীয় চ্যানেল অবাধে চলছে এবং আমাদের দেশে তাদের বিরাট সন্কক দর্সক রয়েছে যারা নিয়মিত তাদের ঐ সব চ্যানেল গুলো দেখেন , তাদের ওখানে কি আমাদের বাংলাদেশী কোনো চ্যানেল আছে , তিনি বললেন না |
সম্মানিত পাঠক যেখানে আমাদের দেশে ভারতের টিভি চ্যানেল চলতে কোনো বাধার সৃষ্টি হচ্ছেনা সেখানে আমাদের দেশের টিভি চ্যানেল চললে কি এমন ক্ষতি হবে তা আমার বোধগম্য হচ্ছেনা ।
আমি এই কারণে বলতেছি যে যেখানে তারা আমাদের বাংলাদেশী টিভি চ্যানেলগুলো প্রচার করতেছেনা সেখানে আমরা কি করে আমাদের সিনেমা সংস্কৃতি উন্নতির জন্য তাদের কিরূপ সহযোগিতা পাবো তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা ।
আমরা সবসময় তাদেরকে আমাদের বন্ধু বলে মনে করি , বন্ধুত্বের মধ্যে কোনো খাধ থাকেনা । বন্ধুত্বের মধ্যে ভাব বিনিময় ,চাওয়া -পাওয়া ,লেন-দেন ,সুখ -দুখ সব কিছু খুব সহজে ঘটে । আমার কাছে কেন জানি মনে হচ্ছে আমাদের বন্ধুত্ব টা ভারতের সাথে একপেশে । আমাদের বন্ধুত্বটা একপেশে এই কারণে আমি বলতেছি , আমরা বন্ধুত্বের হাত যত খানি প্রসস্ত করি ভারত তা করে না বরং তারা আমাদের সত্রু সেটা অনেকটা স্পষ্ট বিষয় । যদি আমরা দেখি এই সাম্প্রতিক বছর গুলোতে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বি এস এফ সীমান্তে বাংলাদেশী জনগনকে নির্বিচারে একের পর এক হত্যা কান্ড চালিয়ে যাচ্ছে , শুধু হত্যা করে শেষ নয় হত্যা করে তারা কাটা তারের মধ্যে লাশ ঝুলিয়ে রাখার মত জগন্য কাজ করে আসতেছে । আসলে তারা লাশের বুকে গুলি চালায় নি তারা চালাচ্ছে বাংলাদেশের বুকে । বাংলাদেশের মানচিত্রের বুকে । এখন আপনাদের বিবেকের কাছে আমার প্রশ্ন তারা কি আমাদের সত্যিকার বন্ধু নাকি শত্রু ।
আরেকটি বিষয় হলো উনারা ( ভারত) যখন কোনো কিছু দাবি করেন আমাদের কাছে , আমরা তখন এতটা উদার হয়ে যাই কোনো শর্ত ছাড়া নিজ দায়িত্বে উনাদের দাবি বাস্তবায়নে উটে পড়ে লেগে যাই । আমরা ভারতের প্রতি যতটা উদার মনোভাব দেখাই ভারত যদি এর একশ ভাগের এক ভাগও যদি আমাদের প্রতি উদার হত তাহলে আমাদের অনেক সমস্যা কে আমরা সমস্যা বলে মনে করতাম না । কিন্তু আমাদের আফসুস বিশ্বের সর্ব বৃহত গনতান্ত্রিক দেশের প্রতিবেশী হয়ে ও তাদের কাছ তেকে আমরা গণতান্ত্রিক মনোভাবের ন্যয অধিকার পাচ্ছিনা ।
আমি এখানে আমাদের মহান রাষ্টের মহান উদারতা এবং তার বদলতে আমরা কি পেয়েছি তা একটু পেশ করবো । আমরা উনাদের সাথে ফারাক্কা বাধ চুক্তি করলাম সময় মত পানির ন্যায অধিকার পাব বলে , বিনিময়ে আমরা পেলাম কি আমরা পেলাম সমস্ত উত্তর বঙ্গ মরুভূমি ,যেখানে পানির অভাবে ফসল হয়না । তারপর হলো উনাদের সাথে ট্রানজিট চুক্তি । আমরা উনাদের সাথে এতটা উদার হলাম যে , একটি স্বাধীন -সার্ভ বৌম দেশের বিতর দিয়ে অন্য একটি দেশের গাড়ি যাবে তাও আবার বিনা টুল ছাড়া । এরকম উদারতা বিশ্বের আর কোনো দেশে আছে কিনা আমার জানা নেই । তার পর তিস্তা পানি চুক্তি । পানি চুক্তির আগে তিস্তায় পানি থাকত টিক যদিও কম কিন্তু যেই মাত্র চুক্তি হলো তিস্তার পুরু চিত্র ঠা পাল্টে গেল । শুকনো মৌসুমে তিস্তা নদীর অপর থেকে অপার পায়ে হেটে যাওয়া যায় এরকম দৃশ্য আমরা দেখতে পাচ্ছি । যার ফলে তিস্তা নদী তো মরে যাচ্ছে সুধু কি তিস্তা মরে যাচ্ছে না তিস্তার উপর নির্ভরশীল চাষাবাদ ,কৃষি সাথে তার উপর নির্ভরশীল জনগনও । একের পর এক সরযন্ত্রের শিকার আমাদের এই বাংলাদেশ । আর এই সব সরজন্ত্র এর সাথে দেশীয় কিছু সার্থনেসী মহল জড়িত । উত্তর বঙ্গের পর এবার সরজন্ত্রের শিকার সিলেটের টিপাই মুখ বাধ । উত্তর বঙ্গ শেষ করে দিয়ে একন পূর্ব বঙ্গের দিকে উনাদের নিশানে হলো । এর ফলে সিলেটের সকল নদী গুলো পানি সংকট এ ভুগতেছে । নদী গুলো তাদের স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেলতেছে দিনে দিনে । পানি সংকটে এই এলাকার নদী গুলো এখন অনেকটা মৃত । এই অবস্থা যদি চলতে থাকে তাহলে বাংলাদেশ যে অদূর ভবিষ্যতে সাহারা মরুভূমি হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা । আমি এখানে বিস্তারিত ভাবে কিছুই বলি নাই , কারণ এই সব বিসয় আপনারা আমার চেয়ে অনেক অনেক বেশি জানেন এবং বুঝেন , আমি শুধু আপনাদের সরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য শুধু মাত্র প্রধান প্রধান জিনিস গুলো তুলে ধরে ছি । এছাড়া ও আরো অনেক চুক্তি হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরো অপেক্ষমান ।
কিন্থু আমি যে জিনিষটা বুঝাতে চেয়েছি তা হলো ভারত যদি সত্যি সত্যি আমাদের তারা বন্ধুর চুখে দেখত তাহলে উপরে বর্ণিত বিষয় গুলোকি তারা আমাদের সাথে করত তা আপনার আমার সবার বিবেকের উপর ছেড়ে দিলাম । কারণ একজন মানুষকে মানুষ রূপে রুপান্তরিত করে তার বিবেক । মানুষ আর পুসুর মদ্যে পার্থক্য শুধু মাত্র বিবেক ।মানুষের বিবেক আছে আর পুশুর বিবেক নাই ।
আমি আরো একটি জিনিস এখানে বলব সেটা খুবই মানবিক বিষয় । যখন বাংলাদেসের সীমানায় ভারতীয় সিমান্থ রক্ষাবাহিনী বাংলাদেশের লোকজনকে প্রতিনিয়ত হত্যা করতেছে তখন আমাদের দেশের সরকারের মন্ত্রী পরিষদের একজন সদস্য এর কাছে এদেশের সাংবাদিক কিছু ভাই -বোন্ প্রশ্ন তুলেছিলেন সীমান্তে হত্যার ব্যাপারে আপনাদের করণীয় কি বা আপনাদের কি কোনো ভুমিকা আছে । তখন মন্ত্রী পরিষদের ঐ সদস্য উত্তরে বলেছিলেন এরকম " দেখেন সীমান্তে হত্যা আগেও ছিল , বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতে ও থাকবে , এ নিয়ে রাষ্ট্র চিন্তিত নয় "। একটি রাষ্ট্র বা একটি দেশের প্রধানতম কাজ হলো তার রাষ্ট্র বা দেশের জনগনের নিরাপত্তা দেওয়া । সাধারনত একটি রাষ্ট্র গঠিত হয় চারটি উপাদানের সমন্বয়ে । এই চারটির মধ্যে একটি উনপস্তিত হলে রাষ্ট্র গঠিত বা রাষ্ট্র হতে পারেনা । রাষ্ট্রের সর্বপ্রথম উপাদান হলো জনগণ দিত্বীয় হলো স্থায়ী বা নির্ধারিত ভূমি তৃতীয় হলো রাজনৈতিক সরকার এবং সর্বশেষ হলো স্বাধীন সার্বভৌমের অধিকারী ।
একটি রাষ্ট্রের প্রধান উপাদান যেখানে উপেক্ষিত থাকে সেখানে অন্য উপাদান গুলো কি অবস্থা বিরাজমান তা বলার অপেক্ষা রাখেনা । গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকার গঠনের প্রধান হাতিয়ার হলো জনগণ । সরকার গঠনের চাবি কাটি কিন্থু জনগনের হাতে । কাজেই আমরা যারাই সরকার গঠন করি না কেন , যতই ক্ষমতার লুলুপ্য দৃষ্টি প্রদর্শন করি না কেন এই জনগনকে উপেক্ষিত রেখে কোনো কিছু করলে তার ফল যে শুভ হয় না তা অতীতে আমরা দেখে আসছি । কাজেই আমাদের সবার উচিত অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমানকে সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার । মাননীয় মন্ত্রী মহুদয়ের কাছে আমার আকুল আবেদন এই যে , জনাব আপনাদের কাছে জাতি এরকম কৃত কর্ম আশা করেনা ,জনগণ আপনাদেরকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তারা আপনাদেরকে তাদের অভিবাবক বানিয়েছে । কাজেই অভিবাবক অভিবাবকত্ব সুলভ আচরণ করবেন । আপনারা এরকম কোনো কিছু করিয়েন না যাতে দেস ও দেশের জনগনের ক্ষতি হয় । আপনাদের আর শুভ বুদ্বির উদয় গঠাতে হবে এবং পাশাপাশি শুভ চিন্তা -চেতনা ,ধ্যান -ধারণা করতে হবে ।
বর্তমানে আরো একটি আলোচিত বিষয় হলো বিশ্বের বৃহত্তম মানোগ্রব বন সুন্দর বনে বিদুন্ট কেন্দ্র স্থাপন । পার্সবর্তি দেশ যেখানে তাদের দেশের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশংকায় তারা ওই বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন থেকে সরে যায় অথচ আমরা ওই বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য উঠেপড়ে লেগে আছি | সুন্দর বন পৃথিবীর সপ্ত আশ্চর্যের একটি | বিখ্যাত এই জায়গাটি ছাড়া কি সরকারের চুখে আর কোনো জায়গা দেখতে পায়না | এটাই সত্যি যে আমরা ধংসের পথ বেছে নিতে বেশি আগ্রহী | আমরা এতটা উদার হয়েছি যে আমরা আমাদের ভালো জিনিস গুলো বিলিয়ে দিয়ে অন্যের মন্দ জিনিসগুলো নিয়ে ভালোর সন্ধান পেতে ব্যস্ত |সত্যি হাস্যকর |
সম্মানিত পাঠক এখানে সবচেয়ে মজার বিসয় হলো আমাদের বন্দু প্রতিবেশী দেশ ভারত আমাদের প্রতি এত উদার যে , যখন আমাদের পানির খুব বেশি প্রয়োজন তখন উনারা আমাদেরকে পানি না দিয়ে জমিয়ে রাখেন | যখন উনাদের জমিয়ে রাখা পানি আর স্তান সংকুলান হয় না তখন উনারা এমন ভাবে আমাদেরকে পানি দেন যে ওই পানি তখন আমাদের জন্য অভিশাপ হয়ে আসে | উনাদের ছেড়ে দেওয়া পানি আমাদের দেশে কৃতিম বন্যার সৃষ্টি করে ,যার ফলে আমাদের এখানে ক্ষেত -খামার ,ফসলাদি নষ্ট হয়ে যায় | আমাদের বুঝতে আর বাকি নেই ভারত আমাদের কেমন বন্ধু | যারা বন্ধুত্বের মূল্যায়ন করতে পারে না তাদের সাথে বন্দুত্ব করে ক্ষতি ছাড়া লাভের আশা করা বোকামি ছাড়া আর কিছু না |
উপরে আমি ভারত বন্ধুর আমাদের প্রতি তাদের যে বাহ্যিক দৃষ্ঠি ভঙ্গি তা খুব সংক্ষেপে তুলে ধরেছি এই কারণে যে আমাদের সরকারের কিছু মন্ত্রী মহোদয়গণ সরকারের খরচে দেশ -বিদেশ ঘুরে বেড়ান ,আর দেশে ফিরে এসে অদ্ভুদ্ব ধরনের কথা -বার্তা বলেন যেসব কথা-বার্তার কোনো সার থাকেনা | যেমন আমাদের সংস্কৃতি মন্ত্রীর কথা ধরা যাক , তিনি আমাদেরকে ভারতের একজন প্রতিনিধি সেজে এমন একটি কথা বললেন যে আমাদের সগ্স্কৃতির উন্নয়ন করতে হলে নাকি আমাদেরকে ভারতীয় সিনেমা বেশি বেশি করে দেখতে হবে এমনকি আমাদের দেশে ভারতীয় সিনেমা সিনেমা হল গুলোতে যাতে প্রদর্সন করা হয় | সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একজন লোকের কাছে এরকম বাণী জাতি কখনো আশা করেনা |
আমি এখানে একটি কথা বলব , ধরেন একজন অন্ধ লোক | যার দুটি চুখ অন্ধ | এখন যদি ওই অন্ধ লোকটির হাতে দিয়েসলাই দেওয়া হয় এবং তাকে বলা হয় প্রদীপ জালাতে | তাহলে ওই অন্ধ লোকটির ক্ষেত্রে আমরা নির্দিদ্বায় বলতে পারি যে অন্দ্ব লোকটি সটিক ভাবে প্রদীপ জালাতে পারবেন না বরং তার দ্বারা আগুন জললেও সে আগুনে সব কিছু পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি | তেমনি আমাদের সরকারের কিছু উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা আছেন যারা ওই অন্দ্ব লোকটির মত |
এখানে রূপক অর্থে আমি একটি কথা বলব ,কথাটি হচ্ছে এরকম "অক্জিজেন নিজে জলেনা , কিন্ত অন্যকে জলতে সাহায্য করে "| আমাদের সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকজন ওই অক্জিজেনের মত | উনারা নিজে সবসময় ঠিক থাকেন , অন্যের কি হচ্ছে বা কি হবে তা তাদের ভাবার বিসয় নয় | অর্থাৎ মন্ত্রীরা নিজে জ্বলেন না , কিন্থু অন্যকে জ্বালিয়ে -পুড়িয়ে মারতে সাহায্য করেন |একথা আমি বর্তমান সরকারকে শুধু বলবনা এর আগের সরকার এর আমলেও এটা বিদ্যমান ছিল | এটা আসলে আমাদের প্রচলিত একটি নিয়ম হয়ে গেছে ,এর থেকে আমাদের কে বের হয়ে আসতে হবে | নতবা আমাদের কপালে যে অনেক দুঃখ আছে তা আমরা এখন থেকে অনুধাবন করতে পারছি এবং পরিবেশ পরিস্তিতি এটা প্রমান করছে |
হাল চাষের জন্য লোক ছাগল ব্যবহার করেনা হাল চাষের জন্য বলদের দরকার হয় | ছাগল দ্বারা হল চাস হলে বলদের আর প্রয়োজন ছিল না | যে যেটার উপযোগী তাকে সেটায় মানায় | অন্যথায় সেটা বেমানান ,অরুচিসিল | সঠিক স্থানে সঠিক মানুষকে দিতে হবে | তবে সব কিছু সঠিক ভাবে চলবে এবং সঠিক ভাবে থাকবে |
মনে করেন আপনি একটি ফুল গাছ লাগালেন ,ফুল পাবার জন্য বা ফুলের সৌরব পাবার জন্য কিন্থু ফুল গাছটির মূল বিহীন বা মূল নষ্ট । এখন যতই আপনি ঐ ফুল গাছটির যত্ন নেন না কেন ,যতই ওই গাছের গোড়ায় পানি দেন না কেন ফুল গাছটি কিন্থু আর বাঁচবেনা কারণ তার মূল আগে থেকেই নষ্ট হয়ে গেছে । ওই গাছ থেকে আপনে ফুলের সৌরভ পাবেননা ।
তেমনি আপনি যদি একটি পাতা ঝরা মরা ফুল গাছ নিয়ে আসেন আর সেটা যদি আপনি আপনার বাগানে লাগান আর যদি ওই ফুল গাছটির মূল সতেজ থাকে তবে আপনি ভালোভাবে ফুল গাছটির যত্ন নিলে এবং যদি নিয়মিত গাছের গোড়ায় পানি দেন তাহলে দেখবেন একদিন ওই গাছটি আবার নতুন করে পাতার জন্ম দিচ্ছে এবং ওই ফুল গাছটিতে আপনি ফুলের সৌরভ পাবার সম্ভাবনা খুব বেশি আশা করতে পারেন বা পাইবেন । কোনো কারণে গাছটি মরে গিয়েছিল কিন্থু তার মূল টিক ছিল বিধায় সেই গাছটি আবার সঠিক পরিচর্যার ফলে নতুন করে জীবিত হয়েছে এবং সাথে সাথে ফুল দিয়ে তার আশপাশ সৌরাভান্নিত করছে ।
তদুপুরি একজন মানুষের মনুষ্যত বোধ হচ্ছে ওই মানুষটির মূল । যখন কোনো মানুষের মনুষ্যত বোধ তার মধ্যে থেকে বিলুপ হয়ে যায় তখন ওই মানুষটি আসলে মানুষ রূপে সঠিক ভাবে বেঁচে থাকার সার্থকতা সে হারিয়ে ফেলে । মানুষের চেতনার সুতিকাগার হলো তার বিবেক । বিবেক হীন মানুষ আর পাগলের মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই । বিবেক ছাড়া মানুষ্ চলতে পারে তবে সে চলা আর বিবেকই মানুষের চলা ভিন্ন । কোনো মানুষের বিবেক বোধ যখন লুপ পেতে থাকে তখন আস্তে আস্তে সে মানুষটি যেন ধংসের দারপান্তে চলে গেল । অর্থাৎ বিবেক হচ্ছে মনুষ্যত প্রকাশের হাতিয়ার । যে মানুষটির বিবেক মরে গেল ,সে মানুষটি বেছে থেকেও যেন মরে গেল । বিবেক হীন মানুষের কাছে ভালো কিছু প্রত্যাশা করা আর উলবনে মুক্তা ছড়ানো একই কথা ।
সর্বপুরি প্রতিটি জিনিস তার মূলের দিকে ধাবিত | একটি পাখি সারা দিন আকাশ বিচরণ করে সন্ধ্যা সময় টিক সে তার বাসায় বা নীড়ে ফিরে আসে | কারণ পাখির আশ্রয়ের মূল জায়গা হলো তার বাসা |
উদাহরণ হিসেবে আমরা এখানে বলতে পারি কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের কথা | কবি মাইকেল মদুসুধন দত নিজ দেস বাংলাদেশ ত্যাগ করে ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে পাড়ি জমিয়েছিলেন বিদেশী ভাষার একজন নামকরা কবি হওয়ার জন্য | অনেক কবিতা ও রচনাবলী ও তিনি করেছেন কিন্থু তিনি সফলতার মুখ দেখেন নাই | তিনি নিজ দেশ , নিজ ধর্ম ও সংস্কৃতি ত্যাগ করে বিদেশী ভাষা ,বিদেশী সংস্কৃতি ও বিদেশী মহিলা কে বিবাহ করেন | যাতে তিনি নিজেকে সাহিত্য জগতে প্রতিষ্টিত করতে পারেন | তিনি অনেক চেষ্টা সাধনা করেন | কিন্থু তার সব চেষ্টা সাধনা ব্যর্থতায় পর্যবিসত হয় |
অবহেলায় ,অনাহারে ও অনিদ্রায় যখন জর্জরিত কবি মন তখন নিজ দেশ বাংলাদেশ ফিরে যাবার মনস্তির হয় । অবশেষে কবি প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং জীবনের বাকিটা সময় তিনি বাংলা সাহিত্যে রচনাবলী ও কবিতা লিখে যান । কবি মনের আক্ষেপ ও বেদনা তার কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করেন ।কবিতাটা হলো
হে বঙ্গ ভান্ডারে তব বিবিধ রতন
তা সবে (অবোধ আমি ) অবহেলা করি ।
পর ধন লোভে মত্ত করিনু ভ্রমন
পরদেশে ভিক্ষা বৃত্তি কুক্ষণে আচরি ।
কাটাইনু বহুদিন সুখ পরিহরি ।
অনিদ্রায় , নিরহারে সপি কায়মন
মজিনু বিফল তপে অবরেণ্যে বরি
কেলিনু শৈবালে ভুলি কমল-কানন
সপ্নে তব কুলক্ষী কয়ে দিলা পরে
ওরে বাছা ,মাতৃকোষে রতনের রাজি
এ ভিখারী দশা তবে কেন তর আজি ?
যা ফিরি , অজ্ঞান তুই , যারে ফিরে ঘরে
পালিলাম আজ্ঞা সুখে , পাইলাম কালে
মাতৃভাষা -রূপে খনি ,পূর্ণ মণিজালে ।
মাতৃ ভাষা হলো আল্লাহর দেওয়া সেরা দান । জন্মের পর তেকেই একটি শিশু যে দেশে বেড়ে উটে সে দেশের ভাষা হলো তার জন্য তার মাতৃভাষা এবং এই ভাষাটি আল্লাহ প্রদত্ত যা সে খুব সহজে রপ্ত করে নিতে সক্ষম । তো যে কথাটি বলতে চেয়েছিলাম তা হলো মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা করে কেউ কোনদিন সফল হতে পারেননি বিশেষ করে কবি ,সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে । যদিও কেও সফল হন তবে সেটা সাময়িকের জন্য ,সেটা দীর্ঘস্তায়ী হয় না । পৃথিবীর ইতিহাস সেটা বলতেছে । তাই প্রতিটি জিনিস তার মূলের দিকে ধাবিত । মানুষ সেটার ব্যতিক্রম নয় ।
যদি কোনো কিছু সমাজে আনুষ্টানিক ভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে তবে সেটাকে খুব সহজে প্রতিরোধ করা যায় না । এটাকে প্রতিরোধ করতে হলে একটা ভালো প্রতিষেধক লাগবে । যেমন কারো যদি রোগ হয় ডাক্তার অনেক ঔষধ দেয় এবং সাথে কিছু আন্টিবইটিক দেয় যাতে করে কোনো পার্শপ্রতিক্রিয়া না ঘটে । আর এই আন্টি বায়োটিক গুলো একটি কোর্স বিত্তিক ফর্মুলায় খেতে হয় যা ডাক্তার রোগীকে বলে দেন । আন্টি বায়োটিক গুলো ডাক্তার যে ফর্মুলায় খাবার এর জন্য বলেন সে ফর্মুলায় খেতে হয় । যদি ডাক্তার একটি বিশেষ বা নিদৃষ্ট দিন পর্যন্ত ধার্য করেন যে নিয়মিত ঐ বিশেষ বা নিদৃস্ট দিন কোনো বিরতি ছাড়া খেতে হবে । যদি কোনো কারণে বিরতি ঘটে যায় তা হলে রোগীকে ডাক্তার যে সব ঔষধ দিয়েছেন সে সব ঔষধ খেয়ে রোগী ভালো হয়ে যেতে পারেন কিন্থু সেটার একটা পার্শপ্রতিক্রিয়া ঘটার সম্ভাবনা থেকে যায় । অর্থাৎ রোগী আবার অসুস্ত হয়ে পড়বেন । তাই রোগীকে পুরাপুরি সুস্থ হয়ে উটতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ ভিত্তিক নিয়মিত ঔষধ সেবনের পাসাপাসি ওই এন্টি বায়োটিক গুলো ও খেতে হবে ।
সত্যিকার অর্থে বিজাতীয় সংস্কৃতি আমাদের সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে প্রবেশ হয়ে গেছে | আমরা ছোট বেলা দেখেছি যদি কোনো বাড়িতে বিয়ে -সাদি হত তাহলে সে বাড়িতে গান বাজনা হত তবে সেটা বাংলা | আর এটা হওয়া টা স্বাভাবিক ছিল কারণ আমরা বাংলাদেশি | আমার মনে আছে একবার একটি বিয়ের দিনে কেও জানি কে একটি হিন্দি গান বাজাচ্ছিল তখন গ্রামের বড় এক ভাই বলেছিলেন আরে এটা কি বাজাচ্ছিস তর কাছে কি বাংলা গানের কাসেট নেই | তখন সাথে সাথে ওই ভাইটি হিন্দি গানটি বন্ধ করে বাংলা গানের একটি কাসেট তার টেপ রেকর্ডারে লাগিয়ে বাজালেন | তখন পর্যন্ত এটা কাসেট প্লেয়ারে সীমাবদ্ব ছিল | তার পর তেখে শুরু হলো গায়ে হলুদ অনুষ্টান | বিয়ের আগের দিন কনে ও বর এর বাড়িতে এ অনুষ্টানটি হয়ে থাকে |
নব্বই দসকের পর থেকে বিয়ে -সাদিতে একটি রীতি পরে গেলো সেটা হলো বিয়ে -সাদির অনুষ্টান ভিডিও আকারে ধারণ করে রাখা | বিয়ে -সাদী হচ্ছে একজন নর- নারীর জীবনের পরম একটি মুহর্ত যা জীবনে সবার আসে তা স্মৃতি হিসেবে ভিডিও ধারণ করে রাখা টা স্বাভাবিক | কিন্থু সবচেয়ে আফসোসের বিষয় হলো ভিডিও ধরণের সাথে গানের সংযোজন গোটানো তবে সেটা হিন্দি গানের সংযোজন | আমি হলফ করে বলতে পারি আমাদের সমাজে যত বিয়ে -সাদী হয়ে থাকে , আর তা যদি ভিডিও ধারণ করা হয় তবে সে ভিডিও এর সাথে হিন্দি গানের সংযোজন থাকবেই | আমার মনে হয়না কেও ভুলেও একটি বাংলা গানের সংযোজন করে না ওই সব বিয়ে সাদির অনুষ্টানে এমনকি বিয়ে সাদির অনুষ্টানে হিন্দি গান বাজনা এবং হিন্দি গান বাজনার তালে নৃত্ব নাচ পরিবেসন হয়ে থাকে | আসলে এটা আমাদের সমাজের একটা প্রথা হয়ে গেছে যে হিন্দি গান বাজানো মানে আধুনিক একটা ভাব ফুটে উটা | এই অমূলক ধারণা কে যারা মনে মনে ধারণ করতেছেন তারা আসলে বোকামি আর ভন্ডামির সাগরে নিজেদেরকে বাসিয়ে বেড়াচ্ছেন | আসলে তারা জাতির সাথে বেইমানি করতেছেন |
বিশ্বের কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবেনা যে কোনো জাতি তাদের ভাষার জন্য জীবন দিতে | কিন্থু আমরা সেই সে জাতি যারা মাতৃভাষার জন্য জীবন দিয়েছি | মাতৃভাষাকে পাওয়ার জন্য দেশ মাতৃকার বীর সন্তানেরা হাসি মুখে তাদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন | অথচ আমরা নির্দ্বিদায় তাদের কে ভুলে গিয়ে , আমরা বিজাতীয় সংস্কৃতি কে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে আছি | আমাদের মনে ভাষার চেতনা শুধু একদিন ই জাগ্রত হয় সেটা হলো একুশে ফেব্রুয়ারী | সালাম ,জব্বার ,রফিক ,সফিক ভাই আমাদেরকে মাফ করে দাও , তোমরা যে জাতিকে তাদের মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার প্রতিষ্টার জন্য জীবন দিলে অতচ তারা আজ মাতৃভাষাকে অবগ্গা করে বিজাতীয় ভাষা ও সংস্কৃতি অনুসিলনে ব্যস্ত |
মাননীয় পাঠক আমরা প্রায় সময় দেখতে পাই যে গোলটেবিল বৈটক হয় | এখানে দেশের সুশীল সমাজের লোকজন অংসগ্রহণ করে থাকেন | তারা দেশের সার্থে ,সমাজের সার্থে অনেক কিছু করার উদ্যোগ নিয়ে থাকেন বা সরকার এর কর্ণপাত করে থাকেন | যদিও সরকার বা সংশ্লিস্ট কর্তিপক্ষ জিনিসটাকে প্রথমে খুবই গুরত্ব দিয়ে থাকেন | মনে হয় যেন জিনিসটা এখনি হয়ে যাবে বা করে ফেলবেন এমন ভাব দেখান | আসলে আমাদের সরকার যদি কোনো বিষয় নিয়ে বা কোনো কিছু করতে উদ্যোগ নেয় তাহলে অনেক সময় তা খুব সহজে হয়ে যায় | আসলে আমাদের দেশের শাসন ব্যবস্তা এমনই হয়ে গেছে যে জনগণ কোনো বিসয় নিয়ে সরকারের কাছে গেল ,সরকার খুব সুন্দর করে তাদের আবদার গ্রহণ করে থাকেন এবং জনগনকে আরো অনেক কিছু দেওয়ার প্রতিঘা করে থাকেন কিন্থু তা কবে বাস্তবায়ন হবে তার কোনো হদিস থাকেনা | আমাদেরকে শুধু কাগজে কলমে লিখে প্রতিবাধ বা প্রতিরোধ ব্যবস্তা চাইলে হবেনা | আমাদেরকে টেলিভিসনের টকশো আর মধ্যে সীমাবদ্ব না থেকে বাস্তবে মাঠ পর্যায় ,তৃণমল পর্যায় আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে | বাস্তবে জনগনকে জানাতে হবে ,বুঝতে হবে যে কোনটা আমাদের জন্য প্রযোজ্য আর কোনটা অপ্রযোজ্য |
একটা জিনিস এখানে আমি আবার বলব যে , আমাদেরকে বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে বাঁচতে হলে প্রতিষেধক নিতে হবে | দেখা গেল কিছু দিন আমরা খুব গুরিত্বের সাথে সব কিছু করলাম ,তারপর বিরতি দিয়ে আবার বাদ দিয়ে আগের অবস্তায় ফিরে গেলাম , তার ফল কি পরিনাম ভয়াবহ রূপ নেবে তা আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি | আমাদেরকে সম্পুর্ন রূপে বিজাতীয় সংস্কৃতির টিভি চ্যানেলে দেখা বাদ দিতে হবে | দেশীয় টিভি চ্যানেলের অনুষ্টান আমাদেরকে বেশি বেশি করে দেখতে হবে দৈর্য সহকারে এবং নিজে দেখব পাশাপাশি অন্যকে দেখতে বা দেখাতে উত্সাহিত করব | তাছাড়া সংস্কৃতি আঙ্গিন যারা আছেন তাদেরকে দেখতে হবে দর্শকের মন মানসিকতা , চাহিদা এবং উন্নত করে দেশীয় সংস্কৃতিকে দর্শকের কাছে উপহার প্রদান করা | আর এই চেষ্টা ,উদ্যোগ নিয়মিত থাকতে হবে বা নিয়মিত রাখতে হবে তবে বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে দেশ ও দেশের জনগণ কে রক্ষা করা যাবে |
আমাদেরকে প্রতিষেধক হিসেবে বিজাতীয় সংস্কৃতির কুফল সম্পর্কে তৃণমল পর্যায় থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তানে প্রচার করতে হবে | একটা জিনিস যখন আপামর জনতা একটা জিনিসকে বাদ হিসেবে মূল্যায়ন করে থকন ওই বাদ জিনিসটি যদি ভালোও হয় তখন জনগনের রায়ে তা মন্দ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্টা লাভ করে | তাই আমাদেরকে সবার আগে জনগনকে বেশি বেশি করে জনসচেতনা মূলক অনুষ্টান প্রচার ও প্রকাশ করতে হবে যাতে করে তারা বিজাতীয় সংস্কৃতি কে আকড়ে না ধরে | আর সেটা আমাদের দ্বারা সম্ভব কারণ আমাদের একটা উন্নত, সমৃদ্ব সাহিত্য ও সংস্কৃতির ভান্ডার আছে |
আমাদের বিশাল সাহিত্য ও সংস্কৃতি ভান্ডার থাকা সত্বেও কেন আমাদের এ অবস্থা ? আমি আমার ব্যক্তিগত অভিমত ও বাস্তব অবস্থার আলোকে যদি বলি সেটা হলো আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির প্রতি অনীহা ও অবহেলা | আর সেটা জেনে শুনে হতে পারে আবার সেটা মনের অজান্তে হতে পারে |
এই তো কযেক মাস আগে বাংলাদেশের একটি অনলাইন ইংরেজি পত্রিকায় একটা খবর পড়েছিলাম , খবর টা একটি মাল্টিন্যাসনাল কোম্পানির প্রডাক্টের বিজ্ঞাপন প্রচার নিয়ে | আজকাল মেয়েদের ভিবিন্ন স্কুলে ইউনিলিভার বিনামূল্যে রেচ্কনা বিতরণ করতেছে | আর সেই বিঘাপনের প্রচারের জন্য মেয়েদেরকে নেওয়া হয় | কথায় আছে বাঙালি নাকি মাগনা পাইলে আলকাতরাও নিতে রাজি আছে |সে জায়্গায় রেচ্কনা , আর নর্থ সাউথ যেটা দিল সেটা বেশ ভালো মানের প্রডাক্ট বলা যায় |
এক স্কুলে ইউনিলিভারের মেয়েরা গিয়েছিল রেক্সনার কাম্পাইন করতে | কিন্থু সেই সব মেয়েদের জামা কাপড় পড়ার ধরন এতই বাজে ছিল যে খ্রিস্টান মিশনারী স্কুলের নান পর্যন্ত বলতে বাধ্য হয়েছেন - আপনারা এসব কি ধরনের কাপড় পড়ে এসেছেন বাচ্চা মেয়েদের স্কুলে ? এভাবে কি কেউ ইন করে সার্ট পড়ে ।
নানের কথা শুনে সাথে সাথে তারা তাদের সার্টের ইন খুলে ফেলে টিক হয়ে নিল ।লজ্যায় নান নিজেই তাদের দিকে তাকাতে পারছিল না ।
বিদেশী বেনিয়ারা আমাদের স্কুল -কলেজ গুলোতে গিয়ে কাম্পেইন করে , ভার্সিটিতে ফ্রি কনডম বিতরণ করে ,আমাদের নারীদের কিছুই না লুকানোর শিক্ষা দেয় ।
আবার তাদের মডেল স্বরূপ স্কুলের বাচ্চাদের সামনে মার্কেটিং গার্লদের অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে উপস্থাপন ও করে । কিন্থু তাতে কিছু যায় আসেনা স্কুল -কলেজ কর্তিপক্ষের এবং সমাজের উচ্চ শ্রেণীর সুশীল সমাজের ।
রেক্সনার শিক্ষামূলক বিজ্ঞাপনে শেখানো হয় -ঘামের গন্ধের কারণে মানুষের আত্ববিশ্বাস লোপ পায় । আরে ভাই ব্স্তুগত জিনিস ব্যবহারের উপর বুঝি আত্ববিশ্বাস নির্ভর করে ? আরে ভাই স্কুল -কলেজ হলো ছেলে -মেয়েদর নৈতিক শিক্ষাদানের জায়গা । স্কুল -কলেজে নিয়মিত লেখাপড়ার পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের নৈতিক শিক্ষাদান করেন স্কুলের সম্মানিত শিক্ষক বৃন্দ । কিন্থু নৈতিক শিক্ষা দানের পরিবর্তে যদি অনৈতিক শিক্ষা প্রদান করা হয় বা দেওয়া হয় তাহলে এর পরিনাম বা ফল কি দাড়াবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা ।
আমি এখানে রেক্সনার শিক্ষা মূলক বিজ্ঞাপন যা দেখানো হয় তা হলো এরকম - আতিফ ও আসফিয়া দুটি ছেলে মেয়ে । তাদের মধ্যে তুলনা করা হয় । আতিফ রেক্সনা ব্যবহার করেনা দেখে আতিফ পরীক্ষায় সবসময় খারাপ করে ,খেলাধুলা করতে পারেনা এই হলো সেই । এটা হলো রেক্সনার শিক্ষামূলক বিজ্ঞাপন ।
এই সব মাল্টিনেসনাল কোম্পানি আমাদের বাচ্চাদেরকে প্রডাক্ট নির্ভর বানিয়ে তুলছে । তারা ভাবাচ্ছে যে তাদের পন্য ছাড়া আত্ববিশ্বাস জাগবেনা বা আত্ববিশ্বাস হবে না ।আর আমাদের মুন্ডুকবিহীন সমাজ পতিরা ভাবলেশহীন ভাবে শুধু দেখে যাচ্ছেন ,তাদের ভাবনা এরকম যে " বেশ তো ভালো ,যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ছেলে -মেয়েরা এগুলো "। তারা প্রতিবাধ ,প্রতরোধ করার কথা ছিল কঠোর হাতে তা না করে তারা বেনিয়াদের দাসত্বে তৎপর সিদ্বহস্তে
বাংলায় একটা ভাবসম্প্রসারণ আছে , " বন্যেরা বনে সুন্দর , শিশুরা মাত্রই কুলে | বনের পাখিকে বনে মানায় ,কিন্থু যদি বনের পাখিকে মানব বাড়িতে নিয়ে আসা হয় তা হলে পাখি তার স্বাভাবিক বিচরণ করতে পারবেনা , পাখি নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে , যতই পাখিকে আদর যত্ন করা হোক না কেন ,পাখি তার আবাসস্তল বন ছাড়া থাকতে পারবেনা |
তেমনি যদি একটি মানব শিশুকে তার মায়ের কুল থেকে ছেড়ে নিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে মানব শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে উটা সম্ভব হবে না | শিশু তার মায়ের কুল ছাড়া অন্যত্র যেমন স্বাভাবিকতা পাবেনা এবং নিরাপদ বোধ করবেনা | অর্থাথ বন্যেরা বনে সুন্দর ,বনে তাদের মানান সই অন্যত্র বেমানান তেমনি মানব শিশুকে তার মায়ের কাছে সুন্দর |
আমরা জাতি পরিচয়ে বাঙালি আর দেশের পরিচয়ে হচ্ছি বাংলাদেশী | আমরা বাঙালি হয়ে যদি অবাঙালি পোশাক পরি তা হলে আমাদের কে যেমন শোভা পাবেনা ,তেমনি স্বাভাবিক চলা ফেরা করতে অনেক অসুবিধা হবে এটাই স্বাভাবিক | একজন বাঙালি মহিলাকে শাড়ি পড়লে সুন্দর লাগবে কারণ শাড়ি হচ্ছে বাঙালি ললনাদের জাতীয় পোশাক | শাড়িতে বাঙালি মহিলাদের সুন্দর লাগার পাশাপাশি তাদের স্বাভাবিক চলাফেরায় কোনো বাধা বা অসুবিধা হয় না | কিন্থু যদি দেখা যায় একজন বাঙালি মহিলা হয়ে সার্ট -পেন্ট ইন করে পুরুষের ন্যায় চলা ফেরা করেন তাহলে তাকে তো সুন্দর লাগা দুরের কথা সে বাঙালি সমাজে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন না | যদি ও পোশাক আশাক পরা যার যার ব্যক্তিগত অধিকার তারপরও পোশাক আশাক পরার আগে আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা বাঙালি | নতবা আমাদের অবস্থা হবে ওই মাল্টি নেসনাল কোম্পানি ইউনিলিভারের নারী মডেলদের মোট অবস্থা | যাকে যেটায় মানায় তাকে সেটায় শুভা পায় | যদি একজন ইংরেজি মহিলাকে শাড়ি পড়তে দেওয়া হয় আর সে যদি শাড়ি পরে তাহলে সে শাড়ি পরে স্বাভাবিক ভাবে চলা -ফেরা করতে পারবেনা কারণ সেটা তার পোশাক নয় ,শাড়ির চাইতে তাকে শার্ট -পেন্টে বেশি মানান সই মনে হবে কারণ সে ঐটা সবসময় পরে অব্যস্থ | কাজেই আমরা অন্যকে নকল না করে আমাদের যা আছে তা নিয়ে সুন্দর করে থাকতে হবে ,চলতে হবে , লালন -পালন করতে হবে এবং তাই নিয়ে আমাদের কে সন্তুস্ট থাকতে হবে |
নকল করে পরীক্ষায় পাস করা যায় কিন্থু জ্ঞান অর্জন সম্ভব নয় | আজকাল নকল করাটা একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে | এক ভদ্র মহিলা একটা উচু মাপের একটা জুতা পরছিল কারণ সে মহিলাটি স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেটে ছিল তাই | ঐ ভদ্র মহিলাকে অনুসরণ করে আরেকজন ভদ্র মহিলা উচু মাপের জুতা পরলেন | ফলাফল হলো ওই ভদ্র মহিলাটি প্রথম জনের চেয়ে একটু বেশি লম্ভা ছিল এবং ঐ ভদ্র মহিলা জুতা পরে হাটার সময় উনি হুচট খেয়ে পরে তার একটি পা ভেঙ্গে ফেলেন | কেউ কোনো কিছু করে প্রয়োজনে আর কেউ কোনো কিছু করে শখে | তাই আমাদের সবার উচিত শখের বশে বশীভূত হয়ে অপ্রয়োজনীয় কোনো কিছু না করা | নতবা আর ফল বা পরিনাম শুভ হয় না |
আমাকে বিশ্বয করে একটি জিনিস তা হলো বিশ্বকাপ ফুটবল হচ্ছে ব্রাজিল | কিন্থু আমাদের দেশে যে অবস্থা ,যে হারে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার পতাকা বাংলাদেশের আকাশে -বাতাসে উড়ছে দেখে মনে হচেছ বাংলাদেশ বোধয় ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনা | আমার মনে হয় না ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনায় এত পতাকা উড়ছেনা | বিশ্বের আর কোনো দেশে বোধয় আমাদের মত অন্য দেশের পতাকা এত উড়ানো হয় না | প্রায় পত্রিকা পড়লে একটা জিনিস লক্ষ করা যায় এমন অনেক লোক আছে যে তারা তাদের জমি জমা বিক্রি করে ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনার পতাকা বানাচ্ছে | আমি এইগুলোকে উন্মাদনা ছাড়া আর কিছু বলবনা |
বিশ্বকাপ প্রতি পাঁচ বছর পর পর আসে এবং খেলা ধুলার জগতে এটি বিশ্বের অন্যতম বড় কোন আসর , তাই এটির প্রতি মানুষ জনের আগ্রহ ,অপেক্ষা ও সমর্থন থাকতেই পারে নিসন্দেহ | কিন্থু তাই বলে সব কিছুকে উপেক্ষা করে নয় | আমার বুঝ হবার পর থেকে আমি দেখে আসছি যে বিশ্বকাপ ফুটবল এর সময় বাংলাদেশের আকাশে ভিন দেশীয় জাতীয় পতাকা উড়তে | এই সমর্থন ও পতাকা উড়ানো কে আমরা এমন এক পর্যায় নিয়ে গেছি যে , দেখে মনে হয় সীমানা বিহীন কয়েক দেশ একসাথে অবস্থিত | এক শত -দু শত পতাকা নয় হাজার হাজার পতাকা বাংলার আকাশে উড়ে | আমি কখন দেখিনি বাংলাদেশের কোন জাতীয় দিবসে স্ব -ইচ্ছায় আমাদের জাতীয় পতাকা উড়তে | আফসোস আমরা সেই জাতি ,যারা নিজেদের কে অন্ধ ভাবে অন্যের প্রতি এমন ভাবে বিলিয়ে দেই সে যেই হোক ,সে চিনুক আর নাই চিনুক | এই তো কিছুদিন আগে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট হলো আমাদের দেশে এবং আমাদের দেশও সেই আসরে অংশগ্রন করেছিল কিন্থু আমরা কয় টি পতাকা উড়তে দেখেছি আমাদের দেশের | আমার বলার কিছু নেই শুধু মাত্র মনের আক্ষেপ তা কে এখানে তুলে ধরলাম এবং বাকিটা সম্মানিত পাঠক দের উপর ছেড়ে দিলাম |
এই তো ২০১৩ সালের একটা ঘটনা বলব | আজকাল বিশ্বের কোথায় কি হয়েছে বা কি হচ্ছে তা নিমিষেই আমরা জানতে পারি , তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় | সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও দেখেছিলাম বৈশখী আয়োজন নামে | অনুষ্ঠান এর গান পরিবেশিত হয়েছিল বাংলা এবং হিন্দি | এমনকি বৈশাখী আয়োজনের অনুষ্ঠানে নাচ -গান হবে , পান্থা ,বর্তা ,ইলিশ থাকবে এটা স্বাভাবিক | কিন্থু যদি দেখা যায় বৈশাখী অনুষ্টানে হিন্দি গান পôরিবেশন এবং গানের সাথে বাঙালি নৃত্য , তাহলে বুলন তো কেমন দেখায় | পান্থা ভাত ,আলু বর্তা আর ইলিশ খেয়ে যদি একদিনের জন্য বাঙালির প্রকাশ পায় তা হলে এত কিছুর আর দরকার ছিল না | আমাদের কে বাঙালি বা বাঙালিয়ানা দেখাতে হবে কাজে কর্মে | আমরা যদি মুখ দিয়ে বলি আমরা বাঙালি আর আমাদের কর্মের মধ্যে যদি বাঙালি পরিচয় না থাকে তাহলে মুখ ফাটিয়ে বাঙালি বললে বাঙালি হওয়া যাবেনা | একটি প্রবাধ বাক্য আছে যে " বৃক্ষ তোমার নাম কি ? ফলে পরিচয় "| তাই আসুন আমরা সবাই আমাদের কাজে কর্মে আমাদের পরিচয় ফুটিয়ে তুলি ,শুধু মুখে না বলে |
আমাদের দেশের একজন সুনাম ধন্য শিক্ষক ,কথা সাহিত্যিক এর একটি ঘটনা বলব | যিনি বাংলা সাহিত্যে অনেক লেখা লেখি করেন এবং মাঝে মধ্যে বিশেষ বিশেষ পত্রিকায় নিজের লেখা প্রকাশ করেন | তিনি আমাদের কে একজন শিক্ষক হিসেবে নয় তিনি সমাজ ও দেশের প্রতিনিধি হয়ে আমদেরকে অনেক সময় উপদেশ দিয়ে থাকেন | তার মুখের মিষ্টি মিষ্টি কথা আমার মত এদেশের হাজার হাজার তরুণ -তরুণী শুনে থাকেন এবং উনাকে অনুসরণ করতে ভালবাসেন |কিন্থু সেই শিক্ষক যদি হিন্দি গানের তালে ছাত্র -ছাত্রীদের সাথে নাচেন তাহলে আমাদের আর বলার কিছু থাকেনা | শুধু লেখালেখি করে আর আর উপদেশ দিয়ে আমাদের মত সাদাসিধে মানুষদের ধোকা দিবেন না জনাব | আপনারা নিজে যেটা করবেন না সেটা আমাদের করতে দিবেন কেন | আসল কথা হলো আপনাদের মত যারা , আপনারা কি করলেন আর কি করলেন না সেটা আমাদের কারো কিছু যায় আসে না জনাব কিন্থু আমরা সাধারণ জনগণ কোনো কিছু ভুল করে ফেললে আপনাদের কাছে সেটা পান থেকে চুন খসে পড়ার মত মনে হয় | আমাদের লজ্জা লাগে মাঝে মধ্যে আপনাদের ঐ সব ভন্ডামী দেখে | দোহাই লাগে আর ভন্ডামি কইরেন না জনাব |
তথ্য সূত্র :
বলা বাহুল্য এখানে একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য যে ,আমরা সবাই জানি প্রতিটি জিনিসের দুটি দিক থাকে I ভালো দিক এবং খারাপ দিক |বিশেষ ভাবে লোক্কনীয় যে আমাদের সমাজে ,ভালো কোনো বিষয়ের আলোচনার চেয়ে ,খারাপ দিক গুলো নিয়ে বেশি সমালোচনা করতে দেখা যায় | আর এই খারাপ দিক গুলো নিয়ে বেশি আলোচনা -সমালোচনা করে একটা সময় আমরা মন্দের ভালো দিক গুলো ভুলে যাই | তাই বলে মন্দ দিক নিয়ে আলোচনা -সমালোচনা যে একেবারে করা যাবেনা এর পক্কে আমি নই বরং মন্দ থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে যাতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা না হয় ,এতে আমাদের নিজেদের সংসদনের একটা প্রচেষ্টা বা প্রয়াস এর সুযোগ থাকে |
"সময়ের এক ফড় , অসময়ের দশ ফড় " সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে | ইংরেজিতে একটি প্রবাদ আছে " সময় এর অপর নাম অর্থ বা টাকা " | এখানে সময়ের গুরুত্ব বুঝাতে সময়কে টাকা বলা হয়েছে | আর আমরা এই নীতি বাক্যটি সবাই জানি | আমাদের সমাজের একটি ধর্ম আছে যেটা হলো আমরা জানতে রাজি ,মানতে রাজি নই | আমরা গ্জ্ঞান দিতে অভ্যস্ত ,নিতে নারাজ |
আমরা যদি পৃথিবীর উন্নত দেশ বা জাতির দিকে তাকাই , তাহলে আমরা দেখব তাদের উন্নতির পেছনে একটা জিনিস প্রধান্য পেয়েছে তা হলো তারা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্বা বা ভালবাসা |
আমরা উদাহরন হিসেবে বলতে পারি বৃটেনের কথা । বৃটেনে পৃথিবীর সব দেশের মানুষ কম বেশি বসবাস করে । বৃটেন হলো মুক্ত সংস্কৃতি চর্চার কেন্দ্র । এখানে কম বেশি পৃথিবীর সব দেশের মানুষ বসবাস করে ,তাই বলে তারা তাদের সংস্কৃতি ছেড়ে দেয়েনি বরং তারা তাদের সংস্কৃতি -সভ্যতা সুন্দর ভাবে অনুশীলন করে যাচ্ছে এবং তারা সক্ষম হচ্ছে তাদের সংস্কৃতি মানুষের কাছে তুলে ধরতে । অন্য সংস্কৃতি কে তারা আবার অবহেলা বা অবজ্গা করে নয় বরং অন্য সংস্কৃতিকে শ্রধা রেখে তারা তাদের সংস্কৃতির চর্চা চালিয়ে যাচ্ছে । বহু ভাষা ,সংস্কৃতির লোক এখানে বসবাসের পাশাপাশি বহু ভাষা এবং বহু সংস্কৃতির চর্চা ও এখানে হচ্ছে কোনো বাধা ছাড়া । আমাদের মত তারা বেল্লাপনায় ভাসছেনা ।
"একটি সুন্দর ,সুস্থ সংস্কৃতি একটি উন্নত সভ্যতা গড়ে উঠার প্রধান শর্ত "। সভ্যতা গড়ে উঠার পেছনে যতগুলো জিনিস কাজ করে তার মধ্যে অন্যতম হলো সংস্কৃতি ।
সংস্কৃতি হলো দৈনন্দিন জীবনে আমরা যা কিছু করি ।অর্থাৎ খাওয়া -দাওয়া ,চলাফেরা ,চালচলন ,পোশাক -পরিচ্ছেদ ,কাজ -কর্ম ইত্যাদির সমষ্টি হলো সংস্কৃতি । আর সংস্কৃতির বহিপ্রকাশ হলো সভ্যতা ।সংস্কৃতি ও সভ্যতা একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত |
সংস্কৃতিকে আমি ব্যক্তিগতভাবে দু প্রকার বলব | একটি হলো সুস্থ সংস্কৃতি আর অন্যটি হলো অসুস্ত সংস্কৃতি |
সুস্থ সংস্কৃতি হলো যা নিয়মিত আমাদের মাঝে স্বাভাবিক ভাবে বিদ্যমান থাকবে ,একটি বিশেষ দিন বা বিশেষ মহুর্তের জন্য নয় | আমরা জাতি হিসেবে বাঙালি |আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতি আছে তবে সেটা দেখতে পাই বিশেষ দিনগুলোতে ,ওই দিন গুলো ছাড়া আমরা ভুলে যাই আমরা বাঙালি ,আমাদের সংস্কৃতি | যার ফলে আমাদের তরুণ প্রজন্মের বিশাল একটা অংশ আমাদের নিজ্বস সংস্কৃতি সমন্ধে ধারণা নেই বললে চলে | আমি হলফ করে বলতে পারি যে আমাদের নতুন প্রজন্মের একশজন যুবক যুবতীকে যদি জিগ্গেস করা হয় পহেলা বৈশাখ কি তাহলে পঞ্চাশ থেকে ষাট জন বলতে পারবেনা আর বাকিরা বলতে পারলেও সুধু মাত্র ওই দিনটা পর্যন্থ বিদ্যমান,তারপর সবাই সমান | পহেলা বৈশাখ বলতে তাদের কাছে ঐ দিন পান্থা -ভাত ,ইলিশ খাওয়া ,শাড়ি পড়া ,পাঞ্জাবি পড়া আর গান বাজনা গাওয়া শুনা ,প্রেমিক -প্রেমিকার আড্ডা ইত্যাদি বুঝায় |
আসলে পহেলা বৈশাখ হলো বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিন |মুগল সম্রাট আকবর বাংলা বছরের রূপকার |মুগল সম্রাট আকবর বাংলা সনের পবর্তক | যদি আমাদের তুরন প্রজন্মকে বলা হয় বাংলা সনের পবর্তক কে তাহলে বেশির ভাগ বলতে পারবেনা | কারণ আমরা পান্থা -ভাত ,ইলিশ খেতে বেশি পছন্দ করি ,ইতিহাস কে নয় | আমাদের ইতিহাস ,ঐতিহ্য ,সংস্কৃতি নিয়ে এগুতে হবে সঠিকভাবে ,তবে আমাদের পন্থা -ভাত খাওয়া সফল হবে |
আমার এক বন্ধু আমাকে এক সকালে এসে বলল দুস্ত চল ভার্সিটিতে | বললাম না দুস্ত আজ ছুটি আজকে কেন যাব ,সে বলল দুস্ত জানসনা আজকে যে বিশ্ব ভালবাসা দিবস চলনা দেকবে অনেক মজা হবে | আমি না গিয়ে আর পারলামনা ,গিয়ে দেখি একজন ,দুজন করে সবাই সবার মত হাটা হাটি করতাছে |বিশেষ করে প্রেমিক প্রেমিকেরা কেও পাহাড়ের উচুতে,কেও বা পাহাড়ের নিচু কোনো ঝোপ ঝড়ের পাশে বসে প্রেমালাপ করতাছে | ইতিমধ্যে আমরা বন্ধু বান্ধব বেস কয়েকজন হয়ে গেলাম |অনেক আড্ডা দিলাম ,তারপর আমদের সবার একটি প্রিয় জায়গা শহিদ মিনার এলাকায় চলে গেলাম | সেখানে বসে আমরা সবাই চা পান করলাম । হঠাত করে আমার এক বন্ধুর ফোন বাজে উঠল ,ফোন শেষ করে সে বলল দুস্ত আজকে গানের একটা কোনসার্ট আছে সন্ধের পর ।
সময়মত আমরা সবাই কোনসার্ট এ হাজির হলাম ,প্রথম প্রথম কয়েকটা গান শুনলাম বেশ ভালো লাগলো । তারপর শুধু গানের বিট ছাড়া আর কিছুই আমরা শুনতে পেলামনা ,যদিও সম্মানিত গায়ক সাহেবরা গান গেয়েছিলেন । প্রথমে আমি ভাবছিলাম আমার বুধয় শুনতে সমস্যা হচ্ছে হঠাত করে আমি আমার এক বন্ধুকে বললাম কি গান হচ্ছে বন্ধু সে বলল আসলে দুস্ত আমি বলতে পারবনা ,আমি বললাম তাহলে লাফাচ্ছছ কেন সে বলল কনচার্ট এ নাকি লাফালাফি করতে হয় ,লাফালাফি না করলে কোনচার্ট নাকি জমেনা ।এভাবে কোন চার্ট চলল ঘন্টা দু-এক , তারপর যা হলো রীতিমত আমরা বাংলা গান গাইতে পারিনা সেখানে হিন্দি গান শুরু করলেন আমাদের এক শিল্পী আর আমরা সবাই লাফালাফি করতে লাগলাম । এই হলো আমার দেশের সংস্কৃতি ,আমরা আমাদের যা কিছু আছে তা নিয়মিত দেখাশুনা করতে পারছিনা অতচ অন্য কে দেখার দায়িত্ব নিতে হাটু জল খেয়ে পরছি ।আমি এটাকে বোকামি বা ভন্ডামি ছাড়া আর কিছু বলতে নারাজ ।
লাইব্রেরি হচ্ছে জ্ঞানের ভান্ডার । একটি দেশের সংস্কৃতির ধারক ও বাহক হচ্ছে লায়িব্রেরি ।জনৈক একজন লেখক বলেছিলেন "যদি তুমি কোনো একটি জাতিকে ধংস করতে চাও তবে সবার আগে তার লায়িব্রেরিকে ধংস করে দাও"। একটি দেশের সংস্কৃতি ও সভ্যতার মাপকাঠি হচ্ছে তার লায়িব্রেরি । যার লায়িব্রেরি যত সমৃদ্ব ,তার সংস্কৃতি ও সভ্যতা তত সমৃদ্ব ।এখন দেখার বিষয় হলো আমরা কতটা সমৃদ্ব করতে পারছি আমাদের লায়িব্রেরিকে বা কতটা আন্তরিক আমরা আমাদের লায়িব্রেরিকে সমৃদ্ব করতে ।
আজকাল পাখির বাসার মত তথা মাকড়সার জালের মত দেশে স্কুল ,কলেজ গড়ে উঠতেছে । স্কুল -কলেজের চাহিদা বেড়ে চলেছে দিনের পর দিন এবং এই চাহিদা বাড়বে ক্রমাগত ভাবে ।দেশে বাংলা মিডিয়াম স্কুল এর পাশাপাশি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল বৃদ্বির হার একটু বেশি । আমি এখানে শ্রদ্বার সহিত একটি কথা বলব যে ,ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল এর ছাত্র -ছাত্রীদের মাঝে একটি ভাব লোক্য্নীয় যে আমরা সব জানি ,আমরা স্মার্ট ,আমরা ইংরেজিতে কথা বলতে পারি । আমি মানলাম আপনারা অনেক স্মার্ট ,আপনারা ইংরেজিতে কথা বলতে পারেন । স্মার্ট হতে হলে নুন্যতম কিছু সর্থ আছে ,এই শর্ত গুলো যদি আপনার মাঝে থেখে থাকে তাহলে আপনি নিজেকে একজন স্মার্ট লোক ভাবতে পারেন। স্মার্ট হতে হলে আপনাকে একজন সত ,চরিত্রবান ,বুদ্বিবান ,মেধাবী ,কর্মঠ ,আত্বসমালোচনাকারী ,ভাষাগত জ্ঞান , সৃজনশীল ,বেশবুসে স্বাভাবিকতা বজায় থাকতে হবে | এখন দেখার বিষয় হলো আপনার আমার মাঝে কতটুকু বিদ্যমান আছে উপরে বর্ণিত বিষয়গুলো |
আমরা যারা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল -কলেজে পড়ি আমরা তো জাতি গত ভাবে বাঙালি বা বাংলাদেশী | আমাদের মাতৃভাষা বাংলা ,মায়ের গর্ভ থেকে বড় হওয়া পর্যন্ত আমরা সবাই বাংলা ভাষায় কথা বলি বা বলছি | ইংরেজি হচ্ছে আমাদের দিত্বীয় ভাষা ,অর্থাৎ বাংলা ভাষার পর আমাদের পরের ভাষা হচ্ছে ইংলিশ | আর আমরা যারা ইংলিশ মিডিয়াম এ পড়ি আমাদের লেখা পড়ার স্বার্থে এটি হচ্ছে আমাদের প্রধান ,তাই বলে মাতৃভাষাকে অবগ্গা করে নয় | আমাদের দেশের ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল-কলেজে বাংলা বিষয় টাকে গুরত্ব দেওয়া হয়না ,তার প্রমান আমরা ভিবিন্ন ভাবে পাই |
বাস্তব একটা উদাহরন হলে ভালো হয় ,বছর দু এক আগে ২১শে ফেব্রুয়ারীতে একটা সরাসরি সম্প্রচারিত অনুষ্টান দেখছিলাম টেলিভিশনে সম্ভবত একুশের বই মেলাতে | বই মেলাতে অনেক মানুষের ভিড় লোক্য্নীয় ছিল ,বেশির ভাগ পরিবার এবং তরুণ -তরুণী ,শিশু -কিশুর | ওই অনুষ্টানে লোকজনদের অভিমত জানার জন্য সাংবাদিক একজন একজন করে জিগেশ করেছিলেন যে আপনাদের কেমন লাগছে বই মেলায় এসে ,সবাই বলছিল বল লাগছে বা খুবই আনন্দিত লাগছে এরকম অনভুতি তারা অনেকে প্রকাশ করেছিল | কিন্তু আমাকে হতাশ করে দিয়েছে কিছু তরুণ-তরুণী ,যাদের কাছে আমাদের প্রতাশা অনেক | যখন সাংবাদিক জিগেশ করছিল তাদের আজকে কি দিন,সুন্দর করে তারা বলেছিল আজকে হলো একুশে ফেব্রুয়ারী ,তারপর সাংবাদিক যখন আবার তাদের জিগেশ করছিল এই দিন কি হয়েছিল তখন তারা একবারে বোবার মোত দাড়িয়ে রহিল এবং একজন আরেকজনের মুখের দিকে থাকিয়ে টুট কাম্রাচ্ছিল | কিচুক্কন পর একজন বলল ওই দিন নাকি মুক্থী যুদ্দ হয়েছিল ,আমি তো অবাক হয়ে থাকিয়ে রহিলাম তেলিভিসিওন এর পর্দার দিকে | তার পর সাংবাদিক তাদের জিগেস করলেন যে তারা কি করে ,তারা বলল তারা লেখাপড়া করে ,তাদের স্কুল ও কলেজের নাম জিগেশ করা হলো , ঢাকার দুটি নামকরা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল ও কলেগের নাম বলল তারা | তাদের জিগ্গেস করা হলো তাদের কে কি একুশে ফেব্রুয়ারী যে আমাদের ভাষা দিবস এটি তাদের সিক্কক বা পাট্য সূচিতে কি নেই না তাদের এসব জানানো হয়না | যদি পাট্য সূচিতে না থাকে তবে আমার মনে হয় এটা তো আমাদের শিক্ককদের নৈতিক দাহিত্ব এসব গুরুত্ব পূর্ণ জিনিস বা গটনা আমাদের ভবিস্যত প্রজন্মকে জানানো এবং স্বাধীনতা আন্দোলন,ভাষা আন্দোলন ,বাংলা নববর্ষ সমন্ধে ইতাদি বিষয়াদি আমাদের ভবিস্যত প্রজন্মকে সুন্দর ও সাবলীল করে ,আমাদের ইতিহাস ও ঐতিহ্য তাদের কাছে তুলে ধরা আমাদের সবার নৈতিক দায়ত্বের মধ্যে বর্তায় |
আমাদের এখনো সময় আছে আমাদের ইতিহাস ঐতিহ্য সটিক ভাবে তুলে ধরে জানানো ,নতবা আমাদের কপালে অনেক দুর্গতি অপেক্কামান | যে দুর্গতি বা অবিশাপ থেকে আমরা কেও রেহাই পাবনা | আমার একটা অনুরুধ সকলের কাছে আমরা সবাই বাংলা বই পড়ব এবং বাংলাদেশী টিভি চ্যানেল দেখব এবং আমরা আমাদের ছেলে মেয়েদের বাংলা বই পড়ার এবং বাংলা টিভি চ্যানেল দেখার প্রতি উত্সাহিত করব যাতে তারা আমাদের সংস্কৃতি সমন্ধে ভালো জ্ঞান রাখে |
বাংলায় একটা প্রবাধ আছে " বাধ বেঙ্গে পানি ডুকে পড়া "| বাধ বেঙ্গে পানি ঢুকে পরা মানে কঠিন বিপদে পড়া , যে বিপদ থেকে রক্কা পওয়া যায় না | এখানে বাধ কে উপমা সরূপ আমরা আমাদের সংস্কৃতি ধরে নিব এবং পানিকে অপসংস্কৃতির আগ্রাসন ধরে নিব | বাধ কিন্থু হুঠ করে ভেঙ্গে যায়না ,অল্প অল্প করে পানি বেদ করে বড় একটা ফাটল তৈরী করে বেঙ্গে যায় ,তখন আর কিছু করার থাকেনা | কিন্তু যদি এই ফাটল গুলো দিয়ে পানি বেদ করে আসা আগে দেখা যায় ,তখন বাধ মেরা মত করে দিলে আর ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষিন থাকে |
আমাদের সংস্কৃতি বাধ বেঙ্গে পানি ডুকার মত অবস্থা । অল্প অল্প করে আমাদের মাঝে অপসংস্কৃতি স্থান করে নিয়ে যাচ্ছে ।আমরা বাদ দিব বলে বলে বাদ দিতে পারছিনা ,আমরা দেখতে পাচ্ছি যে আমাদের সংস্কৃতির বাধ ভেদ করে আস্থে আস্থে ভিন্ন সংস্কৃতির আচার অনুষ্টান আমাদের সংস্কৃতির মাঝে ডুকে পড়ছে ,যার ফলে অনেক সময় নির্ণয় করা দু;সাধ্যে হয়ে পড়ে আসলে কোনটা আমাদের নিজ্বস সংস্কৃতি আর কোনটা বিদেশী সংস্কৃতি । দেশীয় সংস্কৃতি ও বিজাতীয় সংস্কৃতির মিশ্রনে সব কিছু যেন কি রকম একটা যোগাকিচুরি অবস্থা সৃষ্টি করে ফেলেছে । বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে দেশীয় সংস্কৃতিকে মুক্ত রাখতে হবে ,নতবা আমাদের সংস্কৃতির অবস্তা হবে ওই বাধ বেঙ্গে পানি দকার মত । যদি পুরাপুরি ডুকে পড়ে কোনভাবে তাহলে আর তেকে মুক্তি পাওয়া খুবই দুস্কর হবে আমাদের জন্য ।তাই এখন ও সময় আছে আমাদের যাতে আমাদের চুখ -কান সজাগ থাকে এবং দেশীয় সংস্কৃতির সৃজনশীল অনুশীলন নিয়মিত চালিয়ে যাই ।
আজকাল দেখা যায় যে ব্যঙের ছাতার মত তেলিভিসিওন চ্যানেল গজিয়ে উটেছে দেশে এবং দেশের অনেক প্রতন্ত অঞ্চলে ও এর প্রচার হচ্ছে | দেশীয় টেলিভিসিওন এর পাশাপাশি বিদেশী টেলিভিসিওন চ্যানেল ও প্রচার হচ্ছে আর আমরা দেশীয় ওটেলিভিসিওন এর অনুষ্টান না দেখে আমরা প্রতিনিয়ত বিদেশী চ্যানেলের অনুষ্টান দেখছি ,এতে করে আমরা আমাদের দেশীয় টিভি চ্যানেলের দেশীয় অনুষ্টান দেখছিনা | যার ফলে না দেখে আমাদের মাঝে অর্থাত আমাদের মস্তিস্কে আগে থেকে ধারণা চলে আসে না অনুষ্টান ভালো হবেনা | আমাদের একটা বদ অভ্যাস হচ্ছে কোনো কিছু আমরা না জেনে , না বুঝে ,না দেখে ধারণা করে বলে ফেলি এটা ভালো বা এটা ভালো নয় ,এটা আসলে টিক না | কোনো কিছু সমন্ধে মন্তব্য করতে হলে আগে ওই বিষয় সমন্ধে আমাদের সম্যক জ্ঞান থাকতে হবে |
বিজাতীয় টিভি চ্যানেলের অনুস্টানগুলো আমাদের পরিবার ও সমাজে বিরূপ প্রভাব ফেলেছে | এই বিজাতীয় টিভি চ্যানেলের অনুষ্টান দেখে আমাদের পরিবার ও সমাজে যে ঐতিহ্য ,মায়া -মমতা ,বন্দন বিদ্যমান ছিল তা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করছে | ওই সব বিজাতীয় টিভি গুলোতে পরিবার কেন্দ্রিক ,পরিবারে লোকজনদের মদ্যে ভালো মন্দ দিক গুলো তুলে ধরা হয় টিক কিন্তু ভালো আর চেয়ে খারাপ দিক গুলো সম্প্রচার করে অতিরঞ্জিত করে | যা মোটেও টিক না |
আমি এখানে আমার একটা অভিজ্ঞতা প্রকাশ করব , যেটা তিন চার বছর আগের |আমি প্রায়ই সন্ধ্যে আমার এক পরিচিত বড় বোনের বাসায় যেতাম এবং সেখানে গিয়ে দেখতাম আপা টিভির সামনে বসে গভীর মনোযোগ দিয়ে হিন্দি একটা সিরিয়াল নাটক দেখতেন | আমার আপন কোনো বড় বোন্ ছিলেন ,তাই ওই আপাকে আমি আমার আপন বড় বনের মত দেখতাম এবং আপাও আমাকে তার আপন ছোট ভাই এর মত আদর করত | আমি প্রায় দিন একটা বিষয় দেখলাম যে ,যেদিন আমি যাইতাম আপুর বাসায় ওই দিন যদি টিভিতে ওই হিন্দি সিরিয়াল চলত বাসার দরজা খুলে আপু শুধু বলত কিরে ভালো আছিস ,আয় বস বলে আপু টিভির সামনে বসে পড়ত | আমি কোনো কিছু জিগ্গেস করলে বলত একটু দাড়া সিরিয়াল তা শেষ হোক তারপর তর সাথে কত বলব | যতারীতি সিরিয়াল শেষ হওয়ার পর অপু আমার জন্য চা -নাস্তা এবং গল্প গুজব করত | এখানে একটি কথা বলে ফেলি আমি ও কিন্তু অপুর সাথে ওই অনুষ্টান দেখতাম ,কিন্তু মজার বিষয় হলো আমি কিছুই বুঝতাম না ,বুবাদের মত হা করে শুধু থাকিয়ে থাকতাম | একদিন আপুকে জিগ্গেস করলাম আপু ওই নাটকটা শেষ হয়না কেন ,আপু আমায় বলল আরে এটা তো পাঁচ শত পর্বের মত ,আপুর কথা শুনে আমি রীতিমত ঠাকসি খেয়ে পেলাম ,মনে মনে বললাম একই বলে আপু | সম্মানিত পাঠক এখানে আপনারা একটা বিষয় অবস্য বুঝতে পরেছেন যে আমার আপু কতটা ওই সিরিয়াল নাটক দেখতে আসক্ত যেখানে তার ছোট ভাই তার বাসায় যাওয়ার পর সুধু বলল বস পরে তর সাথে কথা বলব |
এখন আসা যাক ওই নাটকের থিম বা বিষয়বস্তু কি ছিল তা জানা যাক | নাটকের বিষয় বস্তু ছিল পরিবার | দুটি বর্ধিত পরিবার এর দৈনন্দিন জীবন ও কার্যকলাপ ,তাদের পরিবার এর আয়ের উত্স ,পরিবার এবং তাদের সামাজিক মর্যদা ,পরিবার এর সদস্যদের মধ্যকার সম্পর্ক , তাদের ধ্যান -ধারণা ইত্যাদি বিষয় | আপনারা সবাই জানেন বর্ধিত পরিবারে কারা কারা থাকেন | সাধারনত দাদা -দাদী ,চাচা -চাচি ,মা-বাবা ,ভাই-বোন্ ,চাচাত ভাই-বোন্
ছাড়া আরো অনেক নিয়ে বর্ধিত পরিবার হয়ে থাকে | এই বর্ধিত পরিবারে যেমন সুবিধা অনেক আবার অসুবিধা ও অনেক থাকে | সুবিধা -অসুবিধা ,সুখ -দুঃখ ,আশা -আকান্কা নিয়ে মানব জীবন তথা পারিবারিক জীবন পরিচালিত হয় ,আর এটা ঘটবে বা বিদ্যমান থাকবে এটা হছে স্বাভাবিক |
এই নাটকে দেখানো হয়েছে বর্ধিত পরিবারে একজন কর্তা থাকেন এবং কর্তা পরিবারের সর্বময় ক্ষমতার মালিক ,কর্তার ইচ্ছা অনুযায়ী পরিবার চলে । কর্তার অনুপস্তিতিতে পরিবারের বড় ছেলে এই ক্ষমতা লাভ করে থাকেন ।তাদের কথা এবং তাদের যেকোন সিদান্ত পরিবারের বাকি সদস্যরা মেনে নিতে হয় ।এখানে পরিবারের ক্ষমতা হস্তান্তরের বিষয় একটি নিয়মে চলে দেখানো হয়েছে । যেমন পরিবারের সবচেয়ে বয়্জস্থ্য মানুষটি যখন বেকার বা অকর্মা হয়ে যান তখন তার পরিবার এর উপর থেকে তার কর্তিত্ব আস্থে আস্থে কমে আসে এবং তিনি পরিবারের অনান্য সদস্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েন, তখন তার আর কোনো কর্তিত্ব চলে না । এরপরের বিসয়টা আর মজার এখানে পরিবারের কর্তিত্ব প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী পরিবারের বড় ছেলের উপর পড়ার কথা কিন্থু এই নাটকে পরিবারের কর্তিত্ব দেখানো হয়েছে পরিবারের যে মানুষটি আয় -রোজগার ভালো করে তার উপর বর্তায় । তাকে পরিবারের সবাই অনুসরণ করে থাকে এবং তার কর্তিত্ব সবাই মেনে নেয় ।
তারপর নাটকে দেখানো হয়েছে কর্তিত্ব নিয়ে দন্দ্ব পরিবারের মহিলাদের মধ্যে প্রথম সৃষ্টি হয় ,এরপর সেটা পুরুষদের মধ্যে গড়ায় এবং পরবর্তিতে ঐ বর্ধিত পরিবার বেঙ্গে একক পরিবারে রুপান্তরিত হয় ।একক পরিবার সৃষ্টির পর ওই পরিবারের মা -বাবা কে নিয়ে টানাপোড়ন পড়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত তাদের ঠিকানা হয় বৃধাস্রম ।
এখন নাটকে দেখানো হয়েছে নাটকে একটি ছেলের সাথে একটি মেয়ের বিবাহ হবে ,ছেলের জন্য মেয়ে দেখার বিষয়টা এখানে পরিবারের বড় ভাই এর বউ ভাবির এক তার এর অপর নির্ভর করে । এখানে ছেলের পছন্দ প্রাধান্য নয় ভাবির পছন্দ মুখ্য দেখানো হয়েছে । ভাবি কে এখানে দেখানো হয়েছে ভাবি তার নিজের পছন্দের পাত্রী পছন্দ করে দিবেন দেবরের জন্য । ভাবি কে এখানে দেখানো হয়েছে ভাবি পাত্রী খুজেন তার চেয়ে একটু কম সুন্দরি ,কম বুধিমতি যাতে তার চেয়ে পাত্রী কম গুণবতী হয় ।
ভাবির পছন্দ অনুযায়ী দেবরের বিবাহ হলো ,বলা বাহুল্য যে এখানে দেবরকে একটু সহজ সরল দেখানো হয়েছে । বিবাহ হহার পর তাদের সংসার খুব ভালো চলল ,কিন্তু অল্প দিনের ব্যবধানে এখানে আরো একটি জিনিস আবিস্কার হলো যারফলে তাদের সেই সুখ শান্তি আর বেশি দিন স্থায়ী হলনা । এখানে পাত্রীর বিবাহের আগে প্রেম গটিথ বিষয় টি মাথা চূড়া দিয়ে দাঁড়াল ,যা এখন পরকিয়া রূপে রুপান্তরিত হলো ।প্রতিদিন ওই নব দম্পতির মধ্যে ঝগড়া ঝাটি শুরু হয়ে গেল ।ছেলেও নতুন করে অন্য এক নারীর সাথে প্রেমে জড়িয়ে পড়ল । এতে করে তাদের মধ্যেকার বিশ্বাস প্রকট আকারে ফাটল ধরল । দুজনে সমান তালে পরকিয়া করতে লাগলো এবং বাসার বাহিরে দুজনের জীবন খুবই আনন্দে কাঠতে থাকলো ।
এদিকে ভাবি দেবরের পক্ষে সাফাই গাইতে সুরু করলেন |দেবরকে ভিবিন্ন পরামর্শ দেন যে তোমার বউ তো আমাদের মান সম্মান আর রাখছেনা ভাই ,তুমি কি করবা ,এভাবে চললে ভাই আমাদের তো সমাজে চলতে হবে না ,তুমি কিছু দিনের জন্য তোমার বউ কে তোমার সসুর বাড়ি পাটিয়ে দাও | বেচারা সহজ সরল দেবর ভাবিকে উনার মনের সব খবর বলে ফেললেন ,উনি উনার প্রেমের খবর উনার ভাবিকে জানালেন ,ভাবি তখন আদরের দেবরকে বললেন ভাই তেতো টিক আছে , এতদিন আমি ভাবতাম আমার দেবর একটা বোকা কিন্তু আজ তুমি আমার ধারণা পাল্টিয়ে দিলা | ভাবি তার দেবরকে বললেন যেহেতু বাই তুমি সব টিক তাক করে ফেলেছ এখন তুমার বিষয় তুমি কি করবা | ভাবি বলল তার আদরের দেবরকে একই সাথে তো দুজনের সাথে ঘর -সংসার করা যায় না ,এখন তুমি সিদ্বান্ত নেও তুমি কাকে রাখবা ,যেয়েতু তোমার স্ত্রী তোমার সাথে প্রতারণা করতেছে ,তুমাকে ঠকাচ্ছে আর অন্য দিকে অন্য একজনের সাথে পরকিয়া করে যাচ্ছে ,এই হলো ভাবির প্রতিক্রিয়া দেবরের প্রতি |এখন সম্মানিত পাঠক আপনারা বুঝতে পারছেন দেবরের কি সিদ্বান্ত হবে |
ভাবির পরামর্শ অনুযায়ী দেবর একদিন তার প্রেমিকাকে বাসায় নিয়ে আসলো এবং তার স্ত্রী জিগ্গেস করলো ওই মহিলাটি কে সে বলল তার খুব কাছের একজন বান্দবি | এ নিয়ে দুজনের মধ্যে ঝগড়া -ঝাটি শুরু হলো এবং এক পর্যায় দুজনের মধ্যেকার সম্পর্ক বেজে গেল ,এবং যে যার মত চলে গেল | যার যার গন্তব্য স্থলে চলে গেল | সম্মানিত পাঠক আপনারা বুজতে পারছেন তাদের শেষ পরিনতি কি হলো |এই নাটকে আরো অনেক কিছু দেখানো হয়েছে যা আমাদের পরিবার ও সমাজের পরিপন্থী | এই নাটকের অনেক কিছু আছে যা আমাদের সমাজে অতার অস্তিত নেই | এখানে কোনো কোনো জায়গায় দেখানো হয়েছে নারী -পুরুষের অবাদ মেলামেশা , নারী -পুরুষের অসম প্রেম কাহিনী , এমন কিছু আচার -অনুষ্টান , এমন কিছু বেশ -বুসা যা আমাদের পরিবার ও সমাজের পরিপন্তি | এই নাটকে দেখানো হয়েছে তথা কথিত আধুনিকতা যেখানে বেশ -বাশার মধ্যে কোনো রুচিশীলতার পরিচয় মিলে নি ,যেখানে মানুসের মধ্যেকার পারস্পরিক স্রদ্বাবোধ এর কমতি দেখানো হয়েছে , যেখানে দেখানো হয়েছে মেখি ভালবাসা ,স্নেহ ,আদর ,সর্বোপরি পারিবারিক কলহ ,বিবাদ এবং পরিবার নামক ছোট রাষ্ট্র কে কিভাবে বিলপ্তু করা যায় বা কিভাবে ঘটে তা দেখানো হয়েছে | এখানে পারিবারিক বন্দন কে অবগ্বা করে নর -নারীর জৈবিক চাহিদাকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে | যা আমাদের চিরাচরিত গ্রামীন পরিবার বা শহুরে পরিবারে এটা লক্ষ করা যায়না আগে কখনো ।
কিন্থু আজকাল এই সব বিজাতীয় সংস্কৃতির সিরিয়াল নাটক দেখে আমাদের পরিবার ও সমাজে অনেকটা অনুশীলন শুরু হয়ে গেছে । যার বিরূপ প্রতিক্রিয়া আমরা দেক্থে পাই প্রতিনিয়ত প্রতিদিনের পত্র -পত্রিকা ও ভিবিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে । আগে খুবই কম শুনা যেত যে বিবাহ বন্ধন বেঙ্গে যাওয়ার ,যা বর্তমানে একটা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে এতে করে আমদের সমাজে প্রতিনিয়ত সমস্যা দেখা দেয় নুতন রূপে ।আগে আমাদের সমাজে নারী নির্যাতন খুবই কম ছিল ,জোন নির্যাতন ,ইভটিজিং খুব কম ছিল । কিন্তু বর্তমানে এগুলো প্রকট আকার রূপ ধারণ করে আমাদের সমাজ ও রাষ্ট্রে বিস্তার লাভ করছে । আমি মনে করি ,যেখানে মানুষে মানুষে পারস্পরিক স্রধাবোধ ,ভালবাসা ,স্নেহ -আদর এর গাঠতি দেখা দেয় ,সামাজিক মূলবোধ এর অবক্ষয় ঘটে সেখানে এরকম সমস্যা ঘটবে ।
আমাদের দেশের নুতন প্রজন্মের কাছে অদুনিকতা হচ্ছে ,কারো সাথে যদি আমরা কথা বলি তাহলে আমরা আমাদের দেহের অঙ্গ প্রতঙ্গ গুলো নাড়িয়ে বাংলা ও ইংরেজির সংমিশ্রনে কথা বলি আর সেটা ভুল হোক আর সঠিক হোক ,লোকজন বঝুক আর নাই বুজক আমরা চালিয়ে যাই ।এটা হচ্ছে আমাদের সংস্কৃতির সাথে নতুন সংসুজন । আমাদের এরকম হাব ভাব দেখে অনেক বিদেশী আমাদের কে চুখে আঙ্গুল দেখিয়ে দে বলে যে তোমরা কি তোমাদের ভাষা ভালবাসনা। লোকজন বলার কথা কারণ যেভাবে আমরা বাংলা এবং ইংরেজির সংমিশ্রন ঘটিয়ে লোকজনের সহিত কথা বলি ।
গত কিছু দিন আগে একজন বিদেশী মহিলার একটা সাক্ষাত্কার আমাদের একটি বাংলাদেশী টিভি চানেলে নিয়েছিল | ওই ভদ্র মহিলা আসলে রীতিমত আমাদেরকে জুতা দিলেন | ভদ্র মহিলা বললেন আপনারা বাঙালি ,আপনারা বাংলা ভাষায় কথা বলেন না কেন | তিনি বলছিলেন আপনারা যখন কথা বলেন তখন আপনারা ভাষার মধ্যে ইংরেজি ভাষার যে মিশ্রন ঘটান তাতে আপনাদের ভাষার মধ্যে আপনাদের ভাষার যে সৃজনশীলতা থাকে তা প্রকাশ পায় না | তাই আমি মনে করি আপনারা আপনাদের ভাষা পুরাপুরি ভাবে প্রকাশ করবেন ,তাতে আপনাদের মঙ্গল হবে এবং ভাষা তার মোলিকতা পাবে | সবচেয়ে মজার ঘটনা হলো যে উপস্তাপক তার সাক্ষত্কার নিয়েছিলেন উনি তাকে ও লজ্জা দিলেন | ওই বিদেশিনী বাংলা ভাষা জানতেন এবং খুব সুন্দর করে বাংলায় কথা বলছিলেন ,তিনি যতক্ষণ কথা বলেছিলেন পুরাপুরি বাংলায় কথা বলেছিলেন কিন্তু আশ্চর্যের ব্যাপার আমাদের উপস্তাপক সাহেব মাঝে মধ্যে বাংলা ভাষার মধ্যে ইংরেজির মিশ্রন ঘটিয়ে অনুষ্টান টা পরিচালনা করলেন | একপর্যায় ভদ্র মহিলা উপস্তাপকের উদ্দেশ্য বললেন আমি বাংলা ভাষায় ভালো করে কথা বলতে ও শুনতে পারি ! তারপরও আমাদের বোদগম্য হয় না | একজন অবাঙালি যতটা আমাদের ভাষাকে শ্রদ্বা ,ভালবাসা প্রদর্সন করলেন ,আমরা বাঙালি হয়ে বাংলা ভাষাকে কতটা ভালবসতে পেরেছি তা আমাদের চিন্তার বিষয় বা ভাবার বিষয় |
আমরা সকলে জানি মনের ভাব প্রকাশের নাম ভাষা ,আর সেটা হলো একটা সার্বজনীন সংঘা | আর এই সংঘার পরিপেক্ষিতে আমরা কি বলতে পারি ,মনের ভাব যেকোনো উপায়ে প্রকাশ বা বুঝানোর নাম ভাষা | উদাহরণ স্বরুপ আমরা বলতে পারি ,একটি ছোট শিশু যখন কাঁদে তখন তার মা বুঝতে পারেন শিশুটি কি জন্য কাঁদছে , শিশুটি খাবার খাওয়ার জন্য নাকি পেট পীড়ায় নাকি পেশাব বা পায়খানা করার জন্য | এখানে শিশুটি তার মনের ভাব কান্নার মাধ্যমে প্রকাশ করছে সে কি চায় এবং সেটা তার মা বুঝতে পারেন খুব সহজে যা অন্যরা খুব সহজে বুঝতে পারেন না |
যখন দুজন বোবা বা বধির লোক কথা বলে তখন আমরা সবাই বুঝতে পারিনা তাদের মধ্যে কি কথোপকতন হচ্ছে | কিন্তুও তারা টিক একে অপরকে খুব সুন্দর করে তাদের মনের ভাব আদান প্রদান করে তাদের মধ্যে কোনো সমস্যা হয়না | সেটা সর্বজন বুঝতে পারে না |
পোষা প্রাণীর মধ্যে কুকুর সবার কাছে পরিচিত | কুকুৰ তার মনিবের খুবই আনুগত্য | কুকুর তার গেউ গেউ চিত্কার বা শব্দের মাধ্যমে তার মনিবের কাছে তার মনের ভাব প্রকাশ করে আর তার গেউ গেউ চিত্কার শুনে তার মনিব বুঝতে পারে সে কি জন্য গেউ গেউ করতাছে | তবে পোষা কুকুরের একটি ভাষা সকলের জানা আছে যে , বাড়িতে কোনো নতুন লোক আসলে বা অপরিচত কেউ আসলে পোষা কুকুর গেও গেও করে এবং বাড়ির লোকজনদের জানিয়ে দেয় যে বাড়িতে অপরিচিত একজন আসছে | সেটা হলো কুকুরের ভাষা ,সে তার মনের ভাব ঐ গেও গেও শব্দের মাধ্যমে প্রকাশ করে |
উপরে উল্লেখিত উদাহরণ সমুহের আলোকে আমরা বলতে পারি ,মনের ভাব প্রকাশের নাম ভাষা ,তবে সেটা সাধারনত | মনের ভাব ভাষা আকারে প্রকাশ হতে হলে তার একটা অর্থ থাকবে ,যেটা সবার বোধগম্য এবং সবাই যাতে সেটা বুঝতে পারে কোনো প্রকার বাধা ছাড়া | শিশু ,বোবা এবং কুকুর তাদের ভাষা আছে ,কিন্তু তারা তাদের মনের ভাব সুম্পর্ন রূপে অর্থ বহু আকারে প্রকাশ করতে পারেনা সেজন্য আমরা তাদের ভাষা খুব সহজে বুঝতে পারিনা | কিন্তু আমরা যারা কথা বলি কোনো বাধা ছাড়া ,তা অন্যরা বুজতে পারে এবং আমাদের কথা গুলো অর্থ বহ |
কিন্তু আজকাল একটি জিনিস ফ্যাশন বা স্টাইল হয়ে গেছে ,আমরা যখন কথা বলি কথার ফাঁকে ফাঁকে দু একটা ইংরেজি শব্দ ঢুকিয়ে কথা বলি | এর মানে কি দাড়াল ,আমরা আমাদের মনের ভাব আমাদের মাতৃভাষায় সম্পুর্ন অর্থ রূপে প্রকাশ করতে পারছিনা | আসলে তা না আমরা চেষ্টা করছিনা |
ওই যে বললাম আমাদের একটা ফ্যাশন বা স্টাইল হয়ে গেছে এভাবে করার | তাদের ধারণা বাংলার সাথে ইংরেজির মিশ্রন ঘটিয়ে কথা বললে লোক নাকি বলবে ছেলেটা বা মেয়েটা অনেক স্মার্ট বা আধুনিক | বলাবাহুল্য আগেই বলেছি ,পেন্টের উপর আন্ডার ওয়ার পরলেই সুপারম্যান হওয়া যায় না | তাই আমাদের সকলের উচিত সুন্দর ,সঠিক ও সৃজনশীল ভাবে সুম্পর্নরূপে বাংলা ভাষায় আমাদের মনের ভাব প্রকাশ করা এবং সঠিক ভাবে আমাদের মাতৃভাষার অনুশীলন করা |
"টিনের চালে কাকের বাস " বাংলায় একটা প্রবাধ আছে | আমি এটাকে এভাবে ব্যাখ্যা করব ,যখন আকাশে রোদ থাকেনা ,ছায়াময় পরিবেশ থাকে তখন কাক তিনের চালে বিচরণ করলো এবং ভালো অনুভূত লাগলো | আবার যখন আকাশে প্রখর রোদ তখন যদি কাক তিনের চালে বিচরন করতে আসে তখন কাকের পা দুটো জলে -পুড়ে ছাই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে | তাই ঠিনের চালে কাকের বাস মানে নিজেকে নিজে মেরে ফেলা ,এজন্য বসবাসের জন্য কাক তিনের চাল পছন্দ করে না | বনের কাক একটা জিনিস খুব সহজে বুঝতে পারল যে তিনের চলে তার বাস ধংস নিয়ে আসবে তার জন্য অথচ আমরা মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব আমরা সহজে অনুধাবন করতে পারছিনা কোনটা আমাদের জন্য ভালো আর কোনটা আমাদের জন্য মন্দ ।
আরেকটা জিনিস আমাদের ঘোচরে আসে সেটা হলো শরীর হেলিয়া দুলিয়া কথা বলা । বিশেষ করে আমাদের তরুণ সমাজ এটার অনুশীলন করে থাকে ।সেটাকে আমি অন্য চুখে দেখতেছিনা ,বলার খাতিরে শুধু বলা । এই অঙ্গ বঙ্গিকে ইংরেজিতে বলে বডি লাঙ্গুয়াজ । সাধারনত ইংরেজরা কথা বলার সময় তাদের শরীরের ভিবিন্ন অঙ্গ প্রতঙ্গ নাড়িয়ে কথা বলে সেটা তাদের সংস্কৃতির একটা অংশ । তাই বলে আমরা তো আর জাতিতে ইংরেজি না যে আমাদেরকেও শরীর এর অঙ্গ প্রতঙ্গ নাড়িয়ে কথা -বার্তা বলতে হবে ।
এমন অনেক আছে যারা সুন্দর করে বাংলা ভাষায় কথা বলে ,যাদেরকে আজকাল আমরা অনেকে বলে থাকি ক্ষেত | আমার এক বন্ধু ছিল সেও আমার মত গ্রাম বাংলা থেকে ওটে আসা এক যুবক | সে গ্রাম বাংলার খুব দরিদ্র কৃষি পরিবারের ছেলে ,সে তার সাধ্যমত সব কিছু করত | তার কথা বার্তার মধ্যে গ্রাম্য একটা ভাব ফুটে উঠত ,যদিও সে কথাবার্তা সুদ্ধ বাংলা ভাষায় বলার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছিল | এরই মধ্যে ঘটে গেল একটা ঘটনা | আমার বন্ধুটির সহজ সরলতার সুযোগ কে আমাদের কয়েকটা বন্ধু -বান্দবী মজার জিনিস বানিয়ে ফেলল | তাকে দেখে কেও কেও আঞ্চলিক ও শুদ্ব ভাষায় মজা করে এবং তাকে নিয়ে অন্য দের সামনে ও করতে লাগলো | সে সেসমেস একদিন তাদের বলল আমি জানি তোমরা আমাকে নিয়ে মজা করতেছ এবং সেটা আমি অনেক আগে থেকে বুঝতে পেরেছি ,আমি তো তোমাদের মত লেখাপড়া করতে এসেছি | তাছাড়া আমি জানি আমি তোমাদের মত আধুনিক না , তোমাদের মত সুন্দর করে স্টাইল করে বাংলা -ইংরেজির মিশ্রন ঘটিয়ে কথা বলতে পারিনা | তোমরা যদি আমার সত্যিকার বন্ধু হও তাহলে আমি আশা করব তোমরা আমাকে নিয়ে আর মজা করবেনা |
কে শুনে কার কথা বরং তাকে নিয়ে মজা আরো বেশি করতে লাগলো | একদিন আমাদের বিভাগের এক বড় ভাই তাকে ডাকলেন বললেন এই তোমার নাম কি ,সে তার নাম বলল বড় ভাই বললেন জোরে বলতে পারনা ,সে কিন্ত জোরে বলছিল বড় ভাই তাকে নিয়ে মজা করার জন্য এরকম বলেছিলেন | এর মাঝে বড় এক আপু আসলেন ভাইয়া ঐ আপুকে লক্ষ করে বললেন যাও আপুকে ওই ফুলটা দিয়ে আস | সে যথারীতি আপুকে ফুল দিল ,আপু ফুলটি নিয়ে তাকে প্রশ্ন করলো তুমি কি জান ফুল দেওয়ার অর্থ কি ,সে সহজ সরল ভাবে বলল আপু জানিনা ,এই কে কার আপু ফুল দিয়ে আবার আপু ডাকে নেকা তুমি কিছু বোঝনা বুঝি | আপু তাকে বলল আমাকে কি তোমার প্রেমিকা পাইছ যে তুমি আমাকে ফুল দিবে দাড়াও দেখাচ্ছি তোমাকে মঝা | সাথে সাথে সে আপুর কাছে মাফ চাইল ,কিন্তু আপুত নাছর বান্দা তিনি তাকে বললেন আচ্ছা মাফ করব একসর্তে ,টিক আছে আপু | আপু সাথে সাথে তার বেনেটি ব্যাগ থেকে একটা একটাকার কয়েন বের করে মেঝেতে রাখলেন আর বললেন এই কয়েন দিয়ে দুই হাত জায়গা মাপ অর্থাৎ দুই হাত জায়গায় কয়টা কয়েন হবে বল | সে কি আর করবে বাধ্য ছেলের মত সে কয়েনটা হাতে নিয়ে গণনা করতে গিয়ে বাধ সারল | এই প্রথম আমি নিজেও দেখলাম যে কয়েন দিয়ে মেজে মাপা কতটা কঠিন | আসলে এরকম উদ্বট ধারণা লোকজনের মাতায় কি করে যে আসে যে আমার নিজের ও বোধগম্য হয় না | আসলে এটা মোটামুটি একটা কটিন কাজ ,আমাদের বন্ধুটি এটা করলনা ,মাজপথে সবাই আমরা মজা পাইলাম |
এভাবে আমাদের কেটে গেল প্রায় একবছর এবং এরই মাঝে আমদের এক সেমেস্টার কোর্স আর পরীক্ষা শেষ করে দিত্বীয় সেমিস্টার আর শেষ পর্যায় যখন হলো থখন আমাদের প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হলো | সবাইকে আশ্চর্য করে আমাদের বন্ধুটি প্রথম সেমিস্টার পরীক্ষায় সর্বোচ গ্রেড পয়েন্ট পেয়ে সেমিস্টার পরীক্ষায় সে প্রথম হলো | তারপর থেকে সম্পুর্ন দৃশ্য পট পাল্টে গেল ,এখন সবাই আর আগের মত তার সাথে মজা করেনা ,সবাই তার কাছে আমরা যাই সিট্ পেপার দেখার জন্য এবং তার সাথে সবাই এখন একজন ভালো বন্ধু ,ভালো সহপাটির মত আচরণ করতে শুরু করলো | আমাদের বনদুটি ও আমাদেরকে সাহায্য করলো খুবই অন্থরিকভাবে এবং সে আমাদেরকে বুঝতে দিলনা যে তোমরা আমার সাথে মজা করলেও ,আমাকে নিয়ে টাত্রা বিদ্রুপ করলেও আমি কিছুই মনে করিনা | আসলে আমাদের ওই বন্ধুটি ছিল বুধিমান ,সে তার বুদ্বিমত্তার পরিচয় দিয়েছে তার কর্মের মাধ্যমে । সে আমাদেরকে বুঝিয়ে দিয়েছে যে মানুষ বড় হয় তার কর্মের মাধ্যমে , সে তার কর্মের মাধ্যমে তার মহত উদেশ্য হাসিল করে । সে কথায় না দেখিয়ে কাজে দেখিয়ে দিয়েছে যে অজর পারা গা থেকে উটে আসা ছেলে -মেয়েরা তাদের যোগ্যতা বলে সব কিছু করতে পারে ।
একবার আমরা দিত্বীয় সেমিস্টার এর ব্যাচ প্রথম সেমিস্টার এর ছাত্র -ছাত্রীদের নবীন বরণ করার আয়োজন করেছিলাম । নবীন বরণ অনুষ্টানে আমাদের ওই বন্ধুটি তিনটি গান গেয়েছিল । প্রথম গানটি ছিল রবীন্দ্রনাতের " গ্রাম ছাড়া ওই রাঙামাটির পথ ,আমার মন ভুলায়রে "। কোনরকম মিউজিক ছাড়া খালি গলায় এত সুন্দর করে সে গেয়েছিল য়ে পুরো হল সে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল । তার দিত্বীয় গানটি ছিল " ধনে ধান্যে পুস্পে ভরা ,আমাদের ওই বসুন্দরা " বলতে গেলে পুরু অনুষ্ঠানটা সে মাতিয়ে তুলল । সর্বশেষে যে গানটি গাইল সেটা একটা পারডি গান ছিল । ওই গানে সে আমাদের দেশের তরুণ সমাজের আমাদের সংস্কৃতির প্রতি কেন এত অনীহা এবং অপসংস্কৃতির বিরূপ প্রতিক্রিয়া সে গানে গানে শুনালো । গানের কিছু অংশ এখানে দেওয়া হলো , দেশের বারোটা বাজাই লো গো হিন্দি ফিলিমে
,দেশটা রসাতলে গেলোগ হিন্দি ফিলিমে
দেশটা রসাতলে গেলোগ নানা কুকর্মে ।
দেশের বারোটা বাজালো গো হিন্দি ফিলিমে ,
দেশটা রসাতলে গেলোগ নানা কুকর্মে ,
দেশটা রসাতলে গেলোগ হিন্দি ফিলিমে ।
এসব দেখে যাই যে মরে ভিসন লজ্জা সরমে ,
হিন্দি ফিলিমে ।
দেশের বারোটা বাজাই লোগো
হিন্দি ফিলিমে ,
দেশটা রসাতলে গেল গ ,
নানা কুকর্মে ,
দেশটা রসাতলে গেলো গো
হিন্দি ফিলিমে ।
আরে ফিলিম দেখিয়া আট
বছরের করিম উদ্দিনের পুলা ,
নয় বছরের জরিনারে দেয় যে
ঘোলার মালা ।
আবার ফিলিম দেখিয়া ,
নেসা করিয়া
আব্বারে কয়
ডাডি গো ।
দেশের বারোটা বাজাই লোগো ,
হিন্দি ফিলিমে ,
দেশটা রসাতলে গেলো গো ,
নানা কুকর্মে ,
দেশটা রসাতলে গেলো গো
হিন্দি ফিলিমে ।
এই গান গাওয়ার সময় উপস্তিত সবাই হাত তালি দিতে লাগলো | গান গাওয়া শেষ হওয়ার পর আমাদের এক শিক্ষক বললেন ,আসলে আমাদের সমাজ ধংসের মূলে তথা আমাদের সংস্কৃতির নষ্টের মূলে প্রধানত কাজ করছে অতি মাত্রায় দেশীয় সংস্কৃতি ভুলে গিয়ে বিজাতীয় সংস্কৃতির দর্সন এবং অনুকরণ ও অনুশীলন | যতক্ষণ আমরা আমাদের সংস্কৃতিকে ভালবাসতে না পারব ততক্ষণ আমরা বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে মুক্ত হতে পারবনা বরং এটা অতি মাত্রায় মাথা চড়া দিয়ে উটবে | সংস্কৃতিকে ভালবাসা মানে বছরের দু একটা উত্সবের আয়োজন করা এবং ওই উত্সব পালন করে শেষ তা না ,আমাদেরকে সারা বছর আমাদের সংস্কৃতির অনুশীলন করবো | যাতে আপামর জনতা জানতে পারে যে আমরা বাঙালি আমাদের একটা সুন্দর ,সমৃদ্ধ সংস্কৃতি আছে | এটার প্রচার ও প্রসারে সাধারণ জনগণ ,তরুণ সমাজ ,ছাত্র সমাজ ,বুধিজিবি ,শ্রমজীবি এবং সর্বপরি সরকারের সার্বিক সহযোগিতা ছাড়া এর উন্নতি সম্ভব না | তাই আমাদের সংস্কৃতিকে মূল ধারায় রক্ষা করতে হলে সকলের সহযোগিতা ও অংসগ্রহণ একান্ত কাম্য |
কিন্তু আশ্চর্য হলেও সত্যি আমাদের সরকারের উচচ মহলের আমাদের সংস্কৃতি নিয়ে যে ধ্যান -ধারণা তাদের সেই চিন্তা ধারা আমাদের দেশের একজন জনপ্রিয় সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব তার মনের ক্ষুব রূপক অর্থে প্রকাশ করেছেন তা হুবহ নিচে দেওয়া হলো ,
"দাদাবাড়ির মাঝি নাদের আলী বলেছিল , "ট্রানজিট দে ,দেখিস একদিন তিস্তা দিয়ে দিবো | জঙ্গি হটা , বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে দিবো "| দাদা সব নিয়ে নিয়েছে ,দেয়নি কিছুই | আমাদের ও দেখা হয়নি কিছুই | ৪৩ বছর কেটে গেল | বাজার গেছে ,আকাশ গেছে ,পত্রিকার পাতাগুলো গেছে ,চিন্তা গেছে | সিনেমা হলটা বাকি ছিলো ,এবার সেটাও যাচ্ছে |
যে দেশের মন্ত্রীর একমাত্র এজেন্ডা মনে হয় ভারতের ছবি আমদানি ( তাও আবার ভারতের সবচেয়ে অখাদ্য ছবিগুলো ),যে দেশের মন্ত্রী মনে করেন যে বাংলাদেশের সিনেমার উন্নতির একমাত্র উপায় ভারতের ছবি আনা এবং আমাদের ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক ভারতীয় কোনো সংস্তাকে দেওয়া ,সে দেশের ভবিষৎ চরম উজ্জল | এই রকম চিন্থাশীল মানুস যদি দেশ চালান , তাহলে সে দেশের ভবিষত উজ্জল না হয়ে পারে না | আশা করি অন্যন্য দেশও (যাদের সিনেমার অবস্তা খারাপ ) আমাদের দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে চলচ্চিত্র বিপ্লব সাধন করবে |
বি.দ্র পাশে বসা ছোট ভাই বলল দুই দেশের ছবি না বিনিময় হওয়ার কথা | আমি তাকে পুনরায় 'নাদের আলীর ' কবিতা পড়তে বললাম |
খুশি হয়ে ছোট ভাই আমাকে " জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় জঙ্গি দমনের গুরুত্ব " বিষয়ে একটা বক্তৃতার রিপোর্ট ধরিয়ে দিয়ে বলল , 'দেশ চালাতে এইরকম প্রতিভাই আসলে দরকার !
আমি বললাম "এইরকম একটা মন্ত্রী তুই ফুসলিয়ে নরেন্দ্র মোদীকে দিয়ে দে ,আমরা বেঁচে যাই "!
-সুপ্রভাত ! ইহা একটি সম্পুরক স্টাটাস |কারো যদি আমার স্পিরিট বুঝতে সমস্যা হয় তাই বলছি | আমি ভারত -বাংলাদেশ সহযোগিতায় পূর্ণ আস্থাশীল | ভারত -বাংলাদেশ যৌত প্রযোজনায় ছবি হোক ,তাও চাই | রিসোর্স শিয়ারে হোক ,তাও চাই | আমাদের ছবি ভারতে চলুক ,তাদেরটাও এখানে চলুক | কিন্থু তার জন্য যে একটা ফিজিবিলিটি স্টাডি করা দরকার ,কর কাটাম তৈরী করা দরকার ,বছরে কতগুলো ছবি আসবে -কতগুলো যাবে এটা টিক করা দরকার ,আমাদের হলগুলো ভারতীয় ছবি কত পার্সেন্ট স্ক্রিনিং করতে পারবে ,ভারত আদৌ আমাদের ছবি চালাতে অন্থরিক কি না , তাদের দিক থেকে কোনো রকম আইওয়াস বা শুভংকরের অংক আছে কিনা -এই সব বিসয়ে খোলা মন নিয়ে কাজ করা দরকার |
কিন্ত এসব নিয়ে যখন কোনো উত্তেজনা দেখি না ,উত্তেজনা দেখি যে ' শুধু যেভাবেই পারো ভারতের ছবি ডুকিয়ে দাও '- এই নিয়ে তখন প্রশ্ন আসে | যখন প্রেসক্রিপসন দেয়া হয় 'বাংলাদেশের সিনেমার উন্নতির জন্য ই ' ভারতের ছবি আনতে হবে তখনই বোঝা হয়ে যায় ' ডাল মে কিয়া হায় !'
আগেও যেমন বলেছি -কলকাতায় হিন্দি ছবি চালালে ২৫% কর দিতে হয় ?বাংলা চালাতে ২% এর মত | কেন একই দেশে এই বৈষম্য ? নিজের বাজার আর সংস্কৃতির পৃষ্টপোষকতা করা ?
একটা রাজ্য সরকার যা পারে , স্বাধীন দেশের সরকার তার চেয়ে তো বেশি পারার কথা | আমাদের নীতিমালা আমাদের লাভের দিকে তাকিয়ে করতে হবে ,অন্য কারো লাভের দিকে তাকিয়ে না | বিনিময় বা বন্দুত্ব তখনি জমে যখন দুই তরফে আন্তরিকতা থাকে | কলকাতার পত্রিকার পাতায় আমরা এখনো মহকুমার চেয়েও ছোট ,কিন্তু আমাদের পাতায় ওরা সুপার পাওয়ার | আমাদের টিভি ওখানে কৌসলে বন্ধ ,আমাদের এখানে ওদের টিভি সানি লিওনের মত খোলা | আরো একশোটা ইন্ডিকেটর দেখানো যাবে যেটা আসলে বন্দুত্বের কথা বলে না | বললে ভালো হতো | বোঝা গেছে জিনিসটা ?
একটা উদাহরণ দিলে জিনিসটা স্পস্ট হয়ে যাবে ,যখন একটা ঘর বানানো হয় ,ঘর বানানোর জন্য নানা উপকরণ লাগে যেমন ইট ,বালু ,পাথর ,রড ,বাস ,বেতা ,তার, টিন ,কাঠ ,হাতিয়ার ,যন্ত্র -পাতি ,মিস্ত্রী ইত্যাদি আরো অনেক । এখন মনে করেন এই জিনিস গুলো সব আছে এবং আপনি আপনার ঘর বানালেন কিন্তু আপনার ঘরের মূল ভিত্বি বা ঘরের কুঠি গুলো সঠিক ভাবে তৈরি করলেন না ,যে কুঠি গুলোর উপর সম্পুর্ন ঘরের ভর বা ওজন নির্ভর করবে তার মানে ঘরটি ধ্বংস বা ভেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা খুবই বেশি যেকোনো সময় বেঙ্গে যেতে পারে । একটি ঘরের মূল ভিত্তি যতো মজবুত হবে ঘরের স্থাহিত্ব ততো দীর্ঘ স্থায়ী হবে যেকোনো সময় বেঙ্গে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে ।অর্থাৎ একটা ঘরের স্তাহিত্ব নির্ভর করে ঘরটির মূল ভিত্তি প্রস্তর এর উপর ।
আমাদের বুঝার জন্য আরো একটি উদাহরণ এখানে তুলে ধরা হলো ," মনে করেন একজন কৃষক তার জমিনে ধান চাষ করবেন ,ধান চাষের জন্য কৃষক তার জমি তৈরি করেন । জমিতে পানি সেচ দেন ,হাল চাষ করেন ,জমির উর্ভরতা বৃদ্বির জন্য সার ছিটান , ঘাস চাটাই করেন ,বীজ বপন করেন ,বীজ থেকে চারা গজায় ,চারা বড় হলে জমিতে চারা রোপন করেন তারপর প্রয়োজনীয় পানি ,সার ,ঘাস বাছাই ,আগাছা ছাটাই করেন এবং নিয়মিত দেখাশুনা করেন ধান কাটার আগ পর্যন্ত । কৃষক তার জমিতে ভালো ধানের অত্পাদন আশা করতে পারেন ।কিন্থু যদি কৃষক নিয়মিত পানি সেচ প্রদান না করেন ,সার না দেন , ঘাস ও আঘাচা চাটাই না করেন তাহলে জমিতে ভালো ফলন আশা করা যায় না | বরং ঘাস ও আঘাসার আক্রমনে জমির ফসল নষ্ট হবে এবং নষ্ট হয় এটা স্বাভাবিক |
সম্মানিত পাঠক আমি উপরে যে দুটি উদাহরণ দিয়েছি সেগুলো শুধুমাত্র রূপক অর্থে ব্যবহার করছি | প্রথম তা হলো আমাদের দেশের সরকারের উচ্চ পর্যায়ে যখন কোনো মন্ত্রীর মুখে শুনা যায় বিজাতীয় সংস্কৃতির প্রেম -ভালবাসা এবং বিজাতীয় সংস্কৃতি ছাড়া নাকি দেশীয় সংস্কৃতির উন্নয়ন সম্ভব না তখন আমার বুঝে আসেনা আমরা স্বাধীন বাংলাদেশের নাগরিক না কি কোনো একটা দেশের অনর্গত প্রদেশে বসবাস করতেছি | এখানে আমার একটা প্রশ্ন তরুণ প্রজন্মের কাছে ,আপনারা তো যেকোনো কিছুতে খুবই সুচ্চার কিন্তু আপনারে কি বোবা হয়ে গেলেন যখন দেশের একজন মন্ত্রী আমাদের স্বধীন সংস্কৃতিকে অন্যের কাছে সপে দিচ্ছেন বা দেওয়ার পরিকল্পনা করতেছেন এরকম একটা সংবাদ শুনার পর আপনাদের নিরবতা পালন -আমাদেরকে হতবাক করে ফেললেন | নাকি আমরা ধরে নেব "নিরবতা সম্মতির লক্ষন ", এরকম একটি জিনিস উপহার পাওয়া আপনাদের মনের খায়েস , হটাথ জেগে উঠা আপনাদের চেতনার পর্ণজাগরন শেষ , এখন শুধু আরাম আয়েশ |
কয়েক মাস আগে যুদ্ধঅপরাধীর রায়ে একজনের ফাঁসি কার্যকর হল ,যদিও এটা নিয়ে দেশে বিদেশে অনেক বিতর্ক তৈরী করেছে ,আমি এটা নিয়ে কিছু বলবনা । এই রায় কার্যকর হওয়ার পর পাকিস্তান পার্লামেন্টে একজন সংসদ সদস্য দুঃখ প্রকাশ করছিলেন -আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ করি এমনকি আমরা ওই দেশের দূতাবাস গেরাও এর মত কঠোর কর্মসূচি পালন করি । আমাদের মাঝে অনেকে আবার ওই দেশের দূতাবাস বাংলাদেশ থেকে সরিয়ে নেওয়ার জন্য হুমকি প্রদান করিয়ে ছিলেন । কিন্তু দুঃখের বিষয় হলেও সত্যি যে আজ আমাদের তরুণ সমাজের চেতনা নিয়ে একশ্রেনীর লোক দাবার চালের খেলা নিয়ে খেলতেছেন । এখানে দাবার গুট্টি হচ্ছে আমাদের তরুণ সমাজ । আর দাবা হচ্ছে পুরা দেশ । দাবার দুই প্রান্থে খেলওয়ার হিসেবে দেশের সরকার দল ও বিরোধী দল বসে এই খেলাটা খেলতেছেন ,যে যার মত করে । এখানে দর্শক হিসেবে সারা দেশ বাসী খেলা দেখতেছেন ,কারো ভালো লাগুক আর নাই লাগুক দেখতে আপনি বাধ্য । উভয় দলই খেলায় জেতার জন্য মরিয়া হয়ে উটে পড়ে লেগেই আছেন কেও কাওকে ছাড় দিতে নারাজ ,হোক সেটা জোরে ,বলে ,কৌশলে । এই খেলায় জেতার জন্য তারা প্রয়জনে সাহায্যের জন্যে বাড়াটে লোক এর দারস্ত হন এবং মাঝে মধ্যে উনারা এসে আমাদের বুদ্বি বাতিয়ে দিয়ে যান । তাদের এই সাহয্যের জন্য বিনিময়ে আমরা যেকোন মূল্যে তাদের দেওয়া আবদার রাখতে আমরা বাধ্য ,হোক সেটা নিজের পায়ে কুড়াল মেরে । প্রিয় পাঠক আপনারা বুঝতে পারছেন কেন আমি রূপক অর্থে বলছি এসব।
গত কিছু দিন আগে বর্তমান ভারতের বিজেপি সরকারের প্রধানমন্ত্রী মরেন্দ্র মোদী তার নির্বাচনী কর্মসূচির জনসবায় বক্তৃতা প্রধান কালে তিনি বলেছিলেন বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ ভূমি তিনি দখল নিবেন এবং ভারতে যত বাঙালি আছেন তাদের সবাইকে ভারত থেকে বিতাড়িত করবেন । একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ কে কি করে অন্য একটি দেশ এরকম ভাবে হুমকি প্রদান করে তা আমার বুঝে আসেনা । তবে আমি একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে ভারতের এরকম গুয়ারমিকে তীব্র নিন্দা জানাই । আমাদের তরুণ প্রজন্মকে আমার একটি গুরুত্ব পর্ণ প্রশ্ন " আপনারা সবসময় ইদানিং বলতে শুনি , আপনারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী , আপনাদের চেতনায় সবসময় আমাদের মহান স্বাধীনতা কাজ করে ," কিন্তু ভারতের ক্ষমতাসীন দল যখন বাংলাদেশের এক তৃতীয়াংশ ভূমি দখলের যে দুশাসাহসী হংকার প্রদান করলো ,তখন আপনাদের চেতনা কোথায় গেল ,আপনারা তো আমাদের দিত্বীয় মুক্তি যুদ্ধের সৈনিক আপনাদের ভাস্য মতে , আপনাদের তো প্রতিবাধ করার কথা ,কেন আপনারা চুপ থাকলেন , প্রতিবাধ সরূপ আপনারা কেন মোমবাতি প্রজ্জলন করলেন না তখন , কেন আপনারা ভারতের দুতাবাস গেরাও করলেন না প্রতিবাদ হিসেবে ?
এখানে একটি বিষয় আমি উল্লেখ করতে চাই তরুণ প্রজন্ম বলতে আমি এখানে ততাকতিত গণজাগরণের তরুনদের কথা বিশেষ ভাবে বলছি । আসলে আপনাদের লক্ষ্য ও উদেশ্য কি সেটা আমার মত এদেশের আপামর জনতা প্রথমে বুঝতে না পারলেও ,সময়ের ব্যবধানে সারা দেশের জনগণ জানতে ও বুজতে পেরেছেন আপনারা একটি বিশেষ দলের বিশেষ এজেন্ডা বাস্তবায়নের জন্য আপনাদের আভির্বাভ ঘটে এবং রাজকীয় ভাবে পুলিশ বেষ্টনী দিয়ে বিশেষ ভাবে আপনাদের নিরাপত্তার ও ব্যবস্থা রাখা হয় , সাথে আরো বিরানি ও পোলাও এবং রুস্তের মত দামী খাবারের আয়োজন করা হয় । আমি জানিনা বিশ্বের আর কোনো দেশে এরকম করে আন্দোলন করেছেন কিনা । সে যাই হোক আমরা সে দিকে যাব না ,আমরা সকলেই জানি " ব্যক্তির চেয়ে দল বড় ,দলের চেয়ে দেশ বড় " । তাই আমরা বলব কোন ব্যক্তি বিশেষ এর স্বার্থ বা বিশেষ কোনো রাজনৈতিক দল বা গোষ্টির স্বার্থ কে উপেক্ষা করে আমরা আমাদের দেশ ,জাতি ও দেশের সর্ভবৌম রক্ষায় সকলেই একসাথে এগিয়ে আসতে হবে এবং আমাদের রাষ্ট্রীয় ঐক্যের বন্দন আরো সুদিড় করতে হবে ।
বিরানি ,পোলাও ও গোস্ত খেয়ে আমাদেরকে চেতনা বুঝতে হবেনা । আমাদের কে আমাদের কর্মের মাধ্যমে দেশ প্রেম দেখাতে হবে । আপনাদের কি চেতনা কাজ করছে তা বুঝতে আমাদের আর বুঝতে বাকি নেই । আমি এটা নিয়ে আর বিতর্ক করব না । তবে আমি এটা বলব আপনাদের মাঝে যদি সত্যিকার দেশ প্রেমের চেতনা কাজ করত তা হলে কেন আপনারা মদির বিরুদ্ধে প্রতিবাধ করেন নাই ।
"দেশ প্রেম হচ্ছে একটা আপেক্ষিক জিনিস "। এই কারণে আমি বলব আপনি যদি আপনার দেশ ছেড়ে অন্য কোথায় চলে যান আর ওই দেশটা যত উন্নত থাকুক না কেন ,এখানে যতই উন্নত জীবন যাপন করেন না কেন ,যতই ভালো খাবার দাবার ,আরাম -আয়েস করেন না কেন দেশের প্রতি একটা টান কাজ করবেই ,আর সেই টান টা একেবারে হৃদয়ের গবির থেকে আসে সেটাই দেস প্রেমের মূল বীজ ।
দেশ হলো মায়ের তুল্য । মায়ের আদর ,যত্ন ,ভালবাসা যেমন তুলনাহীন তেমনি দেশ মাতৃকা ও । একজন মা যেমন তার বাচ্চাকে জন্ম দিয়ে তার দায়িত্ব শেষ হয়না , বাচ্চাটির লালন -পালন ,ভরণ -পোষণ সহ বাচ্চাটিকে বড় হওয়া অবধি পর্যন্ত তার লালন-পালন চালিয়ে যান তেমনি দেশ আমাদেরকে তার আলো ,বাতাস ,ফুল -ফল ,ফসল ,সস্য ইত্যাদি দিয়ে আমাদেরকে বাড়িয়ে তুলে তার বুকে আগলে রাখে । তাই স্বাভাবিক ভাবে প্রত্যেকে আমরা আমদের মা কে খুব ভালবাসি এবং এই ভালবাসার মধ্যে আর কারো বালোবাসা তুলনা করা যায়না ,তেমনি দেশটা হচ্ছে আমাদের মা, দেশটা শুদু আমাদেরকে দিয়েই যায় । একবার চিন্তা করে দেখুন আমরা দেশটাকে কি দিয়েছি । প্রত্যেক মা চায় তার ছেলেমেয়েরা সুখে ,শান্তিতে থাকুক । ছেলে মেয়েদের সুখ -শান্তিতে মায়ের সুখ -শান্তি ।
কেও যদি আপনার মাকে কোনো কিছু বলে ,আপনি কি বসে থাকবেন , না কখনো থাকবেন না । কারণ আপনি -আমি - আমরা আমাদের মা কে অনেক অনেক বেশি ভালবাসি । আমরা যদি কোনো বিপদে বা আপদে পড়ি সবাই আমদেরকে ছেড়ে চলে গেলে ও মা টিকই উনার সন্তানের পাশে থাকেন । অনুরূপভাবে দেশও আমাদের কাছে মায়ের তুল্য , ছেলে -মেয়ে যদি কোনো ভুল করে থাকে মা হাসি মুখে তাদের কে মাফ করে দেন , বুক ভরা ভালবাসা দিয়ে আমাদেরকে তার মায়ার বন্দনে আবদ্ব করে রাখেন | তাই আমরা যেখানে থাকি না কেন ,যতই ভুল -বেআদবি করিনা কেন শেষ পর্যন্ত আমাদেরকে আমাদের মায়ের কাছে , দেস মাতৃকার কাছে ফিরে আসতে হবে |
এখন যদি আমাদের মাতৃতুল্য দেশ কে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিতে চায় কেও তাহলে কি আমরা নিরবে বসে থাকব , অবস্য না । আমরা আমাদের দেশকে রক্ষা করব , প্রয়জনে আবার আমরা যুদ্ব করব , মরব তবুও আমরা আমদের দেশকে রক্ষা করব । তাই আমাদের সকলের উচিত দল মত ,ধর্ম ,বর্ণ নির্বিসেসে ,জাতীয় সার্থে ,দেশ মাতৃকার সার্থে সকলের এক্য বদ্ব প্রচেষ্টা । তাই একটি গানের কথা মনে পড়ে গেলো । গানটি এখানে তুলে ধরে হলো :
এই দেশ এ মাটির গন্ধে
ভরে যায় মন আনন্দে ।।
মনে পড়ে যায়
বীর শহীদের রক্ত ঝরা
সেই দিন ।।
লাখো শহীদের ত্যাগের বিনিময়ে
পেয়েছি রক্তিম সূর্য
সোনালী উষার সেই মহাগান
সবুজের মাঝে লাল কুঞ্জ ।।
দেশের তরে এনেছি চিনে
জীবন দিয়ে এই দিন
সেই দিন ,সেই দিন ।।
বাংলা মায়ের কত রক্তে রাঙা
স্বাধীন দেশের পতাকা
দেশ মাটিকে রাখতে তাজা
বিবেক নাড়ায় সহসা ।।
সোনালী স্বপ্নের বাংলাদেশে
সাম্যের গেয়ে যাই বীন
সেই দিন ,সেই দিন ।।
মনে পড়ে যায়
বীর শহীদের রক্তে ঝরা
সেই দিন ,সেই দিন ।।
যে যাই বলুক আমরা আমাদের দেশ কে ভালবাসব ,দেশের মানুষকে ভালবাসব ,দেশের সঠিক ইতিহাস -ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে ভালবাসব | তবে আমাদের সবার মাঝে দেশ প্রেমের খাটি চেতনা স্বাবাভিকভাবে জাগ্রত থাকবে |
গত কিছু দিন আগে আমি একটি টেলিভিসন চ্যানেলের টকশো অনুষ্টান দেখেছিলাম ,সেখানে আমাদের সবার পরিচিত মাননীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী ও উপস্থিত ছিলেন এবং তার সাথে আরো একজন সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন | মাননীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী আমাদের প্রতিবেশী দেশে ভ্রমন শেষে এই টক শোতে আসেন এবং তার কাছে আমাদের সংস্কৃতি নিয়ে অনেক প্রশ্ন করা হয়েছিল | তিনি খুব সুন্দর করে প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন | যখন তাকে জিঘেস করা হয়েছিল আপনি তো ভারত ভ্রমন করে আসলেন , যদি আমাদেরকে কিছু বলতেন ,তার ভাষ্য এখানে হুবহু তুলে ধরা হলো , " দেখেন আমাদের সংস্কৃতিকে ,আমাদের সিনেমা কে উন্নত করতে হলে আমাদেরকে হিন্দি সিনেমা দেখতে হবে এবং তাদেরকে অনুসুরুন করতে হবে " একথা শুনার পর আমি খুবই ব্যতীত হলাম | তারপর উনাকে জিগ্যেস করা হয়েছিল আমাদের দেশে ভারতীয় চ্যানেল অবাধে চলছে এবং আমাদের দেশে তাদের বিরাট সন্কক দর্সক রয়েছে যারা নিয়মিত তাদের ঐ সব চ্যানেল গুলো দেখেন , তাদের ওখানে কি আমাদের বাংলাদেশী কোনো চ্যানেল আছে , তিনি বললেন না |
সম্মানিত পাঠক যেখানে আমাদের দেশে ভারতের টিভি চ্যানেল চলতে কোনো বাধার সৃষ্টি হচ্ছেনা সেখানে আমাদের দেশের টিভি চ্যানেল চললে কি এমন ক্ষতি হবে তা আমার বোধগম্য হচ্ছেনা ।
আমি এই কারণে বলতেছি যে যেখানে তারা আমাদের বাংলাদেশী টিভি চ্যানেলগুলো প্রচার করতেছেনা সেখানে আমরা কি করে আমাদের সিনেমা সংস্কৃতি উন্নতির জন্য তাদের কিরূপ সহযোগিতা পাবো তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা ।
আমরা সবসময় তাদেরকে আমাদের বন্ধু বলে মনে করি , বন্ধুত্বের মধ্যে কোনো খাধ থাকেনা । বন্ধুত্বের মধ্যে ভাব বিনিময় ,চাওয়া -পাওয়া ,লেন-দেন ,সুখ -দুখ সব কিছু খুব সহজে ঘটে । আমার কাছে কেন জানি মনে হচ্ছে আমাদের বন্ধুত্ব টা ভারতের সাথে একপেশে । আমাদের বন্ধুত্বটা একপেশে এই কারণে আমি বলতেছি , আমরা বন্ধুত্বের হাত যত খানি প্রসস্ত করি ভারত তা করে না বরং তারা আমাদের সত্রু সেটা অনেকটা স্পষ্ট বিষয় । যদি আমরা দেখি এই সাম্প্রতিক বছর গুলোতে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বি এস এফ সীমান্তে বাংলাদেশী জনগনকে নির্বিচারে একের পর এক হত্যা কান্ড চালিয়ে যাচ্ছে , শুধু হত্যা করে শেষ নয় হত্যা করে তারা কাটা তারের মধ্যে লাশ ঝুলিয়ে রাখার মত জগন্য কাজ করে আসতেছে । আসলে তারা লাশের বুকে গুলি চালায় নি তারা চালাচ্ছে বাংলাদেশের বুকে । বাংলাদেশের মানচিত্রের বুকে । এখন আপনাদের বিবেকের কাছে আমার প্রশ্ন তারা কি আমাদের সত্যিকার বন্ধু নাকি শত্রু ।
আরেকটি বিষয় হলো উনারা ( ভারত) যখন কোনো কিছু দাবি করেন আমাদের কাছে , আমরা তখন এতটা উদার হয়ে যাই কোনো শর্ত ছাড়া নিজ দায়িত্বে উনাদের দাবি বাস্তবায়নে উটে পড়ে লেগে যাই । আমরা ভারতের প্রতি যতটা উদার মনোভাব দেখাই ভারত যদি এর একশ ভাগের এক ভাগও যদি আমাদের প্রতি উদার হত তাহলে আমাদের অনেক সমস্যা কে আমরা সমস্যা বলে মনে করতাম না । কিন্তু আমাদের আফসুস বিশ্বের সর্ব বৃহত গনতান্ত্রিক দেশের প্রতিবেশী হয়ে ও তাদের কাছ তেকে আমরা গণতান্ত্রিক মনোভাবের ন্যয অধিকার পাচ্ছিনা ।
আমি এখানে আমাদের মহান রাষ্টের মহান উদারতা এবং তার বদলতে আমরা কি পেয়েছি তা একটু পেশ করবো । আমরা উনাদের সাথে ফারাক্কা বাধ চুক্তি করলাম সময় মত পানির ন্যায অধিকার পাব বলে , বিনিময়ে আমরা পেলাম কি আমরা পেলাম সমস্ত উত্তর বঙ্গ মরুভূমি ,যেখানে পানির অভাবে ফসল হয়না । তারপর হলো উনাদের সাথে ট্রানজিট চুক্তি । আমরা উনাদের সাথে এতটা উদার হলাম যে , একটি স্বাধীন -সার্ভ বৌম দেশের বিতর দিয়ে অন্য একটি দেশের গাড়ি যাবে তাও আবার বিনা টুল ছাড়া । এরকম উদারতা বিশ্বের আর কোনো দেশে আছে কিনা আমার জানা নেই । তার পর তিস্তা পানি চুক্তি । পানি চুক্তির আগে তিস্তায় পানি থাকত টিক যদিও কম কিন্তু যেই মাত্র চুক্তি হলো তিস্তার পুরু চিত্র ঠা পাল্টে গেল । শুকনো মৌসুমে তিস্তা নদীর অপর থেকে অপার পায়ে হেটে যাওয়া যায় এরকম দৃশ্য আমরা দেখতে পাচ্ছি । যার ফলে তিস্তা নদী তো মরে যাচ্ছে সুধু কি তিস্তা মরে যাচ্ছে না তিস্তার উপর নির্ভরশীল চাষাবাদ ,কৃষি সাথে তার উপর নির্ভরশীল জনগনও । একের পর এক সরযন্ত্রের শিকার আমাদের এই বাংলাদেশ । আর এই সব সরজন্ত্র এর সাথে দেশীয় কিছু সার্থনেসী মহল জড়িত । উত্তর বঙ্গের পর এবার সরজন্ত্রের শিকার সিলেটের টিপাই মুখ বাধ । উত্তর বঙ্গ শেষ করে দিয়ে একন পূর্ব বঙ্গের দিকে উনাদের নিশানে হলো । এর ফলে সিলেটের সকল নদী গুলো পানি সংকট এ ভুগতেছে । নদী গুলো তাদের স্বাভাবিকতা হারিয়ে ফেলতেছে দিনে দিনে । পানি সংকটে এই এলাকার নদী গুলো এখন অনেকটা মৃত । এই অবস্থা যদি চলতে থাকে তাহলে বাংলাদেশ যে অদূর ভবিষ্যতে সাহারা মরুভূমি হবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা । আমি এখানে বিস্তারিত ভাবে কিছুই বলি নাই , কারণ এই সব বিসয় আপনারা আমার চেয়ে অনেক অনেক বেশি জানেন এবং বুঝেন , আমি শুধু আপনাদের সরণ করিয়ে দেওয়ার জন্য শুধু মাত্র প্রধান প্রধান জিনিস গুলো তুলে ধরে ছি । এছাড়া ও আরো অনেক চুক্তি হয়েছে এবং ভবিষ্যতে আরো অপেক্ষমান ।
কিন্থু আমি যে জিনিষটা বুঝাতে চেয়েছি তা হলো ভারত যদি সত্যি সত্যি আমাদের তারা বন্ধুর চুখে দেখত তাহলে উপরে বর্ণিত বিষয় গুলোকি তারা আমাদের সাথে করত তা আপনার আমার সবার বিবেকের উপর ছেড়ে দিলাম । কারণ একজন মানুষকে মানুষ রূপে রুপান্তরিত করে তার বিবেক । মানুষ আর পুসুর মদ্যে পার্থক্য শুধু মাত্র বিবেক ।মানুষের বিবেক আছে আর পুশুর বিবেক নাই ।
আমি আরো একটি জিনিস এখানে বলব সেটা খুবই মানবিক বিষয় । যখন বাংলাদেসের সীমানায় ভারতীয় সিমান্থ রক্ষাবাহিনী বাংলাদেশের লোকজনকে প্রতিনিয়ত হত্যা করতেছে তখন আমাদের দেশের সরকারের মন্ত্রী পরিষদের একজন সদস্য এর কাছে এদেশের সাংবাদিক কিছু ভাই -বোন্ প্রশ্ন তুলেছিলেন সীমান্তে হত্যার ব্যাপারে আপনাদের করণীয় কি বা আপনাদের কি কোনো ভুমিকা আছে । তখন মন্ত্রী পরিষদের ঐ সদস্য উত্তরে বলেছিলেন এরকম " দেখেন সীমান্তে হত্যা আগেও ছিল , বর্তমানে আছে এবং ভবিষ্যতে ও থাকবে , এ নিয়ে রাষ্ট্র চিন্তিত নয় "। একটি রাষ্ট্র বা একটি দেশের প্রধানতম কাজ হলো তার রাষ্ট্র বা দেশের জনগনের নিরাপত্তা দেওয়া । সাধারনত একটি রাষ্ট্র গঠিত হয় চারটি উপাদানের সমন্বয়ে । এই চারটির মধ্যে একটি উনপস্তিত হলে রাষ্ট্র গঠিত বা রাষ্ট্র হতে পারেনা । রাষ্ট্রের সর্বপ্রথম উপাদান হলো জনগণ দিত্বীয় হলো স্থায়ী বা নির্ধারিত ভূমি তৃতীয় হলো রাজনৈতিক সরকার এবং সর্বশেষ হলো স্বাধীন সার্বভৌমের অধিকারী ।
একটি রাষ্ট্রের প্রধান উপাদান যেখানে উপেক্ষিত থাকে সেখানে অন্য উপাদান গুলো কি অবস্থা বিরাজমান তা বলার অপেক্ষা রাখেনা । গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সরকার গঠনের প্রধান হাতিয়ার হলো জনগণ । সরকার গঠনের চাবি কাটি কিন্থু জনগনের হাতে । কাজেই আমরা যারাই সরকার গঠন করি না কেন , যতই ক্ষমতার লুলুপ্য দৃষ্টি প্রদর্শন করি না কেন এই জনগনকে উপেক্ষিত রেখে কোনো কিছু করলে তার ফল যে শুভ হয় না তা অতীতে আমরা দেখে আসছি । কাজেই আমাদের সবার উচিত অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে বর্তমানকে সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হওয়ার । মাননীয় মন্ত্রী মহুদয়ের কাছে আমার আকুল আবেদন এই যে , জনাব আপনাদের কাছে জাতি এরকম কৃত কর্ম আশা করেনা ,জনগণ আপনাদেরকে ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তারা আপনাদেরকে তাদের অভিবাবক বানিয়েছে । কাজেই অভিবাবক অভিবাবকত্ব সুলভ আচরণ করবেন । আপনারা এরকম কোনো কিছু করিয়েন না যাতে দেস ও দেশের জনগনের ক্ষতি হয় । আপনাদের আর শুভ বুদ্বির উদয় গঠাতে হবে এবং পাশাপাশি শুভ চিন্তা -চেতনা ,ধ্যান -ধারণা করতে হবে ।
বর্তমানে আরো একটি আলোচিত বিষয় হলো বিশ্বের বৃহত্তম মানোগ্রব বন সুন্দর বনে বিদুন্ট কেন্দ্র স্থাপন । পার্সবর্তি দেশ যেখানে তাদের দেশের পরিবেশ নষ্ট হওয়ার আশংকায় তারা ওই বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপন থেকে সরে যায় অথচ আমরা ওই বিদ্যুত কেন্দ্র স্থাপনের জন্য উঠেপড়ে লেগে আছি | সুন্দর বন পৃথিবীর সপ্ত আশ্চর্যের একটি | বিখ্যাত এই জায়গাটি ছাড়া কি সরকারের চুখে আর কোনো জায়গা দেখতে পায়না | এটাই সত্যি যে আমরা ধংসের পথ বেছে নিতে বেশি আগ্রহী | আমরা এতটা উদার হয়েছি যে আমরা আমাদের ভালো জিনিস গুলো বিলিয়ে দিয়ে অন্যের মন্দ জিনিসগুলো নিয়ে ভালোর সন্ধান পেতে ব্যস্ত |সত্যি হাস্যকর |
সম্মানিত পাঠক এখানে সবচেয়ে মজার বিসয় হলো আমাদের বন্দু প্রতিবেশী দেশ ভারত আমাদের প্রতি এত উদার যে , যখন আমাদের পানির খুব বেশি প্রয়োজন তখন উনারা আমাদেরকে পানি না দিয়ে জমিয়ে রাখেন | যখন উনাদের জমিয়ে রাখা পানি আর স্তান সংকুলান হয় না তখন উনারা এমন ভাবে আমাদেরকে পানি দেন যে ওই পানি তখন আমাদের জন্য অভিশাপ হয়ে আসে | উনাদের ছেড়ে দেওয়া পানি আমাদের দেশে কৃতিম বন্যার সৃষ্টি করে ,যার ফলে আমাদের এখানে ক্ষেত -খামার ,ফসলাদি নষ্ট হয়ে যায় | আমাদের বুঝতে আর বাকি নেই ভারত আমাদের কেমন বন্ধু | যারা বন্ধুত্বের মূল্যায়ন করতে পারে না তাদের সাথে বন্দুত্ব করে ক্ষতি ছাড়া লাভের আশা করা বোকামি ছাড়া আর কিছু না |
উপরে আমি ভারত বন্ধুর আমাদের প্রতি তাদের যে বাহ্যিক দৃষ্ঠি ভঙ্গি তা খুব সংক্ষেপে তুলে ধরেছি এই কারণে যে আমাদের সরকারের কিছু মন্ত্রী মহোদয়গণ সরকারের খরচে দেশ -বিদেশ ঘুরে বেড়ান ,আর দেশে ফিরে এসে অদ্ভুদ্ব ধরনের কথা -বার্তা বলেন যেসব কথা-বার্তার কোনো সার থাকেনা | যেমন আমাদের সংস্কৃতি মন্ত্রীর কথা ধরা যাক , তিনি আমাদেরকে ভারতের একজন প্রতিনিধি সেজে এমন একটি কথা বললেন যে আমাদের সগ্স্কৃতির উন্নয়ন করতে হলে নাকি আমাদেরকে ভারতীয় সিনেমা বেশি বেশি করে দেখতে হবে এমনকি আমাদের দেশে ভারতীয় সিনেমা সিনেমা হল গুলোতে যাতে প্রদর্সন করা হয় | সরকারের উচ্চ পর্যায়ের একজন লোকের কাছে এরকম বাণী জাতি কখনো আশা করেনা |
আমি এখানে একটি কথা বলব , ধরেন একজন অন্ধ লোক | যার দুটি চুখ অন্ধ | এখন যদি ওই অন্ধ লোকটির হাতে দিয়েসলাই দেওয়া হয় এবং তাকে বলা হয় প্রদীপ জালাতে | তাহলে ওই অন্ধ লোকটির ক্ষেত্রে আমরা নির্দিদ্বায় বলতে পারি যে অন্দ্ব লোকটি সটিক ভাবে প্রদীপ জালাতে পারবেন না বরং তার দ্বারা আগুন জললেও সে আগুনে সব কিছু পুড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা খুব বেশি | তেমনি আমাদের সরকারের কিছু উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা আছেন যারা ওই অন্দ্ব লোকটির মত |
এখানে রূপক অর্থে আমি একটি কথা বলব ,কথাটি হচ্ছে এরকম "অক্জিজেন নিজে জলেনা , কিন্ত অন্যকে জলতে সাহায্য করে "| আমাদের সরকারের উচ্চ পর্যায়ের লোকজন ওই অক্জিজেনের মত | উনারা নিজে সবসময় ঠিক থাকেন , অন্যের কি হচ্ছে বা কি হবে তা তাদের ভাবার বিসয় নয় | অর্থাৎ মন্ত্রীরা নিজে জ্বলেন না , কিন্থু অন্যকে জ্বালিয়ে -পুড়িয়ে মারতে সাহায্য করেন |একথা আমি বর্তমান সরকারকে শুধু বলবনা এর আগের সরকার এর আমলেও এটা বিদ্যমান ছিল | এটা আসলে আমাদের প্রচলিত একটি নিয়ম হয়ে গেছে ,এর থেকে আমাদের কে বের হয়ে আসতে হবে | নতবা আমাদের কপালে যে অনেক দুঃখ আছে তা আমরা এখন থেকে অনুধাবন করতে পারছি এবং পরিবেশ পরিস্তিতি এটা প্রমান করছে |
হাল চাষের জন্য লোক ছাগল ব্যবহার করেনা হাল চাষের জন্য বলদের দরকার হয় | ছাগল দ্বারা হল চাস হলে বলদের আর প্রয়োজন ছিল না | যে যেটার উপযোগী তাকে সেটায় মানায় | অন্যথায় সেটা বেমানান ,অরুচিসিল | সঠিক স্থানে সঠিক মানুষকে দিতে হবে | তবে সব কিছু সঠিক ভাবে চলবে এবং সঠিক ভাবে থাকবে |
মনে করেন আপনি একটি ফুল গাছ লাগালেন ,ফুল পাবার জন্য বা ফুলের সৌরব পাবার জন্য কিন্থু ফুল গাছটির মূল বিহীন বা মূল নষ্ট । এখন যতই আপনি ঐ ফুল গাছটির যত্ন নেন না কেন ,যতই ওই গাছের গোড়ায় পানি দেন না কেন ফুল গাছটি কিন্থু আর বাঁচবেনা কারণ তার মূল আগে থেকেই নষ্ট হয়ে গেছে । ওই গাছ থেকে আপনে ফুলের সৌরভ পাবেননা ।
তেমনি আপনি যদি একটি পাতা ঝরা মরা ফুল গাছ নিয়ে আসেন আর সেটা যদি আপনি আপনার বাগানে লাগান আর যদি ওই ফুল গাছটির মূল সতেজ থাকে তবে আপনি ভালোভাবে ফুল গাছটির যত্ন নিলে এবং যদি নিয়মিত গাছের গোড়ায় পানি দেন তাহলে দেখবেন একদিন ওই গাছটি আবার নতুন করে পাতার জন্ম দিচ্ছে এবং ওই ফুল গাছটিতে আপনি ফুলের সৌরভ পাবার সম্ভাবনা খুব বেশি আশা করতে পারেন বা পাইবেন । কোনো কারণে গাছটি মরে গিয়েছিল কিন্থু তার মূল টিক ছিল বিধায় সেই গাছটি আবার সঠিক পরিচর্যার ফলে নতুন করে জীবিত হয়েছে এবং সাথে সাথে ফুল দিয়ে তার আশপাশ সৌরাভান্নিত করছে ।
তদুপুরি একজন মানুষের মনুষ্যত বোধ হচ্ছে ওই মানুষটির মূল । যখন কোনো মানুষের মনুষ্যত বোধ তার মধ্যে থেকে বিলুপ হয়ে যায় তখন ওই মানুষটি আসলে মানুষ রূপে সঠিক ভাবে বেঁচে থাকার সার্থকতা সে হারিয়ে ফেলে । মানুষের চেতনার সুতিকাগার হলো তার বিবেক । বিবেক হীন মানুষ আর পাগলের মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই । বিবেক ছাড়া মানুষ্ চলতে পারে তবে সে চলা আর বিবেকই মানুষের চলা ভিন্ন । কোনো মানুষের বিবেক বোধ যখন লুপ পেতে থাকে তখন আস্তে আস্তে সে মানুষটি যেন ধংসের দারপান্তে চলে গেল । অর্থাৎ বিবেক হচ্ছে মনুষ্যত প্রকাশের হাতিয়ার । যে মানুষটির বিবেক মরে গেল ,সে মানুষটি বেছে থেকেও যেন মরে গেল । বিবেক হীন মানুষের কাছে ভালো কিছু প্রত্যাশা করা আর উলবনে মুক্তা ছড়ানো একই কথা ।
সর্বপুরি প্রতিটি জিনিস তার মূলের দিকে ধাবিত | একটি পাখি সারা দিন আকাশ বিচরণ করে সন্ধ্যা সময় টিক সে তার বাসায় বা নীড়ে ফিরে আসে | কারণ পাখির আশ্রয়ের মূল জায়গা হলো তার বাসা |
উদাহরণ হিসেবে আমরা এখানে বলতে পারি কবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের কথা | কবি মাইকেল মদুসুধন দত নিজ দেস বাংলাদেশ ত্যাগ করে ফ্রান্সের ভার্সাই নগরীতে পাড়ি জমিয়েছিলেন বিদেশী ভাষার একজন নামকরা কবি হওয়ার জন্য | অনেক কবিতা ও রচনাবলী ও তিনি করেছেন কিন্থু তিনি সফলতার মুখ দেখেন নাই | তিনি নিজ দেশ , নিজ ধর্ম ও সংস্কৃতি ত্যাগ করে বিদেশী ভাষা ,বিদেশী সংস্কৃতি ও বিদেশী মহিলা কে বিবাহ করেন | যাতে তিনি নিজেকে সাহিত্য জগতে প্রতিষ্টিত করতে পারেন | তিনি অনেক চেষ্টা সাধনা করেন | কিন্থু তার সব চেষ্টা সাধনা ব্যর্থতায় পর্যবিসত হয় |
অবহেলায় ,অনাহারে ও অনিদ্রায় যখন জর্জরিত কবি মন তখন নিজ দেশ বাংলাদেশ ফিরে যাবার মনস্তির হয় । অবশেষে কবি প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশে ফিরে আসেন এবং জীবনের বাকিটা সময় তিনি বাংলা সাহিত্যে রচনাবলী ও কবিতা লিখে যান । কবি মনের আক্ষেপ ও বেদনা তার কবিতার মাধ্যমে প্রকাশ করেন ।কবিতাটা হলো
হে বঙ্গ ভান্ডারে তব বিবিধ রতন
তা সবে (অবোধ আমি ) অবহেলা করি ।
পর ধন লোভে মত্ত করিনু ভ্রমন
পরদেশে ভিক্ষা বৃত্তি কুক্ষণে আচরি ।
কাটাইনু বহুদিন সুখ পরিহরি ।
অনিদ্রায় , নিরহারে সপি কায়মন
মজিনু বিফল তপে অবরেণ্যে বরি
কেলিনু শৈবালে ভুলি কমল-কানন
সপ্নে তব কুলক্ষী কয়ে দিলা পরে
ওরে বাছা ,মাতৃকোষে রতনের রাজি
এ ভিখারী দশা তবে কেন তর আজি ?
যা ফিরি , অজ্ঞান তুই , যারে ফিরে ঘরে
পালিলাম আজ্ঞা সুখে , পাইলাম কালে
মাতৃভাষা -রূপে খনি ,পূর্ণ মণিজালে ।
মাতৃ ভাষা হলো আল্লাহর দেওয়া সেরা দান । জন্মের পর তেকেই একটি শিশু যে দেশে বেড়ে উটে সে দেশের ভাষা হলো তার জন্য তার মাতৃভাষা এবং এই ভাষাটি আল্লাহ প্রদত্ত যা সে খুব সহজে রপ্ত করে নিতে সক্ষম । তো যে কথাটি বলতে চেয়েছিলাম তা হলো মাতৃভাষাকে অবজ্ঞা করে কেউ কোনদিন সফল হতে পারেননি বিশেষ করে কবি ,সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চার ক্ষেত্রে । যদিও কেও সফল হন তবে সেটা সাময়িকের জন্য ,সেটা দীর্ঘস্তায়ী হয় না । পৃথিবীর ইতিহাস সেটা বলতেছে । তাই প্রতিটি জিনিস তার মূলের দিকে ধাবিত । মানুষ সেটার ব্যতিক্রম নয় ।
যদি কোনো কিছু সমাজে আনুষ্টানিক ভাবে প্রতিষ্ঠা লাভ করে তবে সেটাকে খুব সহজে প্রতিরোধ করা যায় না । এটাকে প্রতিরোধ করতে হলে একটা ভালো প্রতিষেধক লাগবে । যেমন কারো যদি রোগ হয় ডাক্তার অনেক ঔষধ দেয় এবং সাথে কিছু আন্টিবইটিক দেয় যাতে করে কোনো পার্শপ্রতিক্রিয়া না ঘটে । আর এই আন্টি বায়োটিক গুলো একটি কোর্স বিত্তিক ফর্মুলায় খেতে হয় যা ডাক্তার রোগীকে বলে দেন । আন্টি বায়োটিক গুলো ডাক্তার যে ফর্মুলায় খাবার এর জন্য বলেন সে ফর্মুলায় খেতে হয় । যদি ডাক্তার একটি বিশেষ বা নিদৃষ্ট দিন পর্যন্ত ধার্য করেন যে নিয়মিত ঐ বিশেষ বা নিদৃস্ট দিন কোনো বিরতি ছাড়া খেতে হবে । যদি কোনো কারণে বিরতি ঘটে যায় তা হলে রোগীকে ডাক্তার যে সব ঔষধ দিয়েছেন সে সব ঔষধ খেয়ে রোগী ভালো হয়ে যেতে পারেন কিন্থু সেটার একটা পার্শপ্রতিক্রিয়া ঘটার সম্ভাবনা থেকে যায় । অর্থাৎ রোগী আবার অসুস্ত হয়ে পড়বেন । তাই রোগীকে পুরাপুরি সুস্থ হয়ে উটতে হলে ডাক্তারের পরামর্শ ভিত্তিক নিয়মিত ঔষধ সেবনের পাসাপাসি ওই এন্টি বায়োটিক গুলো ও খেতে হবে ।
সত্যিকার অর্থে বিজাতীয় সংস্কৃতি আমাদের সমাজের রন্দ্রে রন্দ্রে প্রবেশ হয়ে গেছে | আমরা ছোট বেলা দেখেছি যদি কোনো বাড়িতে বিয়ে -সাদি হত তাহলে সে বাড়িতে গান বাজনা হত তবে সেটা বাংলা | আর এটা হওয়া টা স্বাভাবিক ছিল কারণ আমরা বাংলাদেশি | আমার মনে আছে একবার একটি বিয়ের দিনে কেও জানি কে একটি হিন্দি গান বাজাচ্ছিল তখন গ্রামের বড় এক ভাই বলেছিলেন আরে এটা কি বাজাচ্ছিস তর কাছে কি বাংলা গানের কাসেট নেই | তখন সাথে সাথে ওই ভাইটি হিন্দি গানটি বন্ধ করে বাংলা গানের একটি কাসেট তার টেপ রেকর্ডারে লাগিয়ে বাজালেন | তখন পর্যন্ত এটা কাসেট প্লেয়ারে সীমাবদ্ব ছিল | তার পর তেখে শুরু হলো গায়ে হলুদ অনুষ্টান | বিয়ের আগের দিন কনে ও বর এর বাড়িতে এ অনুষ্টানটি হয়ে থাকে |
নব্বই দসকের পর থেকে বিয়ে -সাদিতে একটি রীতি পরে গেলো সেটা হলো বিয়ে -সাদির অনুষ্টান ভিডিও আকারে ধারণ করে রাখা | বিয়ে -সাদী হচ্ছে একজন নর- নারীর জীবনের পরম একটি মুহর্ত যা জীবনে সবার আসে তা স্মৃতি হিসেবে ভিডিও ধারণ করে রাখা টা স্বাভাবিক | কিন্থু সবচেয়ে আফসোসের বিষয় হলো ভিডিও ধরণের সাথে গানের সংযোজন গোটানো তবে সেটা হিন্দি গানের সংযোজন | আমি হলফ করে বলতে পারি আমাদের সমাজে যত বিয়ে -সাদী হয়ে থাকে , আর তা যদি ভিডিও ধারণ করা হয় তবে সে ভিডিও এর সাথে হিন্দি গানের সংযোজন থাকবেই | আমার মনে হয়না কেও ভুলেও একটি বাংলা গানের সংযোজন করে না ওই সব বিয়ে সাদির অনুষ্টানে এমনকি বিয়ে সাদির অনুষ্টানে হিন্দি গান বাজনা এবং হিন্দি গান বাজনার তালে নৃত্ব নাচ পরিবেসন হয়ে থাকে | আসলে এটা আমাদের সমাজের একটা প্রথা হয়ে গেছে যে হিন্দি গান বাজানো মানে আধুনিক একটা ভাব ফুটে উটা | এই অমূলক ধারণা কে যারা মনে মনে ধারণ করতেছেন তারা আসলে বোকামি আর ভন্ডামির সাগরে নিজেদেরকে বাসিয়ে বেড়াচ্ছেন | আসলে তারা জাতির সাথে বেইমানি করতেছেন |
বিশ্বের কোথাও খুঁজে পাওয়া যাবেনা যে কোনো জাতি তাদের ভাষার জন্য জীবন দিতে | কিন্থু আমরা সেই সে জাতি যারা মাতৃভাষার জন্য জীবন দিয়েছি | মাতৃভাষাকে পাওয়ার জন্য দেশ মাতৃকার বীর সন্তানেরা হাসি মুখে তাদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন | অথচ আমরা নির্দ্বিদায় তাদের কে ভুলে গিয়ে , আমরা বিজাতীয় সংস্কৃতি কে নিয়ে ব্যস্ত হয়ে আছি | আমাদের মনে ভাষার চেতনা শুধু একদিন ই জাগ্রত হয় সেটা হলো একুশে ফেব্রুয়ারী | সালাম ,জব্বার ,রফিক ,সফিক ভাই আমাদেরকে মাফ করে দাও , তোমরা যে জাতিকে তাদের মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার প্রতিষ্টার জন্য জীবন দিলে অতচ তারা আজ মাতৃভাষাকে অবগ্গা করে বিজাতীয় ভাষা ও সংস্কৃতি অনুসিলনে ব্যস্ত |
মাননীয় পাঠক আমরা প্রায় সময় দেখতে পাই যে গোলটেবিল বৈটক হয় | এখানে দেশের সুশীল সমাজের লোকজন অংসগ্রহণ করে থাকেন | তারা দেশের সার্থে ,সমাজের সার্থে অনেক কিছু করার উদ্যোগ নিয়ে থাকেন বা সরকার এর কর্ণপাত করে থাকেন | যদিও সরকার বা সংশ্লিস্ট কর্তিপক্ষ জিনিসটাকে প্রথমে খুবই গুরত্ব দিয়ে থাকেন | মনে হয় যেন জিনিসটা এখনি হয়ে যাবে বা করে ফেলবেন এমন ভাব দেখান | আসলে আমাদের সরকার যদি কোনো বিষয় নিয়ে বা কোনো কিছু করতে উদ্যোগ নেয় তাহলে অনেক সময় তা খুব সহজে হয়ে যায় | আসলে আমাদের দেশের শাসন ব্যবস্তা এমনই হয়ে গেছে যে জনগণ কোনো বিসয় নিয়ে সরকারের কাছে গেল ,সরকার খুব সুন্দর করে তাদের আবদার গ্রহণ করে থাকেন এবং জনগনকে আরো অনেক কিছু দেওয়ার প্রতিঘা করে থাকেন কিন্থু তা কবে বাস্তবায়ন হবে তার কোনো হদিস থাকেনা | আমাদেরকে শুধু কাগজে কলমে লিখে প্রতিবাধ বা প্রতিরোধ ব্যবস্তা চাইলে হবেনা | আমাদেরকে টেলিভিসনের টকশো আর মধ্যে সীমাবদ্ব না থেকে বাস্তবে মাঠ পর্যায় ,তৃণমল পর্যায় আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে | বাস্তবে জনগনকে জানাতে হবে ,বুঝতে হবে যে কোনটা আমাদের জন্য প্রযোজ্য আর কোনটা অপ্রযোজ্য |
একটা জিনিস এখানে আমি আবার বলব যে , আমাদেরকে বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে বাঁচতে হলে প্রতিষেধক নিতে হবে | দেখা গেল কিছু দিন আমরা খুব গুরিত্বের সাথে সব কিছু করলাম ,তারপর বিরতি দিয়ে আবার বাদ দিয়ে আগের অবস্তায় ফিরে গেলাম , তার ফল কি পরিনাম ভয়াবহ রূপ নেবে তা আমরা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছি | আমাদেরকে সম্পুর্ন রূপে বিজাতীয় সংস্কৃতির টিভি চ্যানেলে দেখা বাদ দিতে হবে | দেশীয় টিভি চ্যানেলের অনুষ্টান আমাদেরকে বেশি বেশি করে দেখতে হবে দৈর্য সহকারে এবং নিজে দেখব পাশাপাশি অন্যকে দেখতে বা দেখাতে উত্সাহিত করব | তাছাড়া সংস্কৃতি আঙ্গিন যারা আছেন তাদেরকে দেখতে হবে দর্শকের মন মানসিকতা , চাহিদা এবং উন্নত করে দেশীয় সংস্কৃতিকে দর্শকের কাছে উপহার প্রদান করা | আর এই চেষ্টা ,উদ্যোগ নিয়মিত থাকতে হবে বা নিয়মিত রাখতে হবে তবে বিজাতীয় সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে দেশ ও দেশের জনগণ কে রক্ষা করা যাবে |
আমাদেরকে প্রতিষেধক হিসেবে বিজাতীয় সংস্কৃতির কুফল সম্পর্কে তৃণমল পর্যায় থেকে শুরু করে সমাজের সর্বস্তানে প্রচার করতে হবে | একটা জিনিস যখন আপামর জনতা একটা জিনিসকে বাদ হিসেবে মূল্যায়ন করে থকন ওই বাদ জিনিসটি যদি ভালোও হয় তখন জনগনের রায়ে তা মন্দ হিসেবে সমাজে প্রতিষ্টা লাভ করে | তাই আমাদেরকে সবার আগে জনগনকে বেশি বেশি করে জনসচেতনা মূলক অনুষ্টান প্রচার ও প্রকাশ করতে হবে যাতে করে তারা বিজাতীয় সংস্কৃতি কে আকড়ে না ধরে | আর সেটা আমাদের দ্বারা সম্ভব কারণ আমাদের একটা উন্নত, সমৃদ্ব সাহিত্য ও সংস্কৃতির ভান্ডার আছে |
আমাদের বিশাল সাহিত্য ও সংস্কৃতি ভান্ডার থাকা সত্বেও কেন আমাদের এ অবস্থা ? আমি আমার ব্যক্তিগত অভিমত ও বাস্তব অবস্থার আলোকে যদি বলি সেটা হলো আমাদের দেশীয় সংস্কৃতির প্রতি অনীহা ও অবহেলা | আর সেটা জেনে শুনে হতে পারে আবার সেটা মনের অজান্তে হতে পারে |
এই তো কযেক মাস আগে বাংলাদেশের একটি অনলাইন ইংরেজি পত্রিকায় একটা খবর পড়েছিলাম , খবর টা একটি মাল্টিন্যাসনাল কোম্পানির প্রডাক্টের বিজ্ঞাপন প্রচার নিয়ে | আজকাল মেয়েদের ভিবিন্ন স্কুলে ইউনিলিভার বিনামূল্যে রেচ্কনা বিতরণ করতেছে | আর সেই বিঘাপনের প্রচারের জন্য মেয়েদেরকে নেওয়া হয় | কথায় আছে বাঙালি নাকি মাগনা পাইলে আলকাতরাও নিতে রাজি আছে |সে জায়্গায় রেচ্কনা , আর নর্থ সাউথ যেটা দিল সেটা বেশ ভালো মানের প্রডাক্ট বলা যায় |
এক স্কুলে ইউনিলিভারের মেয়েরা গিয়েছিল রেক্সনার কাম্পাইন করতে | কিন্থু সেই সব মেয়েদের জামা কাপড় পড়ার ধরন এতই বাজে ছিল যে খ্রিস্টান মিশনারী স্কুলের নান পর্যন্ত বলতে বাধ্য হয়েছেন - আপনারা এসব কি ধরনের কাপড় পড়ে এসেছেন বাচ্চা মেয়েদের স্কুলে ? এভাবে কি কেউ ইন করে সার্ট পড়ে ।
নানের কথা শুনে সাথে সাথে তারা তাদের সার্টের ইন খুলে ফেলে টিক হয়ে নিল ।লজ্যায় নান নিজেই তাদের দিকে তাকাতে পারছিল না ।
বিদেশী বেনিয়ারা আমাদের স্কুল -কলেজ গুলোতে গিয়ে কাম্পেইন করে , ভার্সিটিতে ফ্রি কনডম বিতরণ করে ,আমাদের নারীদের কিছুই না লুকানোর শিক্ষা দেয় ।
আবার তাদের মডেল স্বরূপ স্কুলের বাচ্চাদের সামনে মার্কেটিং গার্লদের অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে উপস্থাপন ও করে । কিন্থু তাতে কিছু যায় আসেনা স্কুল -কলেজ কর্তিপক্ষের এবং সমাজের উচ্চ শ্রেণীর সুশীল সমাজের ।
রেক্সনার শিক্ষামূলক বিজ্ঞাপনে শেখানো হয় -ঘামের গন্ধের কারণে মানুষের আত্ববিশ্বাস লোপ পায় । আরে ভাই ব্স্তুগত জিনিস ব্যবহারের উপর বুঝি আত্ববিশ্বাস নির্ভর করে ? আরে ভাই স্কুল -কলেজ হলো ছেলে -মেয়েদর নৈতিক শিক্ষাদানের জায়গা । স্কুল -কলেজে নিয়মিত লেখাপড়ার পাশাপাশি ছেলেমেয়েদের নৈতিক শিক্ষাদান করেন স্কুলের সম্মানিত শিক্ষক বৃন্দ । কিন্থু নৈতিক শিক্ষা দানের পরিবর্তে যদি অনৈতিক শিক্ষা প্রদান করা হয় বা দেওয়া হয় তাহলে এর পরিনাম বা ফল কি দাড়াবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা ।
আমি এখানে রেক্সনার শিক্ষা মূলক বিজ্ঞাপন যা দেখানো হয় তা হলো এরকম - আতিফ ও আসফিয়া দুটি ছেলে মেয়ে । তাদের মধ্যে তুলনা করা হয় । আতিফ রেক্সনা ব্যবহার করেনা দেখে আতিফ পরীক্ষায় সবসময় খারাপ করে ,খেলাধুলা করতে পারেনা এই হলো সেই । এটা হলো রেক্সনার শিক্ষামূলক বিজ্ঞাপন ।
এই সব মাল্টিনেসনাল কোম্পানি আমাদের বাচ্চাদেরকে প্রডাক্ট নির্ভর বানিয়ে তুলছে । তারা ভাবাচ্ছে যে তাদের পন্য ছাড়া আত্ববিশ্বাস জাগবেনা বা আত্ববিশ্বাস হবে না ।আর আমাদের মুন্ডুকবিহীন সমাজ পতিরা ভাবলেশহীন ভাবে শুধু দেখে যাচ্ছেন ,তাদের ভাবনা এরকম যে " বেশ তো ভালো ,যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ছেলে -মেয়েরা এগুলো "। তারা প্রতিবাধ ,প্রতরোধ করার কথা ছিল কঠোর হাতে তা না করে তারা বেনিয়াদের দাসত্বে তৎপর সিদ্বহস্তে
বাংলায় একটা ভাবসম্প্রসারণ আছে , " বন্যেরা বনে সুন্দর , শিশুরা মাত্রই কুলে | বনের পাখিকে বনে মানায় ,কিন্থু যদি বনের পাখিকে মানব বাড়িতে নিয়ে আসা হয় তা হলে পাখি তার স্বাভাবিক বিচরণ করতে পারবেনা , পাখি নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে , যতই পাখিকে আদর যত্ন করা হোক না কেন ,পাখি তার আবাসস্তল বন ছাড়া থাকতে পারবেনা |
তেমনি যদি একটি মানব শিশুকে তার মায়ের কুল থেকে ছেড়ে নিয়ে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয় তাহলে মানব শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে উটা সম্ভব হবে না | শিশু তার মায়ের কুল ছাড়া অন্যত্র যেমন স্বাভাবিকতা পাবেনা এবং নিরাপদ বোধ করবেনা | অর্থাথ বন্যেরা বনে সুন্দর ,বনে তাদের মানান সই অন্যত্র বেমানান তেমনি মানব শিশুকে তার মায়ের কাছে সুন্দর |
আমরা জাতি পরিচয়ে বাঙালি আর দেশের পরিচয়ে হচ্ছি বাংলাদেশী | আমরা বাঙালি হয়ে যদি অবাঙালি পোশাক পরি তা হলে আমাদের কে যেমন শোভা পাবেনা ,তেমনি স্বাভাবিক চলা ফেরা করতে অনেক অসুবিধা হবে এটাই স্বাভাবিক | একজন বাঙালি মহিলাকে শাড়ি পড়লে সুন্দর লাগবে কারণ শাড়ি হচ্ছে বাঙালি ললনাদের জাতীয় পোশাক | শাড়িতে বাঙালি মহিলাদের সুন্দর লাগার পাশাপাশি তাদের স্বাভাবিক চলাফেরায় কোনো বাধা বা অসুবিধা হয় না | কিন্থু যদি দেখা যায় একজন বাঙালি মহিলা হয়ে সার্ট -পেন্ট ইন করে পুরুষের ন্যায় চলা ফেরা করেন তাহলে তাকে তো সুন্দর লাগা দুরের কথা সে বাঙালি সমাজে স্বাভাবিক চলাফেরা করতে পারবেন না | যদি ও পোশাক আশাক পরা যার যার ব্যক্তিগত অধিকার তারপরও পোশাক আশাক পরার আগে আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা বাঙালি | নতবা আমাদের অবস্থা হবে ওই মাল্টি নেসনাল কোম্পানি ইউনিলিভারের নারী মডেলদের মোট অবস্থা | যাকে যেটায় মানায় তাকে সেটায় শুভা পায় | যদি একজন ইংরেজি মহিলাকে শাড়ি পড়তে দেওয়া হয় আর সে যদি শাড়ি পরে তাহলে সে শাড়ি পরে স্বাভাবিক ভাবে চলা -ফেরা করতে পারবেনা কারণ সেটা তার পোশাক নয় ,শাড়ির চাইতে তাকে শার্ট -পেন্টে বেশি মানান সই মনে হবে কারণ সে ঐটা সবসময় পরে অব্যস্থ | কাজেই আমরা অন্যকে নকল না করে আমাদের যা আছে তা নিয়ে সুন্দর করে থাকতে হবে ,চলতে হবে , লালন -পালন করতে হবে এবং তাই নিয়ে আমাদের কে সন্তুস্ট থাকতে হবে |
নকল করে পরীক্ষায় পাস করা যায় কিন্থু জ্ঞান অর্জন সম্ভব নয় | আজকাল নকল করাটা একটা ফ্যাশন হয়ে গেছে | এক ভদ্র মহিলা একটা উচু মাপের একটা জুতা পরছিল কারণ সে মহিলাটি স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেটে ছিল তাই | ঐ ভদ্র মহিলাকে অনুসরণ করে আরেকজন ভদ্র মহিলা উচু মাপের জুতা পরলেন | ফলাফল হলো ওই ভদ্র মহিলাটি প্রথম জনের চেয়ে একটু বেশি লম্ভা ছিল এবং ঐ ভদ্র মহিলা জুতা পরে হাটার সময় উনি হুচট খেয়ে পরে তার একটি পা ভেঙ্গে ফেলেন | কেউ কোনো কিছু করে প্রয়োজনে আর কেউ কোনো কিছু করে শখে | তাই আমাদের সবার উচিত শখের বশে বশীভূত হয়ে অপ্রয়োজনীয় কোনো কিছু না করা | নতবা আর ফল বা পরিনাম শুভ হয় না |
আমাকে বিশ্বয করে একটি জিনিস তা হলো বিশ্বকাপ ফুটবল হচ্ছে ব্রাজিল | কিন্থু আমাদের দেশে যে অবস্থা ,যে হারে ব্রাজিল এবং আর্জেন্টিনার পতাকা বাংলাদেশের আকাশে -বাতাসে উড়ছে দেখে মনে হচেছ বাংলাদেশ বোধয় ব্রাজিল বা আর্জেন্টিনা | আমার মনে হয় না ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনায় এত পতাকা উড়ছেনা | বিশ্বের আর কোনো দেশে বোধয় আমাদের মত অন্য দেশের পতাকা এত উড়ানো হয় না | প্রায় পত্রিকা পড়লে একটা জিনিস লক্ষ করা যায় এমন অনেক লোক আছে যে তারা তাদের জমি জমা বিক্রি করে ব্রাজিল কিংবা আর্জেন্টিনার পতাকা বানাচ্ছে | আমি এইগুলোকে উন্মাদনা ছাড়া আর কিছু বলবনা |
বিশ্বকাপ প্রতি পাঁচ বছর পর পর আসে এবং খেলা ধুলার জগতে এটি বিশ্বের অন্যতম বড় কোন আসর , তাই এটির প্রতি মানুষ জনের আগ্রহ ,অপেক্ষা ও সমর্থন থাকতেই পারে নিসন্দেহ | কিন্থু তাই বলে সব কিছুকে উপেক্ষা করে নয় | আমার বুঝ হবার পর থেকে আমি দেখে আসছি যে বিশ্বকাপ ফুটবল এর সময় বাংলাদেশের আকাশে ভিন দেশীয় জাতীয় পতাকা উড়তে | এই সমর্থন ও পতাকা উড়ানো কে আমরা এমন এক পর্যায় নিয়ে গেছি যে , দেখে মনে হয় সীমানা বিহীন কয়েক দেশ একসাথে অবস্থিত | এক শত -দু শত পতাকা নয় হাজার হাজার পতাকা বাংলার আকাশে উড়ে | আমি কখন দেখিনি বাংলাদেশের কোন জাতীয় দিবসে স্ব -ইচ্ছায় আমাদের জাতীয় পতাকা উড়তে | আফসোস আমরা সেই জাতি ,যারা নিজেদের কে অন্ধ ভাবে অন্যের প্রতি এমন ভাবে বিলিয়ে দেই সে যেই হোক ,সে চিনুক আর নাই চিনুক | এই তো কিছুদিন আগে টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ক্রিকেট হলো আমাদের দেশে এবং আমাদের দেশও সেই আসরে অংশগ্রন করেছিল কিন্থু আমরা কয় টি পতাকা উড়তে দেখেছি আমাদের দেশের | আমার বলার কিছু নেই শুধু মাত্র মনের আক্ষেপ তা কে এখানে তুলে ধরলাম এবং বাকিটা সম্মানিত পাঠক দের উপর ছেড়ে দিলাম |
এই তো ২০১৩ সালের একটা ঘটনা বলব | আজকাল বিশ্বের কোথায় কি হয়েছে বা কি হচ্ছে তা নিমিষেই আমরা জানতে পারি , তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় | সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি ভিডিও দেখেছিলাম বৈশখী আয়োজন নামে | অনুষ্ঠান এর গান পরিবেশিত হয়েছিল বাংলা এবং হিন্দি | এমনকি বৈশাখী আয়োজনের অনুষ্ঠানে নাচ -গান হবে , পান্থা ,বর্তা ,ইলিশ থাকবে এটা স্বাভাবিক | কিন্থু যদি দেখা যায় বৈশাখী অনুষ্টানে হিন্দি গান পôরিবেশন এবং গানের সাথে বাঙালি নৃত্য , তাহলে বুলন তো কেমন দেখায় | পান্থা ভাত ,আলু বর্তা আর ইলিশ খেয়ে যদি একদিনের জন্য বাঙালির প্রকাশ পায় তা হলে এত কিছুর আর দরকার ছিল না | আমাদের কে বাঙালি বা বাঙালিয়ানা দেখাতে হবে কাজে কর্মে | আমরা যদি মুখ দিয়ে বলি আমরা বাঙালি আর আমাদের কর্মের মধ্যে যদি বাঙালি পরিচয় না থাকে তাহলে মুখ ফাটিয়ে বাঙালি বললে বাঙালি হওয়া যাবেনা | একটি প্রবাধ বাক্য আছে যে " বৃক্ষ তোমার নাম কি ? ফলে পরিচয় "| তাই আসুন আমরা সবাই আমাদের কাজে কর্মে আমাদের পরিচয় ফুটিয়ে তুলি ,শুধু মুখে না বলে |
আমাদের দেশের একজন সুনাম ধন্য শিক্ষক ,কথা সাহিত্যিক এর একটি ঘটনা বলব | যিনি বাংলা সাহিত্যে অনেক লেখা লেখি করেন এবং মাঝে মধ্যে বিশেষ বিশেষ পত্রিকায় নিজের লেখা প্রকাশ করেন | তিনি আমাদের কে একজন শিক্ষক হিসেবে নয় তিনি সমাজ ও দেশের প্রতিনিধি হয়ে আমদেরকে অনেক সময় উপদেশ দিয়ে থাকেন | তার মুখের মিষ্টি মিষ্টি কথা আমার মত এদেশের হাজার হাজার তরুণ -তরুণী শুনে থাকেন এবং উনাকে অনুসরণ করতে ভালবাসেন |কিন্থু সেই শিক্ষক যদি হিন্দি গানের তালে ছাত্র -ছাত্রীদের সাথে নাচেন তাহলে আমাদের আর বলার কিছু থাকেনা | শুধু লেখালেখি করে আর আর উপদেশ দিয়ে আমাদের মত সাদাসিধে মানুষদের ধোকা দিবেন না জনাব | আপনারা নিজে যেটা করবেন না সেটা আমাদের করতে দিবেন কেন | আসল কথা হলো আপনাদের মত যারা , আপনারা কি করলেন আর কি করলেন না সেটা আমাদের কারো কিছু যায় আসে না জনাব কিন্থু আমরা সাধারণ জনগণ কোনো কিছু ভুল করে ফেললে আপনাদের কাছে সেটা পান থেকে চুন খসে পড়ার মত মনে হয় | আমাদের লজ্জা লাগে মাঝে মধ্যে আপনাদের ঐ সব ভন্ডামী দেখে | দোহাই লাগে আর ভন্ডামি কইরেন না জনাব |
সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ভুমিকা
মানবজীবনে সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের ভুমিকা অপরিসীম | অনেকাংশে তা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভূমিকার চেয়ে এর গুরুত্ব বেশি | যুদ্ধ শুধু অস্র দ্বারা হয় না | বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় যে যুদ্ব সেটি হলো বুদ্বিভিত্তিক | বুদ্বিভিত্তিক এ লড়াইয়ের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার বা অস্র হলো সাংস্কৃতিক ময়দান | সাংস্কৃতিক ময়দানে হেরে গেলে একটি জাতির পরাজয় নিরবে ঘটে যায় তখন আর ময়দানের লড়াইয়ের প্রয়োজন পড়ে না |টেলিভিসন ,কম্পিউটার ,ইন্টারনেট ,ডিস্ এন্টিনা ,সংবাদ পত্র ও ভিবিন্ন যোগাযোগ মাধ্যম এখানে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহিত হয়ে থাকে |
আমরা উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি যে সোবিয়েত ইউনিয়ন রাশিয়া ভেঙ্গে গেছে এবং পোল্যান্ড ,পূর্ব জার্মান ,চেকস্লাভিয়া ,ক্রোয়েশিয়া ,সার্বিয়া ,আলভেনিয়া ,বুলগেরিয়ার ন্যায় বহু জাতীয়তাবাদী ও সমাজতান্ত্রিক দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত হয়েছে এবং সে সাথে ন্যাটোতে যোগ দিয়েছে কোনো সামরিক পরাজয় না ঘটিয়ে |এখানে পরাজয়টি এসেছে সংস্কৃতি ও বুদ্বিভিত্তিক ময়দানে | আর এরকম একটি লড়াই বা যুদ্ব কে বলা হয় স্নায়ু যুদ্ব | এ যুদ্বে পরাজয় ঘটলে একটি জাতির নিজস্ব রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয় এর বিলুপ্ত ঘটে | ফলে বুদ্বিবিত্তিক লড়াইয়ের এ যুগে আধিপত্য শক্তির হাতিয়ার এ পরিনত হয়েছে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন | ভৌগলিক সীমা বা দেশ দখলের আগ্রাসন এবং বাজার দখলের আগ্রাসী কৌশলের চেয়েও ভয়ানক হচ্ছে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন |
সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মূল লক্ষ্য হলো একটি জাতির আত্ব -পরিচয় বিলীন করা ,শিকরবিহীন জনপদ তৈরী করা ,যারা অন্যের গোলামী করতে বাধ্য থাকবে |সাংস্কৃতিক পরিচয় বিলুপ্ত করে দেশ ও জাতিকে ধংস করার ভয়ানক ষড়যন্ত্র এর কবলে আজ গোটা বিশ্ব হুমকির সম্মুখীন |
একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ আজ সাংস্কৃতিক এ আগ্রাসনের অন্যতম একটি লক্ষ্য বস্তু | এ আগ্রাসন হচ্ছে বাহ্যক ও অভ্যন্তরীণ | পার্শবর্তী দেশ ভারত হচ্ছে আমাদের প্রধান আগ্রাসন |
অধ্যাপক মফিজুর রহমানের ভাষায় " কুসংস্কৃতির লোনা প্লাবন আমাদের লালিত মূল্যবোধ ,পুর্ন্চেতনা ,মঙ্গল ও কল্যানকর সমস্ত কিছুকে ভাসিয়ে নিয়ে চলছে মহাসাগরের গর্ভে "|
আমরা উদাহরণ হিসেবে বলতে পারি যে সোবিয়েত ইউনিয়ন রাশিয়া ভেঙ্গে গেছে এবং পোল্যান্ড ,পূর্ব জার্মান ,চেকস্লাভিয়া ,ক্রোয়েশিয়া ,সার্বিয়া ,আলভেনিয়া ,বুলগেরিয়ার ন্যায় বহু জাতীয়তাবাদী ও সমাজতান্ত্রিক দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়ন ভুক্ত হয়েছে এবং সে সাথে ন্যাটোতে যোগ দিয়েছে কোনো সামরিক পরাজয় না ঘটিয়ে |এখানে পরাজয়টি এসেছে সংস্কৃতি ও বুদ্বিভিত্তিক ময়দানে | আর এরকম একটি লড়াই বা যুদ্ব কে বলা হয় স্নায়ু যুদ্ব | এ যুদ্বে পরাজয় ঘটলে একটি জাতির নিজস্ব রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পরিচয় এর বিলুপ্ত ঘটে | ফলে বুদ্বিবিত্তিক লড়াইয়ের এ যুগে আধিপত্য শক্তির হাতিয়ার এ পরিনত হয়েছে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন | ভৌগলিক সীমা বা দেশ দখলের আগ্রাসন এবং বাজার দখলের আগ্রাসী কৌশলের চেয়েও ভয়ানক হচ্ছে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন |
সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মূল লক্ষ্য হলো একটি জাতির আত্ব -পরিচয় বিলীন করা ,শিকরবিহীন জনপদ তৈরী করা ,যারা অন্যের গোলামী করতে বাধ্য থাকবে |সাংস্কৃতিক পরিচয় বিলুপ্ত করে দেশ ও জাতিকে ধংস করার ভয়ানক ষড়যন্ত্র এর কবলে আজ গোটা বিশ্ব হুমকির সম্মুখীন |
একটি উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের প্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশ আজ সাংস্কৃতিক এ আগ্রাসনের অন্যতম একটি লক্ষ্য বস্তু | এ আগ্রাসন হচ্ছে বাহ্যক ও অভ্যন্তরীণ | পার্শবর্তী দেশ ভারত হচ্ছে আমাদের প্রধান আগ্রাসন |
অধ্যাপক মফিজুর রহমানের ভাষায় " কুসংস্কৃতির লোনা প্লাবন আমাদের লালিত মূল্যবোধ ,পুর্ন্চেতনা ,মঙ্গল ও কল্যানকর সমস্ত কিছুকে ভাসিয়ে নিয়ে চলছে মহাসাগরের গর্ভে "|
সাংস্কৃতিক আগ্রাসন মোকাবেলায় করণীয়
সকল সংস্কৃতিকে আমরা ডালাও ভাবে অপসংস্কৃতি বলতে পারব না | পৃথিবীতে এমন অনেক সংস্কৃতি আছে যা অনুসরণ বা অনুকরণ করলে মানবিক উত্কর্ষ সাধনের সর্বোচ্চ পর্যায় পৌছা সম্ভব | আবার এমন অনেক সংস্কৃতি আছে যা অনুসরণ করলে নৈতিকতার চরম বিপর্যয়ে ঘটা সম্ভব | কাজেই আমরা সংস্কৃতির ভালো দিক গুলো অর্জন বা গ্রহন করব এবং খারাপ দিক গুলো বর্জন করার সর্বাত্মক চেষ্টা করব | সংস্কৃতির ভালো দিকগুলো গ্রহণ করে আমরা আমাদের সংস্কৃতি উন্নতি সাধন করার চেষ্টা করব এবং আমরা বেশি বেশি করে আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতির চর্চা চালিয়ে যাব তবে আমাদের সংস্কৃতির মূল ধারা বজায় থাকবে | আমাদের সংস্কৃতির মূল ধারা বজায় রাখতে হলে আমাদের যা করনীয় আমি মনে করি তা এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করব |
- আমাদেরকে নিজস্ব সংস্কৃতি সম্পর্কে সচেতন হতে হবে।
- নিজস্ব সংস্কৃতি রক্ষায় সাংস্কৃতিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
- সাংস্কৃতিক আন্দোলন তৃনমূল পর্যায় থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় নিয়ে যেতে হবে।
- দল মত নির্বিসেসে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এই আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে।
- রাষ্ট্রীয় ভাবে সরকারকে সাংস্কৃতিক নীতিমালা প্রনয়ন করতে হবে।
- অপসংস্কৃতির প্রচার রোধে দেশীয় মিডিয়াকে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
- অপসংস্কৃতি রোধে প্রয়োজনে আইন প্রনয়ন ও তার বাস্তবায়ন করতে হবে।
- রাষ্ট্রের কাজ শুধু রাস্তা -ঘাট নির্মান নয় ,স্কুল -কলেজ প্রতিষ্টান বা রাষ্ট্রের শাসন কর্জ পরিচালনা নয় , তাছাড়া সবচেয়ে গুরুত্ব পূর্ণ কাজ হলো আদর্শ ও সংস্কৃতিক প্রতিষ্টায় কাজ করা।
- সকল বুদ্বিজীবি ,সুশীল সমাজ ও সংস্কৃতি কর্মীদের এগিয়ে আসতে হবে এবং জনগনকে নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চায় উত্সাহ প্রদান করতে হবে।
- সরকারকে সংস্কৃতি কর্মীদের প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধা দিতে হবে যাতে সংস্কৃতি কর্মীরা নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চায় আরো উদ্যোমী হন।
তথ্য সূত্র :
- বাংলাদেশের কালচার - আবুল মনসুর আহমদ
- বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক যুদ্ব - ফিরোজ মাহবুব কামাল
- সাংস্কৃতিক আগ্রাসন ও আমাদের করণীয় -আহসান হাবীব ইমরোজ
- তরুণ তোমার জন্য - আ ,জ ,ম ওবায়েদুল্লাহ
- দৈনিক পত্রিকা সমূহে প্রকাশিত তথ্য সমূহ
- ইন্টারনেট ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইত্যাদি।
লেখক পরিচিতি
মো : আবেদ হোসেন
পিতা : মো : মিরজান আলী
মাতা : মোছা : হাজেরা বেগম
জন্ম :০১/০৯/১৯৮৭ ইংরেজি
গ্রাম :ভুকশি মইল
উপজেলা :কুলাউড়া
জেলা :মৌলভীবাজার
বিভাগ :সিলেট
প্রাক্তন ছাত্র : শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয় ,সিলেট।
সমাজ কর্ম বিভাগ ২০০৬-২০০৭ শিক্ষাবর্ষ |
বর্তমান ঠিকানা
প্যারিস , ফ্রান্স অবস্থানরত |